মাদারীপুরে শিশু হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেনদিয়া গ্রামের শিশু আদুরী হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার বেলা ১১টায় মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা এই রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জেলার রাজৈর উপজেলার পশ্চিম স্বরমঙ্গল এলাকার রফিক হাওলাদারের ছেলে রাজিব হাওলাদার (৪১), কোদালিয়া বাজিতপুরের মুহিত গাছীর ছেলে রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী (৩২) ও পিরোজপুর জেলার ভৈরমপুরের রফিকুল ইসলাম মোল্লার ছেলে শফিকুল ইসলাম মোল্লা (৩১)।

বিচারক মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া মামলায় বাগেরহাট জেলার সেলিম হাওলাদারের (৪১) বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সেনদিয়া জামে মসজিদে আরবি পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় টুকু সরদারের মেয়ে আদুরী আক্তার (৫)। নিহতের বাবা টুকু সরদার বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে রাজৈর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর ওই মসজিদের ইমাম শফিকুল ইসলামকে রাজৈর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তিনি পুলিশের কাছে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন এবং তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মসজিদের পাশ থেকে আদুরী আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়।

মামলার চার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও তিন আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন। মামলার রায়ের দিন মামলার এক আসামি রিমন হোসাইন ওরফে ইমন গাছী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নিহতের বাবা টুকু সরদার বলেন, আমার মেয়ে হত্যার রায়ে আমি খুশি হয়েছি। আমার সরকারের কাছে একটাই দাবি, এই ফাঁসির রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়। তাহলে আমার মেয়ের আত্ম শান্তি পাবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!