নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে এসিড নিক্ষেপ

নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন

নাটোরে দিনা খাতুন (১৯) নামে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর মুখে এসিড নিক্ষেপ করেছে বখাটেরা। আজ রোববার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া বাজারে এই এসিড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। দিনা খাতুন ডাঙ্গাপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের মেয়ে। সে চলতি বছর রাজশাহী সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।

এসিড নিক্ষেপকারীদের মধ্যে একজনের নাম মুহিন। সে পাশ্ববর্তী দত্তপড়া এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। মুহিনের সহযোগিদের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাদের ধরতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশের একাধিক টিম।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পরীক্ষার্থী দিনা খাতুন। তাকে প্রায়শ্চই বিরক্ত করত স্থানীয় বখাটে মুহিন ও তার সহযোগিরা।

রোববার বিকেলে দিনা বাড়ির অদূরে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার সময় বখাটে মুহিন তার দুই সহযোগি নিয়ে মোটরসাইকেল দিয়ে দিনার পথরোধ করে। এসময় দিনা দাঁড়ানোমাত্রই বোতলে থাকা এসিড নিক্ষেপ করে তার মুখ মন্ডল ঝলসে দেয় মুহিন। দিনা চিৎকার করলে স্থানীয়দের এগিয়ে আসতে দেখে তিন বখাটে ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় ।

এসময় স্থানীয়রা দিনাকে উদ্ধার করে বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন দিনাকে সরাসরি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে আটটায় দিকে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুনসুর রহমান বলেন, ঘটনার পর থেকে পুলিশ এসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করছে। তবে পরিবারের সদস্যরা ভিকটিমকে নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ভিকটিমের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। এসিড নিক্ষেপকারীদের ধরতে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!