বরিশালের সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের শিক্ষক এইচ এম শামীম আহম্মেদের বিরুদ্ধে জাল সনদ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি। তবে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
হাতেম আলী কলেজের এইচ এম শামীম আহম্মেদ বরিশাল নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোডের ফরাজী ওয়ার্কশপসংলগ্ন ফজলুল হক রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মালিক।
তার কাছ থেকে সনদ কেনার দাবি করেছেন মো. সুমন নামে এক ব্যক্তি।
তিনি বলেন, ‘আমি অষ্টম শ্রেণির সার্টিফিকেট কিনতে যাই শামীম আহম্মেদের কাছে। তিনি ১০ হাজার টাকা দাবি করলে আমি ৩ হাজার টাকা দিতে চাই। তিনি নিজেই সই করে সনদ ও প্রত্যয়নপত্র দেন।’
‘অর্থ লেনদেনের সময় ধারণ’ করা ভিডিও সম্প্রতি ফেসবুকে ছড়ালে আলোচনার সৃষ্টি হয় বরিশালজুড়ে।
এ বিষয়ে শিক্ষক শামীম আহম্মেদ সব অভিযোগ নাকচ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।
অপরদিকে হাতেম আলী কলেজের অধ্যক্ষ মু. মোস্তফা কামাল বলেন, বিষয়টি শুনেছি এবং খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরিশালের পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষক শামীমের বিরুদ্ধে সনদ বিক্রির অভিযোগ পেয়েছি। তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।