আলো অন্ধকারে যাই (পর্ব ৪)

গৌতম রায়
গৌতম রায়
11 মিনিটে পড়ুন
মাগুরা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়

মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়াটা আমার জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ছিল। প্রাথমিকে কয়েকটি বছর কাটিয়ে একটি নতুন জায়গায় এসে আমার ও আমার বন্ধুদের দরকার ছিল মমতা, যত্ন, আদর, আপন করে নেয়া। তার পরিবর্তে আমাদের একটি কঠিন অভিযোজনের মাঝ দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে। সেই অভিযোজন ছিল অন্য স্কুল থেকে আসা ও নতুন স্কুলের উচ্চতর শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সাথে, নতুন শিক্ষকমন্ডলীর সাথে, নতুন স্কুলের নিয়মকানুন, শ্রেণিকক্ষ, মাঠ, পুকুর পাড়, বিদ্যালয়-সময়, টিফিন টাইম – এককথায় চারপাশে সবকিছুর সাথে। এমনকি যে বেঞ্চিগুলিতে আমরা বসতাম, সেগুলির সাথেও। আমার মনে হয়, এই জায়গাটিতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক প্রস্তুতি থাকলেও মনস্তাত্ত্বিক প্রস্তুতির বড়ো রকমের অভাব ছিল। শুরু থেকেই আমরা কী কী করতে পারবো না এ সংক্রান্ত তালিকাটি কী কী করতে পারবোর তালিকা খেকে দীর্ঘ ছিল। আমাদের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ সব কিছুই ভয়ের মোড়কে করাতে চাইতেন যতটা, আদরের/স্নেহের মোড়কে ততটা নয়। ঘন ঘন শ্রেণিশিক্ষকও পরিবর্তন হতো। যেমন, শুরুতে পানু স্যার শ্রেণিশিক্ষক থাকলেও পরে তা পরিবর্তন করে রউফ স্যার এর দায়িত্বে দেয়া হয়। মাঝখানে কিছুদিন রহমান স্যারও ছিলেন বলে মনে পড়ে। পানু স্যার তবুও খানিকটা শিক্ষার্থী বান্ধব ছিলেন। কিন্তু রউফ স্যার ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক।
ক্লাসে সহপাঠী বরুণ ছিলো আরেক আতঙ্ক। এই এর মাথায় গাট্টা দিচ্ছে, ওই তার পাজামা নামিয়ে দিচ্ছে, সেই আরেকজনের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে মজা করছে, না হয় কারো দু আঙুলের মাঝে পেন্সিল দিয়ে চাপ দিচ্ছে! কিন্তু এসব নিয়ে তাকে কিছু বললে সে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতো স্কুল ছুটির পরে বা তার পরে সুযোগ মতো। বন্ধু লিটুও কম যেতোনা। মেধাবী লিটু প্রগলভ। তার বাবা স্কুলের মৌলভী স্যার ছিলেন। সুতরাং খানিকটা সুবিধাজনক অবস্থায় ছিল সে। লিটু আর আমার বাসা ছিল হন্টন-দূরত্বে। লিটুর দুই বড় আপা আমার দুই দিদির সহপাঠী ছিলেন। তবুও লিটুর সাথে আমার সম্পর্কটি বরাবরই কারণহীন ভাবে অম্লমধুরতায় পরিপূর্ণ ছিল সেসময়।
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময় মাগুরা মধুমতি সিনেমা হলে বাংলাদেশের প্রথম আংশিক রঙিন ছায়াছবি, জিঘাংসা, মুক্তি পায়। ওয়াসিম ও জবা চৌধুরী নায়ক-নায়িকা। ছবিতে একটি গান ছিল ‘ও নিরুপমা … পাখির নীড়ের মতো দুটি চোখ তোমার, ঠিক যেন নাটোরের বনলতা সেন’। এই গানটিই ছবির একমাত্র রঙিন অংশ। তখন সিনেমা আমাদের জন্যে নিষিদ্ধ বস্তুর কাছাকাছি একটি ব্যাপার। বছরে দুই বা তিনটি সিনেমা দেখার সৌভাগ্য হতো আমার। কয়েকদিন ধরে বাসায় রিহার্সাল দিয়ে অবশেষে বাবার কাছে যেদিন সিনেমা দেখার অনুমতি প্রার্থনা করতাম, সেদিন কি যে অসহায় লাগতো! বাড়ির এক ভবন পরেই সিনেমা হল তবুও বছরে দুই বা তিনটির বেশি সিনেমা দেখার অনুমতি জোটেনি অন্তত নবম শ্রেণি পর্যন্ত।
যাহোক, সেই জিঘাংসা ছবি দেখে বিমোহিত হয়ে গেলাম। কি সুন্দর রঙিন ছবি! রঙিন ফুলের বাগানের মাঝে নায়ক-নায়িকার দৌড়াদৌড়ি! মাগুরা কলেজ রোডে তখন খুব কাব্যিক নামের একটা ষ্টুডিও ছিল – ষ্টুডিও খেয়ালী। আনিস সাহেব দোকানের মালিক। খুব ভদ্র ও বিনয়ী ব্যবহার। ভালো ছবি তুলতেন। তার সাগরেদ ছিল বটু ভাই। আনিস সাহেব ও বটু ভাই আমার বাবাকে দাদা ডাকতেন কিন্তু আমি তাদেরকে কাকা না ডেকে ভাই ডাকতাম। তাঁরা দুজনেই আমাকে সবিশেষ স্নেহ করতেন। বটু ভাই কীভাবে যেন জিঘাংসা মুভির কেটে ফেলা একটুকরো ফিল্ম ডেভেলপ করে ওয়াসিম ও জবা চৌধুরীর একটা সাদা কালো ছবি তৈরী করলেন এবং সেটিতে ফটো কালার ব্যবহার করে ছবিটিকে সিনেমার মতো রঙিন করে ফেললেন। বটু ভাই এর কাছ থেকে আমি পাঁচ টাকা মূল্যে ওই ছবিটি কিনে নেই। এই টাকাটা আমাকে জোগাড় করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল কারণ তখন দশ পয়সায় একটি লাল আইসক্রিম পাওয়া যেত এবং চার আনায় দুধ, এলাচি, দেয়া একটি অসাধারণ স্বাদের মালাই আইসক্রিম যার মাথায় আবার পাউরুটি বা বিস্কিটের গুঁড়ো দেয়া থাকতো।
যাহোক, স্কুলে সেই ছবি দেখিয়ে আমি বন্ধুদের মাঝে বেশ কৃতিত্বের অংশীদার হয়ে গেলাম কিন্তু বিপত্তিও কম হলোনা। আমার কাছে নায়ক-নায়িকার ছবি থাকার অপরাধের কথা রউফ স্যারকে জানিয়ে দেয় লিটু। আমি বোধ হয় দুষ্টামি করে বলেছিলাম আমি বড় হয়ে সিনেমাতে অভিনয় করবো। সেটিও রউফ স্যারকে জানানো হলে আমি শাস্তির কবলে পড়ি। আমার থেকে সেই ভয়ানক সর্বনাশা (?) ছবিটি রউফ স্যার নিয়ে ছিঁড়ে ফেললেন। আমার বখে যাওয়া সম্পর্কে রউফ স্যারের আর কিছুমাত্র সংশয় রইলো না। আর আমার ভবিষ্যত যে খুবই ঝরঝরে সে বিষয়েও আমার শ্রদ্ধেয় স্যার কৃতনিশ্চিত হলেন। বিপদ ঘনীভূত হলো যখন রউফ স্যার ঘোষণা করলেন যে আমার এই ‘বখে যাওয়া’র গল্প আমার বাবার কাছে সেদিনই তিনি জানাবেন। লিটুসহ আমার কয়েকজন বন্ধু সেটি শুনে খুবই প্রীত হলো। কয়েকদিন আমি বাসায় ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকলাম। রউফ স্যার হয়তো আমার বাবার কাছে সাক্ষী সাবুদ নিয়ে উপস্থিত হবার সময় পাননি। তাই আমি এ সংক্রান্ত পরবর্তী প্যাদানি থেকে বেঁচে যাই।
ইতোমধ্যে ক্লাস ফাইভ থেকে বৃত্তি পরীক্ষার সময় এগিয়ে এলো। মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্যে ছ’জনকে নির্বাচিত করা হলো। লিটু, অলোক, মনিরুজ্জামান – এই তিন জনের কথা মনে আছে। বৃত্তি পরীক্ষা দেবার জন্যে ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও আমার সুযোগ না হলে আমি মন খারাপ করি। অংকে আমার দুর্বলতা আমার এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে। দু’তিনদিন পরে জয়ন্ত, দেবাশীষ ও আমাকে আগের ছয়জনের সাথে যোগ করা হয়। এতে আমি নতুন বিপদের মুখোমুখি হই। সহপাঠী লিটু এবং প্রথম সুযোগে যে ছয়জন মনোনীত হয়েছিল, তারা নিরন্তর বলতে থাকে যে আমরা কান্নাকাটি করে চান্স পেয়েছি। শুধু তাই নয়, প্রথম ছয়জন আমাদের সাথে একত্রে বসতে পর্যন্ত অস্বীকৃতি জানাতো। ধীরে ধীরে প্রথম ছয়জন আমাদের সাথে কথা বলাও বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে আমাদের ‘ইনফেরিওর’ গ্রুপ থেকে দেবাশীষকে ‘সুপিরিয়র’ গ্রুপভুক্ত করা হলে আমি আর জয়ন্ত বন্ধুহীন হয়ে পড়ি। জয়ন্ত ছেলেটি একটু বোকাসোকা, সহজ-সরল গোছের ছিল। ও আমাকে ছেড়ে যেতে চাইছিল না। সেই ছোট বয়সে এটি আমার মনোপীড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে আমারই ক’জন সহপাঠী আমার সাথে কথা বলে না, আমার সাথে বসে না, এবং আমাকে নানাভাবে উত্যক্ত করে। আমি আমার এই মনোকষ্টের কথা না বলতে পেরেছি আমার শিক্ষকদেরকে, না বলতে পেরেছি আমার পরিবারের সদস্যদেরকে। কিন্তু আমি খুবই বিষন্ন ও নিরানন্দ বোধ করতে থাকি। কোনো সন্দেহ নেই যারা প্রথমেই সুযোগ পেয়েছিল, তারা আমার থেকে ভালো ছাত্র ছিল কিন্তু একই ক্লাসে পড়ে সেই শিশু বয়েসে কেন ওরা আমাকে ওরকম একঘরে করে মজা পেতো তা আমি জানতাম না। আজ পিছনে ফিরে মনে হয়, এগুলিও ছিল একধরণের র‍্যাগিং যদিও সেইসময় আমার সেই শিশু বন্ধুরা এই শব্দটির সাথে বিন্দুমাত্রও পরিচিত ছিলনা।
এই গল্পটির অবতারণা করার একটি কারণ আছে। ইদানিং র‍্যাগিং শব্দটি নিয়ে বেশ উচ্চবাচ্য হয়। ঢাকার খুবই একটি নামকরা স্কুলে আমার সন্তানকে ভর্তি করতে গেলে সেই স্কুল-সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শিক্ষক আমাকে পরামর্শ দিয়েছিলেন আমি যেন আমার সন্তানকে সেখানে ভর্তি না করি। স্কুলটিতে র‍্যাগিং ও ড্রাগ এর সমস্যা আছে বলে তাঁরা জানান। ড্রাগের কথা শুনে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। স্কুল পর্যায়ে ড্রাগ! র‍্যাগিংয়ের কথা শুনে আমার মনে হয়েছিল আমার সেই শৈশবের কথা। আসলে র‌্যাগিং তখনও ছিল কিন্তু আমাদের বিদ্যালয়গুলিতে তা প্রশমনের বা তদারকির কোনো ব্যবস্থা ছিলনা; শাসন যতই থাকুক না কেনো। আমি নিশ্চিত নই – কয়েক দশক পার হয়ে বিদ্যালয়গুলিতে আজ সেই অবস্থার কতটা পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষকবৃন্দ শিশুদের মনোজাগতিক ভুবনে কতটা প্রবেশ করতে পারেন, মনো-সামাজিক সমস্যাগুলি সমাধানে তাঁদের কতটা দক্ষতা বেড়েছে এতগুলি বছর পরে – আমি নিশ্চিত নই। আমি এটিও নিশ্চিত নই শিক্ষকবৃন্দ এটি মাথায় রাখেন কিনা যে তাঁদের বিদ্যালয়ে কিছু শিক্ষার্থী অবহেলিত থাকে বা অনেক সময় সহপাঠীদের কাছ থেকেই মানসিক পীড়নের শিকার হয় শারীরিক পীড়নের পাশে।
যাহোক, সমস্যা মিটলো পরবর্তীতে আমাদের স্কুলে শিক্ষানবিশি সময় পার করতে আসা পিটিআই-প্রশিক্ষণার্থী আয়েশা আপার কল্যাণে। তিনি আমাকে সবিশেষ স্নেহ করতেন এবং তাঁর প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে কেস-স্টাডির জন্যে আমাকে তিনি নির্বাচন করেছিলেন। তিনি এটি আবিষ্কার করেন যে, আমি ক্লাসে কিছু শিক্ষার্থীর কাছে বিস্ময়করভাবে ব্রাত্য। তিনি সেটি তাঁর সহ প্রশিক্ষণার্থী আমার মেজদিকে জানান। মেজদি এটি আমার বাবাকে জানান। বাবা আমার মেজদিকে দায়িত্ব দেন সেটি স্যারদের সাথে আলোচনা করার জন্যে। মেজদি সেটি স্যারদের জানাবার পর আমার সম্মানিত স্যারেরা শ্রেণিকক্ষে এসে উভয়ের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শুনে বিষয়টি অবগত হন। দু পক্ষের হাত মিলিয়ে দেয়া হয়। ধীরে ধীরে সেই দূরত্ব ঘুঁচে যায়।
হতে পারে, সেই ঘটনায় আমার কোনো দায় বা ভুল ছিল। হতে পারে সেই ভুল ছিল অধিকতর উজ্জ্বল শিক্ষার্থীদের কিংবা উভয়পক্ষেরই। কিন্তু বিদ্যালয়ের স্যারদের নজরেই এটি এলোনা মাসের পর মাস! নজরে এলো মাত্র দুই মাসের জন্যে কাজ করতে আসা একজন প্রশিক্ষণার্থী- শিক্ষকের। এই ঘটনাটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও বিদ্যালয়কেন্দ্রিক/শ্রেণিকেন্দ্রিক ছোট ছোট রিসার্চ ও কেসস্টাডির গুরুত্ব তুলে ধরে। প্রশিক্ষণ সঠিকভাবে অন্তরে ধারণ করলে কী হতে পারে সেটিরও একটি উদাহরণ এই ঘটনাটি। অন্যদিকে, আপা এটি নিষ্ঠার সাথে করেছিলেন এজন্যেই যে তিনি ঠিকমতো তাঁর কাজ করছেন কিনা সেটি দেখার জন্যে সেই সময় পিটিআই এর একজন ইন্সট্রাক্টর (বিনয়/কিশোর স্যার) তাঁকে মনিটর করতেন। সুতরাং এই ঘটনাটি শিক্ষা ব্যবস্থায় মনিটরিং এর গুরুত্বও তুলে ধরে।
আসলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার উদ্দেশ্য, শিখন-শেখানো কার্যক্রমের পদ্ধতি আলাদা। আমাদের স্কুলে মাধ্যমিকের শিক্ষকদের প্রাথমিক শিক্ষার পেডাগোজি বা শিখণ বিজ্ঞান সম্পর্কে অবগত না করেই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণি খোলা হয়েছিল। আমার মনে হয় এধরণের সিদ্ধান্ত নেবার আগে কর্তৃপক্ষের আরো সাবধানী হওয়া প্রয়োজন।
সেই বন্ধুদের অনেকের সাথেই আমার আর এখন যোগাযোগ নেই। দেবাশীষের সাথে প্রায় ২৫ বছর পরে কথা হলো কিছুদিন আগে। ও এখন স্বর্ণব্যবসায়ী। জয়ন্ত জেল-পুলিশ। মনিরুজ্জামান কোথায় জানিনা। ষষ্ঠ শ্রেণির পরে আর এই বন্ধুর সাথে যোগাযোগ হয়নি। ওরা মাগুরা শহর ছেড়ে অন্য কোথাও চলে গিয়েছিলো। সেদিনের সেই মেধাবী, ভীষণ দুষ্ট, চঞ্চল লিটু এখন অর্থনীতির পূর্ণাঙ্গ অধ্যাপক। বরুণ সম্ভবত ভারতে প্রবাসী। অলোক ইঞ্জিনিয়ার হয়ে মার্কিন মুলুকের পাকাপাকি বাসিন্দা। ’বখে যাওয়া’ সেই আমি টেনেটুনে এ পর্যন্ত।
আমার আর ওয়াসিমের মতো নায়ক হওয়া হলোনা। ব্যাটা লিটুই আমার সর্বনাশ (?) করলো। ….

(চলবে)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: গৌতম রায়
গৌতম রায় ইংরেজির অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার পর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বেশ তরুণ বয়সেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পড়িয়েছেন দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই পরবর্তীতে ছাত্র হয়েছেন ইংল্যান্ডের এক্সিটার ইউনিভার্সিটির।‌ যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি ও ওয়ার্ল্ড লার্নিং থেকে নিয়েছেন পেশাগত প্রশিক্ষণ। এখন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের জাতীয় ‌শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে। শিক্ষা বিষয়ক বর্ণিল কাজে নিজেকে ‌সম্পৃক্ত রাখার জন্যই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে তিনি দেখেছেন খুব কাছে থেকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে গৌতম রায়ের পছন্দের আঙ্গিনা শিক্ষকের অনিঃশেষ পেশাগত দক্ষতা, ইন্টারেক্টিভ মেটিরিয়ালস ডিভ্যালপমেন্ট, ও লার্নিং এসেসমেন্ট।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!