চন্দ্রাবতী (১৫৫০ – ১৬০০): মধ্যযুগীয় বাংলার প্রথম নারী কবি ও নারীকেন্দ্রিক রামায়ণ রচয়িতা

আফসানা হোসেন
আফসানা হোসেন - ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
9 মিনিটে পড়ুন
চন্দ্রাবতী, চিত্র: থর, টুনস ম‍্যাগ

চন্দ্রাবতী (১৫৫০ – ১৬০০) ছিলেন ষোড়শ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে প্রথম স্বীকৃত নারী কবি। বাংলা ভাষায় তার সাহিত্যকীর্তি, বিশেষ করে নারীকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রচিত রামায়ণ, তাকে এক অসাধারণ প্রতিভার মর্যাদা দেয়। তিনি ছিলেন কেবল একজন কবি নয়, বরং একজন সমাজসচেতন, আত্মসংযমী ও সাধনায় নিবেদিত নারী, যার জীবনের প্রতিটি অধ্যায় গভীরভাবে সাহিত্য ও ধর্মীয় অনুশীলনের সঙ্গে জড়িত। তার রচনায় নারীর অভিজ্ঞতা, প্রেমে বিশ্বাসঘাতকতার বেদনা, এবং শিব-ভক্তির গভীর ছাপ পরিলক্ষিত হয়।

তথ্যছক: চন্দ্রাবতী

বিষয়তথ্য
পূর্ণ নামচন্দ্রাবতী
জন্মআনুমানিক ১৫৫০, পাতুয়ারি গ্রাম, কিশোরগঞ্জ, বঙ্গ
মৃত্যুআনুমানিক ১৬০০, কিশোরগঞ্জ
জাতীয়তাবাঙালি
পেশাকবি, শিব সাধিকা
প্রধান পরিচিতিবাংলা ভাষায় নারীকেন্দ্রিক রামায়ণ রচয়িতা
সাহিত্যকর্মমলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা, রামায়ণ (অসমাপ্ত)
পিতাদ্বিজ বংশীদাস ভট্টাচার্য
মাতাসুলোচনা বা অঞ্জনা
ধর্মহিন্দু
জন্মস্থানফুলেশ্বরী নদীর তীরে পাতুয়ারি গ্রাম
শিবমন্দিরচন্দ্রাবতীর তপস্যাস্থল, ফুলেশ্বরী নদীর তীরে নির্মিত

জন্ম ও পরিবার

চন্দ্রাবতীর জন্ম আনুমানিক ১৫৫০ সালে, বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার পাতুয়ারি বা পাটোয়ারী গ্রামে, ফুলেশ্বরী নদীর তীরে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন এক সংস্কৃতিপ্রবণ ব্রাহ্মণ পরিবারে, যা বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদচিহ্ন রেখে গেছে। তার পিতা দ্বিজ বংশীদাস ভট্টাচার্য ছিলেন মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা এবং সেই সময়কার একজন প্রখ্যাত কবি ও ধর্মভক্ত। তার মাতা সুলোচনা বা অঞ্জনা ছিলেন ধর্মনিষ্ঠা ও সাহিত্যানুরাগী নারী, যিনি ঘরোয়া পরিবেশে কন্যাকে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধে শিক্ষা দিতেন। চন্দ্রাবতীর শৈশব ছিল সাহিত্য, সঙ্গীত ও ধর্মীয় পরিবেশে গড়ে ওঠা, যেখানে তার চেতনা ও রুচি গঠিত হয় ধর্মীয় কাহিনি, পল্লিগীতি ও পৌরাণিক কাব্য পাঠের মধ্য দিয়ে।

তার নিজের লেখা রামায়ণের ভূমিকায় তিনি যে আত্মপরিচয় দিয়েছেন, তাতে দরিদ্রতাজনিত কষ্ট, সামাজিক সংবেদনশীলতা ও একনিষ্ঠ ভক্তির প্রতিচ্ছবি স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। তিনি সেইসব দুঃসহ অভিজ্ঞতাকে সাহিত্যে রূপ দিয়েছেন যা সাধারণত নারীদের মুখে প্রকাশিত হতো না।

তিনি ফুলেশ্বরী নদীর তীরে কিশোরীবেলাতেই শিবের প্রতি গভীর ভক্তি অর্জন করেন এবং নিয়মিত পূজা-অর্চনা করতেন। নদীর ধারে একান্ত সাধনায় মগ্ন হয়ে তিনি কখনো কখনো দীর্ঘ সময় উপবাসে থাকতেন, যা তার ভক্তিপূর্ণ জীবনযাত্রার অন্যতম প্রমাণ। তার পরিবারের মধ্যে সাহিত্য ও সংগীতচর্চা ছিল একটি দৈনন্দিন অভ্যাস, যার ফলে চন্দ্রাবতী শিশু বয়স থেকেই ছন্দ, অলঙ্কার, এবং ভাষার সৌন্দর্য অনুভব করতে শেখেন।

- বিজ্ঞাপন -

পিতা বংশীদাসের সৃষ্টিশীলতা, ধার্মিকতা ও সামাজিক দায়বদ্ধতা চন্দ্রার মনে গভীর প্রভাব ফেলে। মায়ের স্নেহ ও নৈতিক শিক্ষায় বেড়ে ওঠা এই কন্যা কৈশোর থেকেই পাণ্ডিত্য, কবিত্ব, আধ্যাত্মিকতা এবং নারীর আত্মশক্তি ও আত্মমর্যাদার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন। পরিণতবয়সে এই সমগ্র শৈশবপরিবেশই তাকে গড়ে তোলে এক ব্যতিক্রমধর্মী কবি ও আধ্যাত্মিক সাধিকা হিসেবে।

সাহিত্যকর্ম

চন্দ্রাবতীর সাহিত্যজীবন গড়ে ওঠে একদিকে ধর্মীয় সাধনা ও অন্যদিকে ব্যক্তিগত জীবনের গভীর বেদনার প্রেক্ষিতে। তিনি বাংলা ভাষার অন্যতম প্রাচীন নারী কণ্ঠস্বর হিসেবে নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে কাব্যচর্চা শুরু করেন, যা তার সাহিত্যে নারীর আত্মজিজ্ঞাসা, বঞ্চনা ও আত্মমর্যাদার লড়াইকে সাহসিকতার সাথে তুলে ধরে। নারীর অভ্যন্তরীণ জগৎ এবং সমাজে তাদের ভূমিকার প্রতিফলন তার রচনাগুলোর একটি কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থান করে।

তার প্রধান সাহিত্যকর্মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো:

  • মলুয়া — এটি একটি গীতিনাট্যধর্মী রচনা যা বাংলা লোকসাহিত্যের ঐতিহ্যের অংশ। এই কাব্যে নারীর অনুভূতির সরলতা, প্রেম, পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং আত্মত্যাগের আভাস পাওয়া যায়। এটি লোকজ ছন্দ ও ভাষার ব্যবহার দ্বারা সমৃদ্ধ এবং গ্রামীণ জীবনের অন্তর্নিহিত বেদনা ও শক্তিকে তুলে ধরে।
  • দস্যু কেনারামের পালা (মনসার ভাসান) — এই পালাটি বাংলার জনজীবনের এক বাস্তবচিত্র। এতে দস্যু সংস্কৃতির বিপরীতে নৈতিকতা, ন্যায় এবং ধর্মীয় আস্থার বার্তা তুলে ধরা হয়েছে। চন্দ্রাবতীর দৃষ্টিভঙ্গিতে এ পালাটি কেবল একটি কাহিনি নয়, বরং সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে এক প্রস্তাবনা।
  • রামায়ণ (অসমাপ্ত) — এটি চন্দ্রাবতীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যতিক্রমধর্মী রচনা। তিনি এই মহাকাব্যকে সীতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে রূপান্তর করে উপস্থাপন করেন, যেখানে নারীর সহ্য, আত্মসম্মান এবং সামাজিক নিপীড়নের বেদনাকে প্রকাশ করা হয়েছে। এই রচনায় রামের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং নারীর অন্তর্দহনকে সাহিত্যে নতুনভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।

চন্দ্রাবতীর রামায়ণ বাংলা সাহিত্যজগতে এক বিকল্প নারীবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে প্রতিধ্বনিত হয়। এটি তৎকালীন পুরুষতান্ত্রিক সাহিত্যের বিপরীতে এক নারীকেন্দ্রিক প্রতিক্রিয়া, যা নারীর নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও বেদনার ভাষ্যকে প্রথমবার সাহিত্যে মর্যাদা দেয়। দীনেশচন্দ্র সেন ১৯৩২ সালে তার রামায়ণ সম্পাদনা ও প্রকাশ করেন এবং তার সাহিত্যিক বিশ্লেষণে চন্দ্রাবতীর রচনাকে নারীর মনস্তত্ত্ব, সহমর্মিতা ও বেদনাবোধের অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেন।

গবেষকদের মতে, চন্দ্রাবতীর সৃষ্টিতে বেদনা, সংযম, শক্তি, সমাজ-সচেতনতা এবং নারীসমাজের প্রতি সহানুভূতির অভাবনীয় সমন্বয় ঘটে। তার সাহিত্যে সীতার কণ্ঠে উচ্চারিত বেদনা ও প্রশ্ন আজও পাঠকের হৃদয়ে গভীর নাড়া দেয় এবং আধুনিক নারীবাদী পাঠেও তার লেখা নতুন ব্যাখ্যার পথ খুলে দেয়।

- বিজ্ঞাপন -

প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা ও আত্মত্যাগ

চন্দ্রাবতীর জীবনের এক বিশেষ অধ্যায় তার শৈশবসাথী জয়চন্দ্রের সঙ্গে গড়ে ওঠা প্রেমের সম্পর্ক এবং তা থেকে সৃষ্ট করুণ পরিণতি। কৈশোরে গড়ে ওঠা এই সম্পর্ক কেবল একটি রোমান্টিক বন্ধন ছিল না, বরং সাহিত্য, সংগীত ও ধর্মীয় চর্চার এক অভিন্ন অভিজ্ঞতার রূপ। চন্দ্রাবতী ও জয়চন্দ্র একসাথে পুষ্পবনে ফুল তুলতেন, শিবপূজা করতেন এবং যৌথভাবে কাব্যপাঠে অংশ নিতেন। সেই ঘনিষ্ঠতা থেকেই তাদের সম্পর্ক বিবাহের দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জয়চন্দ্র স্থানীয় মুসলিম শাসকের কন্যা আসমানীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং আসমানীকে বিবাহ করেন। এই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে ঠিক সেদিন, যেদিন চন্দ্রাবতী বিবাহের সাজে প্রস্তুত ছিলেন।

এই বিশ্বাসঘাতকতা চন্দ্রাবতীর জীবনে গভীর হতাশা ও মানসিক বিপর্যয় নিয়ে আসে। তিনি যেন মুহূর্তেই সব কিছু হারিয়ে ফেলেন—বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং ভবিষ্যতের স্বপ্ন। চন্দ্রাবতী তখন এক সাহসী ও আত্মনিয়ন্ত্রিত সিদ্ধান্ত নেন—তিনি সারা জীবন শিবের উপাসনায়, সাহিত্যচর্চা ও ব্রহ্মচর্যব্রতে কাটাবেন। পিতার কাছে অনুমতি নিয়ে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে পিতা তার জন্য নির্মাণ করেন একটি শিব মন্দির, যেখানে তিনি ধ্যান, জপ, কাব্যচর্চা ও শিবসাধনায় আত্মনিবেদিত হন। সেখানে তিনি নিজেকে এক নতুন জীবনে রূপান্তরিত করেন, যেখানে সংসারের মায়া নয়, আধ্যাত্মিক অনুশীলন ছিল তার জীবনের কেন্দ্র।

পরবর্তীতে, অনুশোচনাগ্রস্ত জয়চন্দ্র তার পূর্ব প্রেমিকা চন্দ্রাবতীর কাছে ফিরে এসে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং চিঠির মাধ্যমে তার অনুশোচনা প্রকাশ করেন। কিন্তু চন্দ্রাবতী তখন নিজেকে এতটাই আধ্যাত্মিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ও স্থিত করেছেন যে তিনি তাকে প্রত্যাখ্যান করেন এবং শিবসাধনায় আরো গভীরভাবে নিমগ্ন হন। তার জীবনের এই অধ্যায় প্রেম, বেদনা, আত্মত্যাগ ও ব্রতচারিতার এক অনন্য নজির হয়ে বাংলা সাহিত্যে ও লোককথায় অমর হয়ে রয়েছে।

- বিজ্ঞাপন -

জনসংস্কৃতিতে প্রভাব

চন্দ্রাবতীর জীবন ও সাহিত্য বহু শতাব্দী ধরে লোকসাহিত্যে, পালাগান, নাটক ও চলচ্চিত্রে পুনরুত্থিত হয়েছে। তার রচনাবলি নারীকণ্ঠে গান, বিবাহ অনুষ্ঠানে পাঠ এবং লোকজ পালায় পরিবেশিত হতো। ময়মনসিংহ গীতিকার অন্তর্গত নয়ানচাঁদ ঘোষের রচনায় তার জীবনভিত্তিক পালা ‘চন্দ্রাবতী চরিত’ বিশিষ্টতা পেয়েছে।

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন নাট্যদল তার জীবনকাহিনী অবলম্বনে নাটক মঞ্চস্থ করেছে। কুষ্টিয়ার বোধন থিয়েটার ও ঢাকার সংস্কার নাট্যদলের প্রযোজনা ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ও ‘গীতি চন্দ্রাবতী’ তার সাহিত্য ও জীবনকে নতুনভাবে তুলে ধরে। ২০২২ সালে এন রাশেদ চৌধুরী নির্মাণ করেন পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র চন্দ্রাবতী কথা, যেখানে কবির সংগ্রামী জীবন, প্রেম-বিরহ ও নারীত্বের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে।

তার জন্মস্থান পাতুয়ারি গ্রাম ও ফুলেশ্বরী নদীঘেঁষা চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির আজও ইতিহাসের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে বিবেচিত হয়। তার কাব্য ও জীবনকাহিনী আজও নারীর আত্মপ্রত্যয়, সংস্কারবিরোধী চিন্তা ও মানবিক বোধের প্রেরণা জোগায়।

চন্দ্রাবতী কেবল বাংলার প্রথম নারী কবিই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নারীর দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা সাহিত্যের একজন অগ্রদূত ও সাহসী কণ্ঠস্বর। তার রামায়ণ কাব্য, যেখানে সীতার বেদনার চোখ দিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে রামের পুরুষতান্ত্রিক আচরণ, বাংলা সাহিত্যে নারীর ব্যথা ও প্রতিবাদের এক যুগান্তকারী উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত জীবনের আত্মত্যাগ, শিবসাধনায় আত্মনিবেদন, এবং আত্মপ্রত্যয় তার জীবনচরিতকে এক মহীয়সী নারীর জীবন্ত প্রতিমূর্তিতে রূপ দিয়েছে। তিনি প্রমাণ করেছেন, সাহিত্য শুধু অলঙ্কারের বাহার নয়, তা হতে পারে প্রতিবাদের ভাষা, আত্মপরিচয়ের সংগ্রাম এবং সামাজিক চিন্তার বিপ্লব। পুরুষতান্ত্রিক প্রেক্ষাপটে নারী অভিজ্ঞতাকে সাহসের সঙ্গে উপস্থাপন করে তিনি ভবিষ্যতের নারী লেখকদের পথ দেখিয়ে গেছেন এবং একটি বিকল্প সাহিত্যের ধারা তৈরি করে দিয়েছেন।

চন্দ্রাবতীর জীবন ও সাহিত্য বাঙালি নারীর আত্মপরিচয়ের সংগ্রামের এক অনন্য দলিল। তার রচনার মধ্য দিয়ে আমরা পাই ভালোবাসা, ত্যাগ, আধ্যাত্মিকতা, আত্মশক্তি এবং নারীত্বের বহুমাত্রিক প্রকাশ। তিনি যে সাহিত্যের উত্তরাধিকার রেখে গেছেন, তা কেবল বাংলা সাহিত্যেই নয়, দক্ষিণ এশিয়ার নারীবাদী সাহিত্যধারায়ও অনন্য অবদান হিসেবে চিহ্নিত। চন্দ্রাবতীর কাব্যিক কণ্ঠস্বর আজও নারীর অভিজ্ঞতা, হৃদয়বিদারক বাস্তবতা এবং নৈতিক দৃঢ়তাকে তুলে ধরার এক প্রেরণাদায়ক পথ।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য নেই

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

একটি অ্যাকাউন্ট নেই? নিবন্ধন করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!