চীন-তাইওয়ান: কার সামরিক শক্তি কেমন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
সাম্প্রতিক সময়ে চীন-তাইওয়ান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফাইল ছবি

মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির বিতর্কিত তাইওয়ান সফরের পর এশিয়ায় নতুন করে সংঘাতের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। চীনের তীব্র আপত্তি আর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে পেলোসির সংক্ষিপ্ত ঘিরে চীন ও তাইওয়ানের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। তাইওয়ানে যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চীন ও তাইওয়ান কার সামরিক শক্তি কেমন।

জনসংখ্যা

চীনের জনসংখ্যা ১৩৯ কোটি ৮০ লাখ। তাইওয়ানের জনসংখ্যা মাত্র দুই কোটি ৩৬ লাখ। জনসংখ্যার বিচারে চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনাই চলে না। উপরের ছবিটি চীনের একটি স্টেশনের।

প্রতিরক্ষা বাজেট

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার, ২০২২-এর হিসাব অনুযায়ী, সামরিক খাতে চীন বিপুল খরচ করে। খুব কম দেশই এতটা খরচ করে বা করতে পারে। চীনের প্রতিরক্ষা বাজেট হলো ২৩ হাজার কোটি ডলার। সেই তুলনায় তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বাজেট এক হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। উপরের ছবিটি তাইওয়ানের সেনার।

সেনার সংখ্যা

চীনের সক্রিয় সেনার সংখ্যা ২০ লাখ। আর তাইওয়ানের এক লাখ ৭০ হাজার মাত্র। ফলে সেনাসংখ্যার হিসাবেও চীন ও তাইওয়ানের কোনো তুলনা চলে না। উপরের ছবিটি চীনের সেনার প্যারেডের।

কার কাছে কত ট্যাঙ্ক

চীনের কাছে আছে পাঁচ হাজার ২৫০টি ট্যাঙ্ক। আর তাইওয়ানের কাছে এক হাজার ১১০টি। ফলে তুলনা অসম। উপরে চীনের ট্যাঙ্কের ছবি।

যুদ্ধবিমানের সংখ্যা

চীনের কাছে তিন হাজার ২৮৫টি যুদ্ধবিমান আছে। তাইওয়ানের কাছে আছে মাত্র ৭৪১টি। তবে তাইওয়ানের কাছে এফ ১৬ যুদ্ধবিমান রয়েছে।ছবিতে তাইওয়ানের এফ ১৬ যুদ্ধবিমান।

নৌবহরের সংখ্যা

চীনের নৌবহর ৭৭৭টি। তাইওয়ানের মাত্র ১৭৭টি। উপরে চীনের যুদ্ধজাহাজের ছবি।

প্রশান্ত মহাসাগরে কে কত খরচ করে

ট্রেন্ডস ইন ওয়ার্ল্ড মিলিটারি এক্সপেন্ডিচার ২০২১ অনুযায়ী, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি খরচ করে অ্যামেরিকা, ৮০ হাজার কোটি ডলার। দ্বিতীয় স্থানে আছে চীন। তারা ২৯ হাজার কোটি ডলার খরচ করে। তাইওয়ান সেখানে খরচ করে এক হাজার তিনশ কোটি ডলার। তবে তারা সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের থেকে বেশি অর্থ খরচ করে। উপরের ছবিতে প্রশান্ত মহাসাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ।

কাকে বাছবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলো

যদি এরকম পরিস্থিতি আসে, বাধ্য হয়ে কাউকে সমর্থন করতে হচ্ছে, তাহলে কাকে সমর্থন করবে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলি? দ্য স্টেট অফ সাউথইস্ট এশিয়া ২০২২ জানাচ্ছে, লাও, কম্বোডিয়া ও ব্রুনেই নিশ্চিতভাবে চীনের দিকে যাবে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন্স, মিয়ানমারের অ্যামেরিকার দিকে থাকার সম্ভাবনা বেশি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!