ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি শুরু হচ্ছে চলতি সপ্তাহেই

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

জাতিসংঘের যুগান্তকারী চুক্তির পর ইউক্রেনের খাদ্যশস্য রপ্তানি তদারকির জন্য ইস্তাম্বুলে একটি কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকর এই কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন। ইউক্রেনীয় শস্যের প্রথম চালানটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

বৈশ্বিক খাদ্য সংকট প্রশমনে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে আটকা খাদ্যশস্য ও সারের রপ্তানি পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে গত শুক্রবার জাতিসংঘ ও আঙ্কারার মধ্যস্থতায় রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়।

ইস্তাম্বুলে চালু করা যৌথ তদারকি কেন্দ্র (জেসিসি) ইউক্রেনীয় তিনটি বন্দর থেকে খাদ্যশস্য ও সারবাহী জাহাজের তত্ত্বাবধান করবে। এসব জাহাজকে অবশ্য সমুদ্রে পেতে রাখা ইউক্রেনের মাইন পেরিয়ে আসতে হবে। এছাড়া অস্ত্রের জন্য ইউক্রেনে পৌঁছানো জাহাজেও নজরদারি করবে জেসিসি।

সব জাহাজ তুরস্কের জলসীমার মধ্য দিয়ে যাবে এবং সব পক্ষ এই পরিকল্পনার বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য জেসিসিতে প্রতিনিধি নিয়োগ করবে। ইউক্রেন, রাশিয়া, তুরস্ক এবং জাতিসংঘের মোট ২০ জন কর্মী ওই কেন্দ্রে পাশাপাশি থেকে কাজ করবেন।

ইস্তাম্বুলের লেভেন্ত জেলার ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটিতে যৌথ সমন্বয় কেন্দ্রটি চালু করা হয়েছে। সেখানে উদ্বোধনী বক্তৃতায় তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আকর বলেছেন, ইউক্রেনের আড়াই কোটি টনেরও বেশি শস্য রপ্তানির অপেক্ষায় আছে।

সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ইউক্রেনীয় বন্দর থেকে শস্যবোঝাই প্রথম জাহাজের যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা অব্যাহত রয়েছে।

ইস্তাম্বুলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের ১২ ঘণ্টা না যেতেই শনিবার সকালে ইউক্রেনের বৃহত্তম ওডেসা বন্দরে রাশিয়া ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। রাশিয়ার এই হামলার পর চুক্তিটির বাস্তবায়ন নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।

তবে সংঘাতের ষষ্ঠ মাসে এসে ঐতিহাসিক এই চুক্তিকে এগিয়ে নিতে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে রাশিয়া-ইউক্রেন। জাতিসংঘ, ইউক্রেন এবং রাশিয়া বলেছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে রপ্তানি শুরু হবে বলে আশা করছে তারা। তবে বুধবার রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেই রুদেনকো বলেছেন, রাশিয়ার কৃষি রপ্তানির প্রতিবন্ধকতা অবিলম্বে অপসারণ করা না হলে চুক্তিটি ভেস্তে যেতে পারে।

চলমান সংঘাতে রাশিয়া কৃষ্ণসাগর অবরুদ্ধ করে রাখায় গত পাঁচ মাস ধরে সাগরে শত শত জাহাজ আটকা রয়েছে। তবে চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ায় কৃষ্ণসাগরের তীরবর্তী তিনটি বন্দর থেকে কয়েক ডজন পণ্যবাহী জাহাজ যাত্রা শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে। তুরস্কের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, জাহাজের প্রস্থানসহ একটি নিরাপদ রুটের ব্যাপারে বিস্তারিত কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলে সমুদ্রের মাইন পরিষ্কারের প্রয়োজন হবে না।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে তুরস্কের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘জাহাজের যাত্রা শুরুতে কয়েক দিনের বেশি সময় লাগবে না। চলতি সপ্তাহেই প্রথম শস্য লোড করা হবে এবং ইউক্রেন থেকে এর রপ্তানি শুরু হবে।’

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। আক্রমণ শুরুর আগে ইউক্রেন এবং রাশিয়া যৌথভাবে বিশ্বের চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ গমের সরবরাহকারী ছিল। ফেব্রুয়ারি থেকেই সমুদ্রপথে ইউক্রেনের চালান বন্ধ রয়েছে। যা শস্য, রান্নার তেল, জ্বালানি এবং সারের বৈশ্বিক মূল্যের তীব্র বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: রয়টার্স।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!