মামুনুল হকের তিন স্ত্রী এবং কাবিন মাত্র একটি

নিজস্ব সংবাদদাতা
নিজস্ব সংবাদদাতা
2 মিনিটে পড়ুন
মামুনুল হক গ্রেপ্তার, ছবি সংগৃহিত

গত রোববার দুপুরে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেফতারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনজন নারীকে বিয়ের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এর মধ্যে শুধু প্রথম বিয়ের কাবিন আছে, পরের দুই বিয়ের কাবিন নেই বলে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন। মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর রাতে তদন্ত কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তদন্তে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, তিন স্ত্রীর মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস লিপি তার ছোট স্ত্রী। মেঝ স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা এবং বড় বা প্রথম স্ত্রী আমেনা তৈয়বা। মেঝো ও ছোট স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের কোনো কাবিননামা হয়নি বলে মামুনুল তাদের বলেছেন।

মামুনুল পুলিশ কর্মকর্তাদের আরও বলেছেন, ছোট স্ত্রীর সঙ্গে তিনি বেশি সময় কাটাতেন। তবে তাকে কবে বিয়ে করেছেন সে ব্যাপারে কোনো কথা বলেননি।

কয়েকদিন আগে শাহজাহান নামে গাজীপুরের এক ব্যক্তি গত ১১ এপ্রিল মোহাম্মদপুর থানায় এক সাধারণ ডায়েরিতে বলেছেন, আগের দিন ১০ এপ্রিল মামুনুল তাকে জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রায় ডেকে নিয়ে জানিয়েছেন, তার বোন লিপিকে সে বিয়ে করেছেন। এ সময় তাকে একটি চুক্তিনামা দেখান। এর আগে ৭ এপ্রিল বোনের সঙ্গে সর্বশেষ তার কথা হয়েছিল বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭৪ সালের মুসলিম বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন অনুযায়ী প্রতিটি বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। কার সঙ্গে কার বিয়ে, কখন কখন, কিভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কত দেনমোহর ধার্য, কী কী শর্তে বিয়ে সম্পন্ন হলো, সাক্ষী ও উকিলের নাম প্রভৃতির একটা হিসাব সরকারী নথিতে লিখে রাখাই হলো নিবন্ধন। বর্তমান আইন অনুযায়ী বিয়ে নিবন্ধন করার দায়িত্ব মূলত বরের। বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বিয়ে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। অন্যথায় কাজি ও পাত্রের দুই বছর পর্যন্ত বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা তিন হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় ধরনের সাজার বিধান রাখা হয়েছে। যে ক্ষেত্রে কাজি বিয়ে পড়িয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে কাজি তাৎক্ষণিকভাবে বিয়ে নিবন্ধন করবেন। নিকাহনামা বা কাবিননামা ছাড়া বিয়ে প্রমাণ করা দুঃসাধ্য। বিয়ে নিবন্ধন করা থাকলে তালাকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করা সহজ হয়। স্ত্রীর দেনমোহর ও ভরণপোষণ আদায়ের জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। সন্তানের বৈধ পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কাবিননামার প্রয়োজন হয়। তবে বিয়ে নিবন্ধন না করলেও বিয়ে বৈধ হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!