সাংবাদিক সৌরভকে জোর করে কলমা পাঠের অভিযোগ হেফাজত কর্মীদের বিরুদ্ধে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
8 মিনিটে পড়ুন

গতকাল বরিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের গাড়ি পোড়ানোর ছবি তুলতে গিয়ে হেফজতে ইসলাম কর্মীদের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে দৈনিক সংবাদ’র নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সৌরভ হোসাইন সিয়াম। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাকে জোরপূর্বক ‘কলমা’ পাঠ করানোর অভিযোগ উঠেছে হেফাজত কর্মীর বিরুদ্ধে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীবাংলাদেশ সফর বিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জের মৌচাক এলাকায় মাদানীনগর মাদ্রাসার সামনে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার সময় সংগঠনটির কর্মীদের রোষানলে পড়েন। তাকে শারীরিক আক্রমণ করে নাম পরিচয় জানতে চায় হেফাজত কর্মীরা। তিনি নিজের নাম প্রথমে সৌরভ বলাতে তাকে হিন্দু মনে করে এবং হেফাজত কর্মীদের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হন তিনি। পরে তিনি নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিলে এবং নিজের পুরো নাম বলার পরেও হেফাজত কর্মীরা তা অবিশ্বাস করে এবং তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিনা নিশ্চিত হতে জোর করে তাকে কলমা পাঠ করতে বাধ্য করে। কালেমা পাঠ করার পরও ২০ মিনিট সৌরভকে আটকে রাখে হরতাল সমর্থক হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। অন্য সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সৌরভকে উদ্ধার করেন।

সৌরভের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,

‘রোববার দিনভর সংবাদকর্মীদের প্রতি হিংস্রতা দেখিয়েছে হেফাজতের হরতালে থাকা পিকেটাররা। হেফাজতের হামলার শিকার আমি সৌরভ হোসেন সিয়াম নিজে। তাদের কাছে আমার পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়েছে। চার কালেমার দুই কালেমা মুখস্থ বলতে হয়েছে। কয়টা সুরা মুখস্থ তা জানাতে হয়েছে। নামের একটা অংশে সিয়াম (তাদের মতে সৌরভ হিন্দুয়ানী নাম) থাকাতে তাদের স্বস্তি হয়েছে… বিশ থেকে বাইশ মিনিট একটা গাছ কাটার করাত কলে অবরুদ্ধ ছিলাম। চারদিকে ঘিরে ছিল দাড়ি-টুপিওয়ালা তৌহিদি জনতা (হ্যাঁ, আমি তাদেরকে এভাবেই চিহ্নিত করতে চাই) প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরতে পেরেছি এটাই অনেক।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘শরীরে ভয়ানক ব্যথা নিয়ে বিছানায় পড়ে আছি। পাশেই কোনো এক মাহফিল থেকে বলছে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। হ্যাঁ, বোধ হওয়ার পর থেকে এমনটাই শুনে আসছি। তাহলে দুপুরে নারায়ে তাকবীর বলে যারা আমাকে পেটাল তারা কি শান্তির বার্তাবাহক!’

হরতাল চলাকালীন সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেফাজতে ইসলামী কর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছে, নিউএইজের সাংবাদিক মোক্তাদির রশিদ রোমিও। তার সঙ্গে ছিলেন আরটিভি অনলাইনের একজন সাংবাদিক। শিরাইরাইলের কাছাকাছি জায়গায় হামলার শিকার হন তাকে আটক করে হেফাজত কর্মীরা। তিনি পরিচয় পত্র দেখানোর পরেও সঠিক নিউজ প্রচার হচ্ছে না’ দাবি করে রোমিও মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে পিকেটাররা।

সানারপাড় মোড়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি গাড়ি চালককের মারধর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয় পিকেটাররা এবং গাড়িটি ভেঙে চুরমার করে দেয়।

নগরীর সাইনবোর্ড এলাকায় ছবি তোলার সময় হামলার শিকার হয়েছেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইন এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় পিকেটাররা।

পিকেটারদের দেওয়া আগুনে জ্বলতে থাকা গাড়ির ভিডিও ফুটেজ নেয়ার সময় মারধরের শিকার হয়েছেন জিটিভির ক্যামেরাপারসন মাসুদুর রহমান। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছে হেফাজতের পিকেটাররা।

নারায়ণগঞ্জের মৌচাক এলাকা দিয়ে যাবার সময় মারধরের শিকার হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক এম কে রায়হান ও বৈশাখী টেলিভিশনের আশিক মাহমুদ। পিকেটাররা তাদের পিছু ধাওয়া করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

সাংবাদিক আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো ছবি তুলছিলাম না, এমনকি ফোনও আমাদের হাতে ছিল না। পুলিশ পিকেটারদের হটিয়ে সামনে যাওয়ার পর আমাদের পেয়ে ‘এই ধর সাংবাদিক, পিঠা, জন্মের মাইর দে’ এসব বলে আমাদের বেধড়ক লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সারা শরীর জুড়ে মাইরের দাগ।’

গতকাল বরিবার হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের গাড়ি পোড়ানোর ছবি তুলতে গিয়ে হেফজতে ইসলাম কর্মীদের হাতে শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে দৈনিক সংবাদ’র নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি সৌরভ হোসাইন সিয়াম। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তাকে জোরপূর্বক ‘কলমা’ পাঠ করানোর অভিযোগ উঠেছে হেফাজত কর্মীর বিরুদ্ধে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর বিরোধী বিক্ষোভে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধর্মীয় সংগঠন হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালে নারায়ণগঞ্জের মৌচাক এলাকায় মাদানীনগর মাদ্রাসার সামনে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি তোলার সময় সংগঠনটির কর্মীদের রোষানলে পড়েন। তাকে শারীরিক আক্রমণ করে নাম পরিচয় জানতে চায় হেফাজত কর্মীরা। তিনি নিজের নাম প্রথমে সৌরভ বলাতে তাকে হিন্দু মনে করে এবং হেফাজত কর্মীদের হাতে বেধড়ক মারধরের শিকার হন তিনি। পরে তিনি নিজেকে মুসলিম পরিচয় দিলে এবং নিজের পুরো নাম বলার পরেও হেফাজত কর্মীরা তা অবিশ্বাস করে এবং তিনি ইসলাম ধর্মাবলম্বী কিনা নিশ্চিত হতে জোর করে তাকে কলমা পাঠ করতে বাধ্য করে। কালেমা পাঠ করার পরও ২০ মিনিট সৌরভকে আটকে রাখে হরতাল সমর্থক হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা। অন্য সাংবাদিকরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সৌরভকে উদ্ধার করেন।

সৌরভের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন,

‘রোববার দিনভর সংবাদকর্মীদের প্রতি হিংস্রতা দেখিয়েছে হেফাজতের হরতালে থাকা পিকেটাররা। হেফাজতের হামলার শিকার আমি সৌরভ হোসেন সিয়াম নিজে। তাদের কাছে আমার পরিচয় নিশ্চিত করতে হয়েছে। চার কালেমার দুই কালেমা মুখস্থ বলতে হয়েছে। কয়টা সুরা মুখস্থ তা জানাতে হয়েছে। নামের একটা অংশে সিয়াম (তাদের মতে সৌরভ হিন্দুয়ানী নাম) থাকাতে তাদের স্বস্তি হয়েছে… বিশ থেকে বাইশ মিনিট একটা গাছ কাটার করাত কলে অবরুদ্ধ ছিলাম। চারদিকে ঘিরে ছিল দাড়ি-টুপিওয়ালা তৌহিদি জনতা (হ্যাঁ, আমি তাদেরকে এভাবেই চিহ্নিত করতে চাই) প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরতে পেরেছি এটাই অনেক।’

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘শরীরে ভয়ানক ব্যথা নিয়ে বিছানায় পড়ে আছি। পাশেই কোনো এক মাহফিল থেকে বলছে, ইসলাম শান্তির ধর্ম। হ্যাঁ, বোধ হওয়ার পর থেকে এমনটাই শুনে আসছি। তাহলে দুপুরে নারায়ে তাকবীর বলে যারা আমাকে পেটাল তারা কি শান্তির বার্তাবাহক!’

হরতাল চলাকালীন সময়ে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে হেফাজতে ইসলামী কর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছে, নিউএইজের সাংবাদিক মোক্তাদির রশিদ রোমিও। তার সঙ্গে ছিলেন আরটিভি অনলাইনের একজন সাংবাদিক। শিরাইরাইলের কাছাকাছি জায়গায় হামলার শিকার হন তাকে আটক করে হেফাজত কর্মীরা। তিনি পরিচয় পত্র দেখানোর পরেও সঠিক নিউজ প্রচার হচ্ছে না’ দাবি করে রোমিও মাথায় বাঁশের লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে পিকেটাররা।

সানারপাড় মোড়ের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বেসরকারি টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের একটি গাড়ি চালককের মারধর করে গাড়ির চাবি কেড়ে নেয় পিকেটাররা এবং গাড়িটি ভেঙে চুরমার করে দেয়।

নগরীর সাইনবোর্ড এলাকায় ছবি তোলার সময় হামলার শিকার হয়েছেন নিউজবাংলা টোয়েন্টিফোরের নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি বিল্লাল হোসাইন এবং তার কাছে থাকা মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় পিকেটাররা।

পিকেটারদের দেওয়া আগুনে জ্বলতে থাকা গাড়ির ভিডিও ফুটেজ নেয়ার সময় মারধরের শিকার হয়েছেন জিটিভির ক্যামেরাপারসন মাসুদুর রহমান। তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেছে হেফাজতের পিকেটাররা।

নারায়ণগঞ্জের মৌচাক এলাকা দিয়ে যাবার সময় মারধরের শিকার হয়েছে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের সাংবাদিক এম কে রায়হান ও বৈশাখী টেলিভিশনের আশিক মাহমুদ। পিকেটাররা তাদের পিছু ধাওয়া করে এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।

সাংবাদিক আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আমরা কোনো ছবি তুলছিলাম না, এমনকি ফোনও আমাদের হাতে ছিল না। পুলিশ পিকেটারদের হটিয়ে সামনে যাওয়ার পর আমাদের পেয়ে ‘এই ধর সাংবাদিক, পিঠা, জন্মের মাইর দে’ এসব বলে আমাদের বেধড়ক লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করা হয়েছে। সারা শরীর জুড়ে মাইরের দাগ।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!