কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির প্রাণের উচ্ছ্বাস

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ এর মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় শোভাযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি টিএসসি-ভিসি বাংলো সংলগ্ন স্মৃতি চিরন্তন মোড় ঘুরে আবার একই স্থানে গিয়ে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় আবহমান বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের প্রতীকী উপস্থাপনের নানা বিষয় স্থান পেয়েছে।

অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রাণের উৎসব বর্ষবরণ। বাংলা বর্ষবরণে বাঙালির নানা আয়োজনের মধ্যে মঙ্গল শোভাযাত্রা অন্যতম। এবারের বর্ষবরণের প্রতিপাদ্য রজনীকান্ত সেনের অ্যালবাম থেকে নেওয়া। এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’।

Untitled design33 কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির প্রাণের উচ্ছ্বাস
কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির প্রাণের উচ্ছ্বাস 40

শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। শোভাযাত্রায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়েছেন। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো রয়েছে পুরো এলাকা।

শোভাযাত্রা নিয়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি থাকলেও তারুণ্যের উচ্ছ্বাসের কাছে হার মানে সবকিছুই। ঢাক-ঢোলের বাদ্যের তালে তালে তরুণ-তরুণীদের নৃত্য, হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ উল্লাস মাতিয়ে রাখে পুরো শোভাযাত্রা।

Untitled design34 কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির প্রাণের উচ্ছ্বাস
কঠোর নিরপত্তার মধ্যে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালির প্রাণের উচ্ছ্বাস 41

মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল থেকেই টিএসসি, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ ও এর আশপাশের এলাকায় মানুষ জড়ো হতে থাকে। তবে গত বছরগুলোর তুলনায় এবার লোকসমাগম কিছুটা কম দেখা যায়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারী নারীদের পরনে শোভা পায় লাল-সাদা পোশাক, মাথায় নানান রঙ্গের ফুলের টায়রা। তরুণদের পরনে লাল-সাদা পাঞ্জাবি।

শোভাযাত্রা ঘিরে ছিল কয়েক স্তরের নিরাপত্তা। প্রথমে এলিট ফোর্স র‍্যাব, সোয়াট টিম, গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) পুলিশ। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল।

শোভাযাত্রার পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। পথিমধ্যে কেউ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে পারছেন না। কারণ চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়েছে। গতবারের মতো এবারও মুখোশ ব্যবহার ও ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চালু হওয়া এ মঙ্গল শোভাযাত্রা।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!