বাখমুতের শহর দখল নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের পাল্টাপাল্টি দাবি

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
ইউক্রেন সেনার রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে গোলা ছুড়তেছে। ছবি এএফপি

পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত শহরের কাছে ক্রাসনা হোরা নামের একটি শহর দখল নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেন পাল্টাপাল্টি দাবি করেছে। সোমবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, রুশ সেনাবাহিনী শহরটির দখল নিয়েছে। তবে ইউক্রেন রাশিয়ার এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, শহরটি দখলে নেওয়ার দাবি সত্য নয়। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ খবর জানিয়েছে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৈনিক ব্রিফিংয়ে বলা হয়েছে, ডনেস্ক অভিমূখে রাশিয়ার স্বেচ্ছাসেবী সেনারা রকেট ও কামানের সহযোগিতায় ক্রাসনা হোরা বসতি দখল করা হয়েছে।

এর আগে রুশ ভাড়াটে যোদ্ধা গোষ্ঠী ওয়াগনার দাবি করেছিল বাখমুতের উত্তরে অবস্থিত ছোট গ্রামটির দখল নিয়েছে তারা। একই সঙ্গে ডনেস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে লড়াই জোরদার হয়েছে। ওয়াগনারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে তাদের যোদ্ধাদের একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে যোদ্ধাদের পেছনে ক্রাসনা হোরা সাইনবোর্ড দেখা গেছে।

ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন দাবি করেছেন, বাখমুত দখলের লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে তার যোদ্ধারা।

কয়েক দিন ধরে মস্কো দাবি করে আসছে, রুশ সেনারা বাখমুত শহর ঘিরে ফেলার লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। উত্তর-দক্ষিণ থেকে বাখমুতে যাওয়ার প্রধান সড়কের পাশে ক্রাসনা হোরার অবস্থিত। গত মাসের রাশিয়ার দখলকৃত সোলেদার শহরের নিম্ন দিকে এটির অবস্থান।

ইউক্রেনীয় সেনারা গত কয়েক দিন ধরে ক্রাসনা হোরা ঘিরে তুমুল লড়াইয়ের কথা বলে আসছিল। সোমবার রাশিয়া এলাকাটি দখলের দাবি করার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। পূর্বাঞ্চলীয় সামরিক শাখার মুখপাত্র সেরহি চেরেভাটি বলেছেন, রাশিয়ার দাবি সত্য নয়। সেখানে এখনও লড়াই চলছে। আমরা তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।

তিনি আরও বলেছেন, বাখমুত রুশ আক্রমণের প্রধান লক্ষ্যবস্তু। বাখমুত সেক্টরে শত্রুরা ৮৫টি হামলা চালিয়েছে। বাখমুতের রুটে হামলার সক্ষমতা রয়েছে রুশ সেনাদের। তবে আমাদের অস্ত্র, খাদ্য, সরঞ্জাম ও চিকিৎসা সরবরাহ ও আহতদের সরিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সোমবার টেলিগ্রামে এক পোস্টে বলেছে, বাখতুমের লড়াই চলমান রয়েছে।

ইউক্রেনে আক্রমণের বর্ষপূর্তিকে উপলক্ষ ধরে পূর্বাঞ্চলে নতুন আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া, এমন আশঙ্কার কথা ইউক্রেনীয় ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা বেশ কয়েক দিন ধরে বলে আসছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে তারা বলছেন, ইতোমধ্যে নতুন আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলেছেন, বাস্তবতা হলো আমরা দেখছি রাশিয়ার একটি নতুন আক্রমণ শুরু হয়ে গেছে। ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহ করা জরুরি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!