একটি রাত এবং কলতান-অনন্যা

গোলোকেশ্বর সরকার
গোলোকেশ্বর সরকার
11 মিনিটে পড়ুন

এক

দোতলা ছাদের ওপর টবে লাগানো মাঝারি আকারের আম গাছে বাসা করা একটি ভাত-শালিক পাখি বাচ্চা দিয়েছিল। পাখিটি তার দু’টি ডানা দিয়ে বাচ্চাদের ঢেকে নিয়ে আদর করছিল, উষ্ণতা দিচ্ছিল, দুটো ডানা দিয়ে বাচ্চাদের সুরক্ষা দিচ্ছিল। দুপুর বেলা। কলতান ছাদে দাঁড়িয়ে দু’টি ডানা দিয়ে ভাত শালিকটির সন্তানদের স্নেহ করা, তাপ দেওয়া, নিরাপত্তা দেওয়া মনোযোগ সহকারে দেখছিল। কলতানের শুধু দীর্ঘশ্বাস পড়ছিল। হাহাকার করছিল তার বুকের ভেতরটা। পিয়াসা পেছন থেকে চুপিচুপি এসে কলতানকে গায়ের সব শক্তি দিয়ে জড়িয়ে ধরল। কলতান বলল, “পিয়াসা, ছাড়ো, ছাড়ো।” পিয়াসা কলতানকে ছাড়ল না। কলতান আবার বলল, “পিয়াসা, ছাড়ো। আমি আম গাছে পাখির দুটো ডানা দিয়ে তার বাচ্চাদের পাহারা দেওয়া দেখছি।” পিয়াসা কলতানকে ছাড়ল না। কলতানকে বেশ জোরে জড়িয়ে ধরে পিয়াসা বলল, “বাবা, আমার দুটো হাত দিয়ে তোমাকে রাতের বেলা কঠোর ভাবে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থেকে তোমাকে পাহারা দেব আমি। চুপচুপি তোমাকে পালিয়ে যেতে যেতে দেব না। আমার দু’টি হাত দিয়ে তোমাকে খুব কড়া ভাবে বেঁধে রাখব আমি।”

বিকেল হলো। ঘরের মধ্যে কাচের পাল্লা দেওয়া আলমারির টেডি বিয়ারটি দেখিয়ে পিয়াসা কলতানকে বলল, “বাবা, টেডি বিয়ারটি বের করো। আমি খেলব।” পিয়াসার আবদারে কলতান দেওয়াল আলমারি থেকে নীল টেড বিয়ারটি বের করল। কলতান ও পিয়াসা দু’জনে মিলে অনেকক্ষণ ধরে সেই বিয়ারটির সঙ্গে খেলল। অনন্যা এসে খেলাতে যোগ দিল। তিন জন মিলে নীল টেডি বিয়ারটি নিয়ে খুব… খুব খেলল।

রাত দশটা বাজল। বিছানায় শুয়ে পড়ল কলতান, অনন্যা ও পিয়াসা। পিয়াসা মাঝখানে। এক দিকে কলতান অপর দিকে অনন্যা। টেডি বিয়ারটি পিয়াসা তার মাথার পেছনে রাখল। দু’হাত দিয়ে পিয়াসা কলতানকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল, কলতানকে পিয়াসা মজবুত করে ধরে রাখল। পিয়াসা কলতানকে বলল, “বাবা, তোমাকে আমার দুটো হাতে শক্ত করে ধরে রাখলাম, তোমাকে বেঁধে রাখলাম।” দোতলার ওপর একটি শোওয়ার ঘর। এসি ঘর। সেগুন কাঠের দামি বক্সখাট। খাটের ওপর নরম তুলতুলে গদি। গদির ওপর ডলফিনের থ্রিডি ছবি আঁকা বিছানার চাদর। নরম তুলতুলে বালিশ। বালিশে মাথা দিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ল পিয়াসা। পিয়াসা চোখ দু’টি বন্ধ করল। সবে গরম শুরু হয়েছে। ঘরে এসি চলছিল। ঠান্ডা ঘর। অল্প সময়ের মধ্যে গভীর ঘুমে হারিয়ে গেল পিয়াসা।

সূচিপত্র

দুই

কলতান হাইস্কুলের শিক্ষক। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হরিরামপুরে। চাকরি করে হরিরামপুর থেকে অনেক দূর জলপাইগুড়ি জেলায়। অনন্যাও চাকরি করে। হরিরামপুর হাইস্কুলের দিদিমণি। ছোট পিয়াসা কলতান ও অনন্যার একমাত্র মেয়ে। বয়স ছ’বছর। বিয়ের আগে গভীর ভাবে প্রেম করত কলতান ও অনন্যা। প্রেম করার সময় অনন্যা একদিন ‘তিস্তা-তোর্ষা কালেকশন’ নামে একটি বড় স্টেশনারি দোকানে রোবট যন্ত্রের সাহায্যে ঘর ঝাট দেওয়ার জন্য ‘রোবট ভ্যাকুয়াম ক্লিনার’ কিনতে গিয়েছিল। সঙ্গে ছিল কলতান। দোকানে বিভিন্ন রঙের বড় আকারের টেডি বিয়ার রাখা ছিল। টেডি বিয়ারগুলো দেখিয়ে কলতান অনন্যাকে বলেছিল, “জানো অনন্যা, বিভিন্ন রঙের টেডি বিয়ার ভিন্ন ভিন্ন বার্তা বহন করে। লাল টেডি বিয়ার আবেগ এবং ভালোবাসার প্রতীক। গোলাপি টেডি বিয়ার মানে, উপহার প্রেরক উপহার প্রাপকের প্রস্তাবে সম্মত এবং উপহার প্রেরক উপহার প্রাপককে ভালোবাসে। নীল টেড বিয়ার গভীরতা, শক্তি, প্রজ্ঞা ও প্রতিশ্রুতির প্রতীক। নীল টেডি বিয়ার কেউ উপহার দিলে বুঝতে হবে, উপহার দাতা ও উপহার গ্রহীতার মধ্যেকার ভালবাসা সত্যি শক্তিশালী এবং উপহার গ্রহীতা ও উপহার দাতা দু’জনেই এই সম্পর্কের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সবুজ টেডি বিয়ারের অর্থ, ভালবাসার সঙ্গে গভীর সংযোগ এবং সেই ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা করার বাসনা বোঝায়। কমলা টেডি বিয়ার আনন্দ, আশা ও আলোর প্রতীক।”

বিয়ের আগে প্রেম করার সময় কলতান অনন্যাকে একটা বড় আকৃতির নীল রঙের টেডি বিয়ার উপহার দিয়েছিল। টেডি বিয়ার উপহারে প্রেমিক প্রেমিকা বহু দূরে থাকলেও টেডি বিয়ার মাধ্যমে জড়িয়ে ধরে থাকতে পারে একে অপরের সঙ্গে। অনন্যা কলতানের কাছ থেকে উপহার পাওয়া নরম তুলতুলে নীল টেডি বিয়ারের স্পর্শ অনুভব করত প্রতিদিন। নীল টেডি বিয়ারের মাধ্যমে দৈনিক প্রেমের উষ্ণতা গায়ে মাখত। নীল রঙের টেডি বিয়ারটি যত্ন করে রেখে দিয়েছিল অনন্যা। বিয়ে হওয়ার পর বাড়ি তৈরি করার সময় ঘরের ভেতর একটি কাচের পাল্লার দেওয়াল আলমারি বানিয়েছিল তারা। কাচের পাল্লার সেই দেওয়াল আলমারি মধ্যে সযত্নে নীল টেডি বিয়ারটি রেখে দিয়েছিল অনন্যা। বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখা যেত টেডি বিয়ারটি।

কলতান মাসে একদিন জলপাইগুড়ি থেকে বাড়িতে আসে। শনিবার রাতে আসে, রবিবার সারাদিন থাকে, রবিবার রাতের বেলা আবার জলপাইগুড়ি রওনা দেয়। গতকাল শনিবার রাতের বেলা কলতান বাড়িতে এসেছে। কলতান অনেকদিন ধরে হরিরামপুর বা আশপাশে বদলির চেষ্টা করছে। কিন্তু বদলি হচ্ছে না। বারো বছর হয়ে গেল কলতানের জলপাইগুড়িতে চাকরি করা। পিয়াসা বাবাকে খুব ভালোবাসে। কলতান বাড়িতে এলে খুশিতে ভরে ওঠে সে। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ে। কলতানের সাথে বাইকে করে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। পিয়াসার মনে তখন খুব আনন্দ।
কয়েকদিন আগে পিয়াসা অনন্যাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “মা, এখান থেকে বাবা কখন চাকরিতে যায়?” অনন্যা উত্তর দিয়েছিল, “পিয়াসা, তুমি যখন রাতের বেলা গভীর ভাবে ঘুমিয়ে থাকো, তখন তোমার বাবা চুপিচুপি চাকরিতে চলে যায়।”
পিয়াসা বলেছিল, “মা, সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর বাবাকে দেখতে না পেয়ে আমার খুব খারাপ লাগে। কোনও কিছু ভালো লাগে না। খুব কষ্ট হয়, খুব যন্ত্রনা হয় আমার। বুকের ভেতর খালি আর খালি। বুকের মধ্যে ফাঁকা শুধু ফাঁকা লাগে আমার।”

তিন

রাত তিনটে বাজল। ঘুম ভেঙে গেল কলতানের। একপাশে কলতান মাঝে পিয়াসা অপর দিকে অনন্যা। নাইট বাল্বের স্বল্প আলোতে কলতান দেখল, পিয়াসা দু’হাত দিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে আছে তাকে।
কলতান প্রথমে খুবই সাবধানে পিয়াসার একটি হাত কলতানের শরীর থেকে খুলল। ঘুমন্ত পিয়াসা টের পেল না। এরপর কলতান খুবই সন্তর্পণে পিয়াসার অপর হাত তার দেহ থেকে সরাল। পিয়াসা বুঝতে পারল না। পিয়াসার ঘুম ভাঙল না। হাঁফ ছাড়ল কলতান। এরপর কলতান খুব সাবধানে পিয়াসার মাথার পেছনে থাকা টেডি বিয়ারটা নিয়ে আস্তে আস্তে পিয়াসার এক হাতের ওপর রাখল। অনন্যার ঘুম ভেঙে গেল। অনন্যা কলতানকে ফিসফিস করে বলল, “কলতান, কী করছ?” কলতান ফিসফিস করে বলল, “চুপ। এই নরম টেডি বিয়ারটিকে পিয়াসা জড়িয়ে ধরে ‘বাবা’ মনে করে ঘুমিয়ে থাকবে।” কলতান পিয়াসার অন্য হাতটি খুব সাবধানে নিয়ে টেডি বিয়ারটির ওপর রাখল। পিয়াসার ঘুম ভাঙল না। কলতান পিয়াসার দুটো হাতের প্রান্ত এক জায়গায় করল। পিয়াসা টেডি বিয়ারটিকে দু’হাত দিয়ে কঠিন ভাবে জড়িয়ে ধরল, দু’হাতের বন্ধনে টেডি বিয়ারটিকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখল।

কলতান খুব সাবধানে ধীরে ধীরে বিছানা থেকে নামল। খালি পায়ে চুপচুপ করে শব্দহীন ভাবে পা ফেলে দরজা খুলে ব্যালকনিতে রাখা দোলনাতে এসে বসল। হাঁফ ছাড়ল কলতান। এখান থেকে ঘুমন্ত পিয়াসাকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। হরিরামপুর শহরের আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। জ্যোৎস্নাতে ঝলমল করছিল চারদিক। ব্যালকনির ঝুলন্ত টবে অপরূপ রূপ ছড়াচ্ছিল পিটুনিয়া, ইমপেসিয়েন্ট, প্যানজি, ন্যাস্টারসিয়াম ফুল। আস্তে আস্তে নিঃশব্দে চুপিসারে দোলনাতে কলতানের পাশে এসে বসল অনন্যা। ব্যালকনির শোভা অনেকগুন বাড়াচ্ছিল ব্যালকনিতে রাখা একটি বট বনসাই। বনসাই হলো বড় গাছের ছোট রূপ। কলতান ও অনন্যা বট বনসাইটির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে লাগল। বট বনসাই এর রূপ আস্বাদন করতে লাগল।
কলতান অনন্যাকে বলল, “জানো অনন্যা, ভালোবাসায় দারুন জনপ্রিয় টেডি বিয়ার। প্রেমিক-প্রেমিকা একে অপরকে টেডি বিয়ার উপহার দিলে যেমন প্রেমের উষ্ণতা, সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়ে, তেমনই শিশুদের খুবই পছন্দ টেডি বিয়ার। সারা বিশ্বে অন্যতম আকর্ষণ এই সফট টয়।”

কলতান আবার বলল, “১৯০২ সালে নভেম্বর মাসে মিসিসিপিতে শিকারে বেরিয়ে ছিলেন ছাব্বিশতম মার্কিন প্রেসিডেন্ট থিওডোর রুজভেল্ট। ডাকনাম ‘টেডি’। মিসিসিপি এবং লুসিয়ানার সীমান্ত সমস্যা নিয়ে তিনি তখন ভীষন জর্জরিত ছিলেন। অনেকক্ষণ খুঁজেও সেদিন ভালো স্বীকার পাননি রুজভেল্ট। এদিকে নিশপিশ করছিল তাঁর রাইফেলের ডগা। প্রেসিডেন্টকে খুশি করতে তার সঙ্গী-সাথীরা ধরে আনেন এক লুসিয়ানিয়া কালো ভালুক ছানা এবং ভালুক ছানাটিকে উইলো গাছের গুঁড়ির সাথে বেঁধে রাখে। কিন্তু ছোট্ট ওই ভালুকের বাচ্চার ওপর গুলি চালাতে মন চায়নি মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের। তিনি ভালুক ছানাটির ওপর গুলি চালাননি।”

কলতান বলতে থাকল, “ড্রইং দ্য লাইন ইন মিসিসিপি’ কার্টুনে রুজভেল্ট ও ভালুক ছানার ঘটনাটি তুলে ধরেন ওয়াশিংটন স্টার কার্টুনিস্ট ক্লিফর্ড বেরিম্যান। ছবিতে তিনি আঁকেন, টেডি রুজভেল্ট রাইফেল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন আর তার পেছনে রয়েছে পুঁচকে এক ভালুক ছানা। এই কার্টুন দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ব্রুকলিনের খেলনার দোকানের মালিক মরিস মিচকম। তিনি পুতুল ভালুক ছানা বানাতে উদ্বুদ্ধ হন এবং ছোট্ট একটা নরম ভালুক ছানার পুতুল বানিয়ে ফেলেন। নরম ভালুক ছানার পুতুলটি তিনি উপহার হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট টেডির কাছে পাঠান এবং ভালুক ছানাটির নামের সঙ্গে প্রেসিডেন্টর নামের ‘টেডি’ কথাটি ব্যবহারের অনুমতি চান। রুজভেল্ট টেডি ভালুক ছানাটির পুতুলে তাঁর ‘টেডি’ নাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। জন্ম হয়েছিল টেডি বিয়ারের। সারা বিশ্বে দশই ফেব্রুয়ারি ‘টেডিদিবস’ হিসেবে পালিত হয়।”

কলতান দোলনা থেকে খোলা দরজা দিয়ে পিয়াসার দিকে তাকাল। দেখল, পিয়াসা টেডি–বিয়ার জড়িয়ে ধরে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে। রুজভেল্ট টেডির কাছ থেকে খেলনা প্রস্তুতকারক মরিচ মিচকম তার তৈরি খেলনা ভালুক ছানার নামে ‘টেডি’ কথাটি ব্যবহার করার সম্মতি পেলে যেপরিমাণ স্বস্তি অনুভব করেছিলেন, দোলনায় দেহ এলিয়ে দিয়ে কমবেশি সেই পরিমাণ স্বস্তি অনুভব করল কলতান।

চার

এগ-স্যান্ডউইচ ব্রেকফাস্ট শেষ করে ব্যাগ নিয়ে কলতান বাস ধরার জন্য পাশের ঘরে অপেক্ষা করছিল। বাড়ি লাগোয়া বাস আসার রাস্তা। দূর থেকে বাসের শব্দ শোনা গেল। কলতান ব্যাগ নিয়ে উঠে দাঁড়াল। অনন্যা কলতানকে জড়িয়ে ধরল। কলতানও অনন্যাকে জড়িয়ে ধরল। ঘরে রাখা অ্যাকুরিয়ামের রঙীন গাপ্পি মাছ, গোল্ডফিশ, মলি মাছ, আঞ্জেলফিশ মাছ চঞ্চল হয়ে উঠল। অ্যাকুইরিয়ামের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত বিভিন্ন রঙের মাছগুলো দ্রুত ছোটাছুটি করতে লাগল।
ব্যাগ হাতে কলতান শোওয়ার ঘরে ঘুমন্ত পিয়াসার খাটের কাছে কোচে গিয়ে বসল। অনন্যা কলতানের পাশে এসে বসল। কলতান দেখল, পিয়াসা দৃঢ়ভাবে টেডি বিয়ারটিকে জড়িয়ে ধরে গভীর ভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে, গাঢ় ঘুমে ডুবে আছে পিয়াসা।

বাস এসে গেল। বাস থামল। ঘনঘন হর্ণ বাজাতে লাগল। বাস ড্রাইভার জানে, বাড়ির সামনে থেকেই কলতান গাড়িতে ওঠে। এই বাসে করেই কলতান জলপাইগুড়ি যাওয়া-আসা করে। আসার দিন কলতান ড্রাইভাকে বলে রেখেছিল রাতে যাওয়ার কথা।
অনন্যা ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। কান্না জড়ানো গলায় অনন্যা বলল, “কলতান, যাও। অনেকক্ষণ ধরে বাস হর্ন দিচ্ছে।”
কলতান চুপচাপ কোচের ওপর একই রকমভাবে বসে রইল। বলল, “কীভাবে যাব? কেমন করে রওনা দেব? নীল টেডি বিয়ার আমাকে যেতে দিচ্ছে না। পিয়াসার দু’হাত দিয়ে আটকে রাখা মার্কিন প্রেসিডেন্ট রুজভেল্ট টেডির টেডি বিয়ার আমাকে আটকে রেখেছে। পিয়াসার হাতে ধরা থিওডোর রুজভেল্ট টেডির টেডি বিয়ার আমাকে বলিষ্ঠ ভাবে বেঁধে রেখেছে।”

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
পশ্চিমবঙ্গে বাস করেন। ঊষাতিটি, মেখলা ও হসন্তিকা নামে লেখকের মোট তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। নিয়মিত লিখছেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০১৫ সালে 'কলকাতা পার্ক সার্কাস লেখক-শিল্পী মহল' থেকে 'ঊষাতিটি' নামক ছোটগল্প বইয়ের জন্য সাহিত্যে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। এছাড়াও ২০১৯ সালে কলকাতা 'বুলবুল' পত্রিকা আয়োজিত সাহিত্যে 'শহীদউদ্দিন খান' পুরস্কার লাভ করেছেন।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!