তুরস্কে জরুরি অবস্থা জারি, হতাহতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের বিভিন্ন শহরে ধসে পড়েছে অসংখ্য ভবন। সেসব ভবনের নিচে আটকে পড়া হতাহতদের উদ্ধারে জোর তৎপরতা শুরু করেছে দেশটির সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডি ও পুলিশবাহিনীর সদস্যরা।

ইতোমধ্যে জরুরি অবস্থা জারির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে ‘লেভেল ৪’ সংকেতও জারি করেছে দেশটির সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এক বিবৃতি অনুযায়ী, পর পর দু’টি ভূমিকম্প হয়েছে তুরস্কে। প্রথমটি হয়েছে ভোর ৪ টা ১৭ মিনিটে এবং সেটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮; দ্বিতীয়টি ঘটে তার ১৫ মিনিট পর। সেটি মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭। দুই বারই কম্পন এক মিনিট বা তারও বেশি সময় স্থায়ী হয়েছিল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় খারমানমারাস প্রদেশের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল ভূমিকম্প দু’টির উৎপত্তিস্থল। তুরস্ক ছাড়াও সিরিয়া, লেবানন ও সাইপ্রাসে কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এএফপি।

তুরস্কের সরকারি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দপ্তর এএফএডির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খারমানমারাস ছাড়াও দেশটির মালাতিয়া, সানিল, দিয়ারবাকির এবং ওসমানিয়া প্রদেশে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটেছে ব্যাপক হারে।

গাজিয়ানতেপের বাসিন্দা এরদেম রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি আমার চল্লিশ বছরের জীবনে এত বড় আকারের ভূমিকম্প দেখিনি।’

তুরস্কেরর টিআরটি ও হাবেরতুর্ক টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিবেদনে ধসে পড়া ভবনে উদ্ধারকাজ চালানোর বেশ ‍কিছু ভিডিও ফুটেজ দেখানো হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সয়লু সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক কাজ হলো উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং সরকারি উদ্ধারকর্মী বাহিনীর সব সদস্য তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সজাগ।’

তুরস্কের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ভরে উঠেছে ভূমিকম্পের ফলে গাজিয়ানতেপসহ বিভিন্ন শহরে ধসে পড়া ভবনের ভিডিওচিত্রে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তুপের নিচে বহু মানুষ আটকা পড়ে আছেন।

বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে তুরস্কের দুজকে অঞ্চলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে দেশটিতে মোট নিহতের সংখ্যা ছিল ১৭ হাজারেরও বেশি। একক শহর হিসেবে ইস্তাম্বুলে নিহতের সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি— প্রায় ১ হাজার জন।

তারপর ২০২০ সালের জানুয়ারিতে তুরস্কের পূর্বাঞ্চলীয় শহর এলাজিগে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে ৪০ জন নিহত হন। একই বছর অক্টোবরে এজিয়ান সাগর উপকূলে ৭ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। সেই দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১১৪ জনে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!