সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে লা লিগা শিরোপার আরও কাছে বার্সালোনা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন

আত্মঘাতী গোল হজম করে এবং পেনাল্টি মিসের মাধ্যমে রিয়াল মায়োর্কার কাছে হেরে গিয়ে পয়েন্ট তালিকায় আগেই শীর্ষে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনাকে পয়েন্ট ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সুযোগটি হাতছাড়া করেনি কাতালান ক্লাবটি। সেভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান আরও মজবুত করেছে বার্সা।

রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ক্যাম্প ন্যুয়ে সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের শুরুর দিকেই বিপাকে পড়ে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে সেভিয়া ফুলব্যাক মার্কোস অ্যাকুনার স্লাইডিং ট্যাকেলে গোড়ালিতে চোট পান বার্সেলোনা অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস। পরবর্তীতে বর্ষীয়ান এ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন। যদিও সেভিয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেনি। নিজেদের অর্ধেই প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় পার করেছে তারা।

১৬ মিনিটে প্রথমবারের মতো গোলের সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। বার্সেলোনা স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডফস্কির শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সেভিয়া গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। সেই কর্নারে রোনাল্ড আরাউহোর দারুণ হেড পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।

মিনিট দশেক পর বোনো আবারও বার্সেলোনাকে হতাশ করেন। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত এক শট নিয়েছিলেন রবার্ট লেভানডফস্কি। তবে পোলিশ স্ট্রাইকারের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন সেভিয়া গোলরক্ষক। ৪১ মিনিটে সেভিয়া নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিয়েছিল প্রায়। লেভানডফস্কি অফসাইড পজিশনে থাকলেও নেমানিয়া গোদেলের হেড যাচ্ছিল নিজেদের গোলের দিকেই। তবে সৌভাগ্যবশত বলটি পোস্টের বাইরে দিয়ে সীমানা অতিক্রম করায় বেঁচে যায় সেভিয়া।

একের পর এক সুযোগ পেয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি বার্সেলোনা। লা লিগায় আগের তিন ম্যাচেও কোনো গোল না পেয়েই মধ্যবিরতিতে গিয়েছিল জাভি হার্নান্দেজের শিষ্যরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই আক্রমণাত্মক ফুটবল দিয়ে জয় নিশ্চিত করেছিল বার্সা। ব্যতিক্রম হয়নি ২০০২ সালের পর ন্যু ক্যাম্পে জয়ের দেখা না পাওয়া সেভিয়ার বিপক্ষেও।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই বার্সেলোনা আক্রমণাত্মক থাকলেও কোনো না কোনোভাবে সেভিয়া সেগুলো ঠেকিয়ে দিচ্ছিল। তবে ৫৮ মিনিটে তাদের প্রতিবোধ ভেঙে পড়ে। পাবলো জাভির বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে থাকা ফ্রাঙ্ক কেসিকে খুঁজে নেন রাফিনহা। এসি মিলান থেকে এ মৌসুমেই বার্সায় আসা কেসির পাস থেকে কোনাকুনি শটের দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে গোল করে কাতালানদের এগিয়ে দেন জর্ডি আলবা।

গোল হজম করেই যেন আড়মোড়া ভেঙে জেগে ওঠে সেভিয়া। মিনিট দুয়েক পর সমতায়ও ফিরতে পারতো ক্লাবটি। তবে ব্রায়ান গিলের ক্রসে অল্পের জন্য পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন এরিক লামেলা।

৭০ মিনিটে রাফিনহার বাড়ানো বল থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন পাবলো গাভি। ডি-বক্সে সেভিয়ার কয়েক জন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে তাকে খুঁজে নিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার। এর মাধ্যমে এ মৌসুমের লা লিগায় প্রথমবারের মতো গোলের দেখা পেলেন তরুণ স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

আগের দুই গোলে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ দুরকম অবদান রাখা রাফিনহার পা থেকে আসে বার্সেলোনার তৃতীয় গোল। দ্রুতগতিতে এগিয়ে গিয়ে উঁচু করে বাড়ানো বল ধরেই ডি-বক্সে ক্রস ফেলেন জর্ডি আলবা। আলতো করে পা ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন রাফিনহা। সর্বশেষ ১২ ম্যাচে এটি তার পঞ্চম গোল।

সেভিয়ার গোলপ্রহরী বোনু যোগ করা সময়ে লেভানডফস্কিকে আরও একবার গোলবঞ্চিত করলে ৩-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালান ক্লাবটি। সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সপ্তম জয়ের স্বাদ পেলো বার্সা।

এ জয়ের মাধ্যমে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে গেছে বার্সেলোনা। ২০ ম্যাচ শেষে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়ের্ট তালিকায় সবার ওপরে আছে বার্সেলোনা। সমান সংখ্যক ম্যাচে দুইয়ে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সংগ্রহ ৪৫ পয়েন্ট।

মৌসুমের এ সময়ে ৮ বা তার বেশি পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনার লা লিগা শিরোপা হারানোর নজির নেই। ২০১৮-১৯ মৌসুমে সর্বশেষ লা লিগা জেতার পথেও মৌসুমের এ পর্যায়ে ৮ বা তার বেশি পয়েন্টে এগিয়ে ছিল কাতালানরা। বার্সেলোনা চাইলে তাই আগাম লা লিগা জয়ের উদযাপন শুরু করে দিতেই পারে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!