আলোর আশায় শুরু ইংরেজি নববর্ষ ২০২৩

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
4 মিনিটে পড়ুন

বিদায় মানেই নতুন স্মৃতি। এর সঙ্গে সঙ্গে চলে যায় যাপিত জীবনের সময়। তবুও নতুনকে স্বাগত জানানোই মানব ধর্ম। এভাবে একের পর এক পঞ্জিকার পাতা উল্টে চলে যায় দিন, মাস, বছর, যুগের পর যুগ। কালের পরিক্রমায় এভাবেই দিনপঞ্জির পাতা উল্টাতে উল্টাতে দোরগোড়ায় হাজির হলো নতুন আরো একটি বছর। ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ। শুভ ইংরেজি নববর্ষ!

২০২২ সাল পার হয়েছে বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ সংকট, উন্নয়ন এবং নানা অস্থিরতায়।

বাংলাদেশের অর্জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিল স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবং মেট্রোরেলের শুভ সূচনা। মহামারির সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে এই বছরেই।

কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও মাইলফলক অর্জন হয় বাংলাদেশের। দেশের জনসংখ্যার অধিকাংশ গোষ্ঠীকেই নিয়ে আসা হয়েছে টিকার আওতায়, যা বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। এছাড়া একই সময়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত দেশের প্রথম টানেলের একটি টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

এছাড়া ক্রীড়াক্ষেত্রে নারী দলের সাফ ফুটবল হয় অনেক হতাশার মধ্যেও হাসি ফুটিয়েছে। তাছাড়া রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কিছুটা শঙ্কাও তৈরি করেছিল। মূল্যস্ফীতি, রিজার্ভে চাপ, ডলার সংকট, অর্থপাচারের মতো ঘটনাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার মতো অর্থনৈতিক সংকটে পড়ার আশঙ্কা করা হলেও তেমন কিছুই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ দেখেনি। তাছাড়া রাজনৈতিক নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছে এই বছর। ২০২৪ সালে দেশে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা আছে। তাই ২০২৩ সাল রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ হিসেব মনে করা হচ্ছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার আশঙ্কাও আশা করা হচ্ছে।

এই বছর আরেক আলোচিত ঘটনার জন্ম দেয় প্রথমবারের মতো মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজিত কাতার বিশ্বকাপ। ৩৬ বছরের হতাশা যেন এক নিমিষেই কেটে গেছে ল্যাটিন দল আর্জেন্টিনার কাপ জয়ের মধ্যে দিয়ে। তাছাড়া এবারের কাতার বিশ্বকাপকে বলা হচ্ছে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সেরা একটি আয়োজন।

ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন এলো যেভাবে

খ্রিস্টপূর্ব ২০০০ অব্দ থেকে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়েছে। আধুনিক গ্রেগরিয়ান ও জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে ১লা জানুয়ারি থেকে শুরু হয় নতুন বছর। মেসোপটেমিয় সভ্যতা (বর্তমান ইরাক) থেকে প্রথম নববর্ষ উদযাপনের সূচনা হয়।

তবে রোমে নতুন বছর পালনের প্রচলন শুরু হয় খ্রিষ্টপূর্ব ১৫৩ অব্দে। পরে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৬ অব্দে সম্রাট জুলিয়াস সিজার ‘জুলিয়ান ক্যালেন্ডার’ নামে একটি নতুন বর্ষপঞ্জিকার প্রচলন করেন।

আনুষ্ঠানিকভাবে নিউ ইয়ার পালন শুরু হয় ১৯ শতক থেকে। নতুন বছরের আগের দিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর হচ্ছে নিউ ইয়ার ইভ। এদিন নতুন বছরের আগমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিরাজ করে উৎসবমুখর পরিবেশ।

ইংরেজি নতুন বর্ষ পালনে ব্যতিক্রমও রয়েছে। যেমন- ইসরায়েল। দেশটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে। তবে ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না। কারণ, বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠী অ-ইহুদি উৎস হতে উৎপন্ন এই রীতি পালনের বিরোধী।

আবার কিছু দেশ গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারকেই গ্রহণ করেনি। যেমন- সৌদি আরব, নেপাল, ইরান, ইথিওপিয়া ও আফগানিস্তান। এসব দেশ ইংরেজি নববর্ষ পালন করে না।

দেশে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন

রীতি অনুযায়ী জানুয়ারির ১ তারিখে বাংলাদেশে নিউ ইয়ার উদযাপন করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর দিন পেরিয়ে শুণ্য ঘণ্টা থেকে শুরু হয় উৎসব। রাতের এ উৎসবকে বলা হয় “থার্টি ফার্স্ট নাইট”।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এখন পর্যন্ত ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের তেমন প্রচলন নেই। গ্রামাঞ্চলে কোথাও কোথাও এ উৎসব উদযাপন হলেও তা খুবই নগণ্য। কিন্তু বড় শহর ও মফস্বলে এ উৎসবের জনপ্রিয়তা বেশ লক্ষণীয়।

দিনটিকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে একে অপরের সাথে বিনিময় চলে শুভেচ্ছাবার্তা। বিভিন্ন পণ্য ব্যবসায়ীরা এই দিন উপলক্ষে তাদের পণ্যে নানারকম আকর্ষণীয় ছাড় দিয়ে থাকেন ক্রেতাদের জন্য।

নববর্ষ মানেই সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়া।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!