রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন
বাস্তুচ্যুত হয়ে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় এবং বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান বজায় রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন ব্যুরোর সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভালস নয়েজ। খবর বাসস’র।

বিবৃতিতে মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি জুলিয়েটা ভালস নয়েস বলেছেন, ‘শরণার্থীদের (রোহিঙ্গা) ও তাদের আশ্রয়দাতা বাংলাদেশিদের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তা দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। কারণ সব মানুষ নিরাপদে এবং মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের অধিকার রাখে।’

জুলিয়েটা গত ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহ পরিদর্শনের পাশাপাশি সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করতে বাংলাদেশ সফর করেছেন।

বিবৃতিতে জুলিয়েটা বলেন, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে উদারভাবে আশ্রয়দানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের প্রশংসা করে এবং একই সঙ্গে এটাও স্বীকার করে যে মিয়ানমারে বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের এখনও ঘরে ফিরে যাওয়া নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের দৃঢ় অংশীদারিত্ব এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি আমাদের ব্যাপক সহায়তার অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী কমিশনার এবং অন্যান্য পুনর্বাসনকারী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে অরক্ষিত রোহিঙ্গাদের জন্য একটি পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রনয়ণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত।’

সফর নিয়ে জুলিয়েটা বলেন, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সহিংসতার প্রভাব অনুধাবনের জন্য তিনি বাংলাদেশি কর্মকর্তা ও অন্যান্যে এবং রোহিঙ্গা ও মানবিক অংশীদারদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিধিদল কক্সবাজার ও ভাসান চরে শরণার্থী শিবির পর্যবেক্ষণ করেছে, যেখানে আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের প্রতি অন্যান্য অনেক দেশ, এনজিও এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি আমাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সাল থেকে আমেরিকার জনগণ মিয়ানমার, বাংলাদেশ এবং এই অঞ্চলের অন্যত্র ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং তাদের আশ্রয়দানকারী সম্প্রদায়ের জন্য ১.৯ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে ও সহিংসতা বন্ধে আমরা বার্মার (মিয়ানমার) ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।’

মার্কিন সহকারী সেক্রেটারি বলেছেন, তার দেশ রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!