জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অধিক ঝুঁকিতে বাংলাদেশের চার অঞ্চল

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
গত বছর সিলেটে বন্যার সময়ের একটি চিত্র। ফাইল ছবি

বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দরিদ্র মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে বাংলাদেশের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার, আন্তর্জাতিক তহবিল থেকে অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা, কার্বন কর আরোপ এবং বেসরকারি খাতকে এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে বলেছেন জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষকেরা।

সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের “কান্ট্রি ক্লাইমেট ও ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই পরামর্শ দেন তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বছরে প্রায় ১০০ কোটি ডলার ক্ষতি হচ্ছে। যেভাবে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। গুরুতর বন্যার মুখে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি ভিত্তিরেখার তুলনায় ৯% পর্যন্ত কমতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের মূল বিষয়বস্তু তুলে ধরেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বায়ুদূষণের কারণে বছরে প্রাক্কলিত ক্ষতি জিডিপির প্রায় ৯%। এবং দেশের ৩২% মৃত্যু পরিবেশদূষণের সঙ্গে সম্পর্কিত; বিশেষ করে বায়ুদূষণ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধির ঘাটতি এবং সিসা দূষণ।

“জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে কৃষি খাতে জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ কমতে পারে। বাংলাদেশে জলবায়ুজনিত ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় বছরে বাংলাদেশের দরকার ১ হাজার ২৫০ কোটি ডলার।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃষ্টিপাত ৪% বাড়লে উপকূলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ২৭ সেন্টিমিটার বা বেশি বাড়তে পারে। এতে উপকূলে সম্পদহানি দ্বিগুণ হতে পারে, যা বছরে ৩০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের চারটি অঞ্চল বেশি ঝুঁকির মধ্যে আছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। চারটি অঞ্চল হচ্ছে বরেন্দ্র এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রাম, উপকূল ও হাওর এলাকা।

জেলা হিসেবে ধরলে হাওরের ময়মনসিংহ জেলার পশ্চিমাংশ, রংপুরের পূর্বাংশ এবং খুলনার দক্ষিণাংশ জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি জলবায়ুর ঝুঁকিতে আছে। নিয়মিতভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়, এমন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের তাই এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার সামর্থ্য বাড়াতে হবে।

অুনষ্ঠানে আইএফসির এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট জন এফ. গ্যানডলফো বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তনের নানা গুরুতর ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের জরুরিভিত্তিতে বেসরকারি খাতের অধিকতর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন যা শুধু জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য দরকারি বিলিয়ন ডলার যোগানের জন্যই নয়, বরং উদ্ভাবন ও দক্ষতাকে এগিয়ে নিয়ে জনসাধারণকে উপকৃত করবে ও সুরক্ষা দেবে।“

তার মতে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানি সঞ্চালন, আবাসন, পরিবহন এবং জলবায়ুবান্ধব কৃষিতে বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি এবং তা সম্ভব।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!