ভারতে স্বামীর ডায়ালাইসিসের কষ্ট দেখে কিডনি দান করলেন স্ত্রী

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বর্তমান সময়ে ভালোবাসার সম্পর্কগুলো একরকম ঠুনকোই হয়ে গেছে বলা যায়। চারদিকে চোখ রাখলেই বিবাহবিচ্ছেদ-সংসার ভাঙনের মহাসমারোহ নজরে আসে। তবে এসবের মাঝেও অনেক দম্পতির মাঝে ভালোবাসার অনুপম নিদর্শন চোখে পড়ে। যেমনটা এবার দেখা গেল এক ভারতীয় দম্পতির ক্ষেত্রে।

কিডনির সমস্যার কারণে স্বামীকে নিয়মিতই ডায়ালাইসিস করানো হতো। এভাবে একে একে স্বামীকে ৯৮ বার ডায়ালাইসিস সেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত স্বামীকে ডায়ালাইসিসের মধ্য দিয়ে যেতে দেখাটা তার স্ত্রীর জন্য খুব সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই তো স্বামীর জীবন বাঁচাতে নিজের একটি কিডনি দান করে দিলেন সেই স্ত্রী।

সেই দম্পতির সন্তান লিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে বাবা-মায়ের মধ্যকার সেই ভালোবাসার গল্পের কথা উপস্থাপন করেছে। এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

এক টুইটে লিও বলেন, আমার বাবাকে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস সেশনের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। আর পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার জন্য মা ৫-৬ ঘণ্টার বেশি অপেক্ষা করতেন। এরপর বাবাকে বাঁচাতে মা নিজের একটি কিডনি দান করে দেন। এর চেয়ে ভালো প্রেমের গল্প আমার জানা নেই।

তিনি জানান, পুরো প্রক্রিয়াটির জন্য তার পরিবারের ১৫ হাজার রুপিরও কম খরচ হয়েছে। পুরো ব্যয়ের ৯৯%-ই বীমা কোম্পানি বহন করেছে বলেও জানান লিও।

সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের দক্ষতার জন্য কেরালার কোচির ডাক্তারদের ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের অপেক্ষায় থাকার কথা উল্লেখ করে অঙ্গদানে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপরেও আলোকপাত করেছেন তিনি।

৭০ বছর বয়সে কিডনি প্রতিস্থাপনের এই ঘটনার মাধ্যমে লিওর বাবা-মা দুজনেই কোচি হাসপাতালের সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ কিডনি দাতা এবং প্রাপক। সেই অভিজ্ঞতার কথা স্মরণ করে লিও বলেন, কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা এবং চিকিৎসকদের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ছাড়পত্র পেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগেছে। শুধুমাত্র বয়স ছাড়াও কার্ডিয়াক ক্লিয়ারেন্স গুরুত্বপূর্ণ।

লিওর সেই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া পোস্টটিতে ১,২০০ টিরও বেশি লাইক পড়েছে। এক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বলেন, আপনার বাবা-মা ভালো আছেন এবং সুস্থ হয়ে উঠছেন জেনে আমরা আনন্দিত। আপনাকে এবং আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা। আরেক ব্যবহারকারী বলেন, বাহ! ভালোবাসার কী অবিশ্বাস্য গল্প!

হৃদয়বিদারক অভিজ্ঞতার কথা ভাগাভাগি করে ওপর এক ব্যবহারকারী বলেন, তাদের দুজনের সুস্থ ও সুখী জীবন কামনা করছি। কিডনি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মা-বাবাকে হারিয়েছি বলে এই ধরনের প্রতিটি গল্পেই নিজেকে অনুভব করি। আশা করছি ভিআইপিদের মতো করে ভারতীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা একদিন সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যকেও অগ্রাধিকার দেবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!