কবি সুনন্দ অধিকারী’র ছয়টি কবিতা

সুনন্দ অধিকারী
সুনন্দ অধিকারী
2 মিনিটে পড়ুন

মায়াহরিণ

সিগনাল সবুজ ছিল
তাই ডজ করতে করতে মৃত্যুকে
রাজপথ পেরিয়ে এলাম।

এ’খেলা বড় আকর্ষণীয়
বিপজ্জনকও বটে
তাই মুখচুম্বন করে যায়
কবিতা নামে এক মায়াহরিণ!
প্রতিটি জয় শেষে।

বিদ্যাবল

‘সবচাইতে বড় রূপকথার দেশের নাম কী?’
দুর্গা প্রশ্ন করেন সন্তানদের।

সরস্বতী গ্যাছে বন্ধুর বাড়ি নোট নিতে
লক্ষ্মী মগ্ন খেলনা-বাটির দেশ
সেদিন উপস্থিত সামনে কেবল
কার্তিক ও গণেশ।

ডেকে ওঠে ময়ূর মালকিনের কথা শুনেই
গণেশ সন্দেশ খাচ্ছিল বেড়ে
কানটা কেবল একটু খাড়া করে সে।

ওমা! রেজাল্ট বেরোতে প্রতিযোগিতার
দ্যাখা যায় যে;
হাতিমুখোটাই উঠছে মঞ্চে প্রাইজ নিতে।

চুপিচুপি

আগুন যখন বলে,
‘জল তুমিই জয়ী।
এবার তৃপ্ত করো আমাকে
তোমার আলিঙ্গন বলে।’
তখনই প্রাণের আবির্ভাব পৃথিবীতে।
‘…এবার রোপণ করো প্রেমের বীজ তুমি।’
চাঁদকে সূর্য সেদিন চুপিচুপি বলে।

ফেসবুক

হাওয়া নেই তাই পাতাদেরও কথা নেই
নিজেদের ভেতর। আকাশের বার্তা
পাচ্ছে না তারা। মাটির কথা কেবল
জানিয়ে দিয়ে যায় শিকড়।

তোমার-আমার প্রথম দ্যাখা হয়েছিল কবে?
উত্তর তার হয়তো ইতিহাস খুঁড়লে পাবে।
কিন্তু আগে তার হয়নি কি আদানপ্রদান কোনো
অক্ষর কিছু অন্তত মনের ভিতর।

সবজায়গাতেই থাকে কিছু ভালো ও
কিছু মন্দ লোক। সকাল বেলার সলতে পাকানো
নয় কি সেদিন ফেসবুকই। হৃদয় প্রকাশ আকাশে
তবে এবার বাতাস দিক ঝোড়ো।

অ্যালান কুর্দি

সাগরপারে গেলেই আজকাল
মনে পড়ে যায় অ্যালান কুর্দিকে।
সিরিয়ান রিফিউজি সে মাত্র তিন বছরের
শুয়ে আছে উপুড় হয়ে;
ঠিক যেমন বাচ্চারা ঘুমোয়
নিশ্চিন্তে পরম যে কোনো শয্যায়
আপন পর না ভেবে।

এ’ছবি কি সত্যি বিচলিত করে?
নাড়িয়ে দিয়ে যায় সত্তা আমূল?
নাকি সাজতে চাই মুখ মানবিক
তাই হাতে তুলে নিই কলম
বুদ্ধিজীবী হলে গোছানোও চলে।

উত্তর এর আমাকে নগ্ন নয়
উলঙ্গ করে
বাইরে বেরিয়ে আমি দেখি
নিজেকেই নিজে!

বধূ

আমার নীরবতা যেদিন আকাশ ছোঁবে
সেদিন চূড়ান্ত দিন সিদ্ধি সেদিনই।
যাকে ভয় পেয়ে এলাম সারাজীবন
এড়াতে চাইলাম যেমন তেমন ক’রে
তৃতীয় নয়ন খুলে যায় সেদিন সে এলে!
দেখি সুহৃদতম সেই; সেই আপন সবচাইতে
একেই না বলে জন্মজন্মান্তরের বন্ধন।
জীবন যদি বরবেশ হয়
চিরকালীন চিররহস্যময়ী লজ্জাশীলা বধূ
মৃত্যু সে তবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ লিখেন নিয়মিত। উত্তরবঙ্গ সংবাদ, যুগশঙ্খ, সুখবর সহ অনেক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ইতিমধ্যে ছয়টি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। কবিতাগুলি বিভিন্ন সময়ে দেশ, কৃত্তিবাস, পরিচয়, কবিসম্মেলন, সৃষ্টির একুশ শতক প্রভৃতি পত্রিকায় ও নানা লিটিল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!