রোগীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় চিকিৎসক কারাগারে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

গাজীপুরের টঙ্গীতে রোগীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে হাসিবুল হাসান (৩৭) নামে এক চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে তাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

হাসিবুল হাসান ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টঙ্গীর হোসেন মার্কেটের আল-কারীম ইসলামী হাসপাতালের চিকিৎসক।

রোগীর স্বজনরা জানায়, ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছেন। শনিবার বিকেলে অসুস্থ বোধ করায় আল-কারীম হাসপাতালের পাশে পূর্ব পরিচিত এক ফার্মেসিতে যান। পরে ফার্মেসির লোকেরা তাকে ওই হাসপাতালের চিকিৎসক হাসিবুল হাসানের কাছে পাঠান। সেখানে গেলে চিকিৎসক তাকে ইসিজিসহ বেশ কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে বলেন।

পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করার পর মামাতো ভাইকে সঙ্গে করে রাত ৯টায় রিপোর্ট নিয়ে হাসপাতালের মেডিসিন ও নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ হাসিবুল হাসানের চেম্বারে যান ওই নারী। এ সময় ওই চিকিৎসকের সহকারী বাবলী ও রোগীর মামাতো ভাইকে চেম্বার থেকে বের করে দিয়ে দরজা আটকে দেন হাসিবুল হাসান। পরে ওই চিকিৎসক রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর চিৎকারে মামাতো ভাইসহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। বিষয়টি জানাজানি হলে উত্তেজিত জনতা ওই চিকিৎসককে চেম্বারে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) আবু সায়েম নয়ন জানান, রোগীর স্বজনরা ঘটনাটি জানার পর শনিবার রাতেই আল-কারীম ইসলামী হাসপাতালে ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই রাতেই চিকিৎসককে আটক করে। টঙ্গী পশ্চিম থানায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে রবিবার সকালে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পর ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!