রেমিট্যান্স বেড়েছে ১২.৬%

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সাশ্রয় করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ফাইল ছবি

২০২২-২৩ অর্থবছরের আগস্ট মাসে প্রায় ২০৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে প্রায় ১২.৬% বেশি। গত অর্থবছরে ১৮১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। সেই হিসাবে গত বছরের আগস্টের তুলনায় এ বছরের আগস্টে ২৩ কোটি ডলার বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। তবে এটি ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাইয়ের চেয়ে ৭ কোটি ডলার কম।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীরা আগস্ট মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২০৩ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের একই মাসে এসেছিল ১৮১ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের জুলাই ও আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ৪১৩ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের প্রথম দুই মাসের চেয়ে ১২.৩% বেশি।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ডলার সংকট চলছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে যেখানে বৈদেশিক মুদ্রায় লেনদেন হয়, এমন সব প্রতিষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন টিম যাচ্ছে। হুন্ডি বা অন্য কোনো ব্যবস্থায় ডলার কেনাবেচা করছে কি-না দেখবে পরিদর্শন টিম।

এদিকে প্রবাসী বাংলাদেশিরা দেশে এলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলার বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা এক মাসের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৩১ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি করে সচেতনতা বাড়াতে বিজ্ঞপ্তিটি প্রদর্শনের জন্য সব ব্যাংকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন প্রবাসী বাংলাদেশি বিদেশ থেকে সঙ্গে আনা ১০ হাজার ডলারের বেশি নগদ বা সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা নিজের কাছে বা অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখতে পারেন। ১০ হাজার ডলারের অতিরিক্ত বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার এক মাসের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক বা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বিক্রি বা রেসিডেন্ট কারেন্সি ডিপোজিট হিসেবে জমা রাখা প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উক্ত সীমার বাইরে বৈদেশিক মুদ্রা রাখা ‘‘ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭’’-এর আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রাধিকারভুক্ত নয় এমন বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাসী বাংলাদেশির কাছে থাকলে তা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকে বা লাইসেন্সধারী মানি চেঞ্জারের কাছে বিক্রি করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।

এর আগে গত ১৭ জুলাই অনিবাসী বৈদেশিক মুদ্রা জমা আকৃষ্ট করার জন্য ইউরো কারেন্সি রেট প্রত্যাহার করে সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে বাড়ছে ডলারের দাম। ব্যাংকগুলোতে এখন আমদানির জন্য ১০০ টাকার নিচে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। রেমিট্যান্সের জন্যও সর্বোচ্চ ১০৮ টাকা দরে ডলার কিনতে হচ্ছে ব্যাংকগুলোকে। আর খোলাবাজারে দর বেড়ে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!