পিএইচডি গবেষণায় হুবহু নকল, ডিগ্রি হারালেন ঢাবি শিক্ষক

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবীর পিএইচডি থিসিসে ৯৮% হুবহু নকল করেছেন। এ কারণে তার “ডক্টরেট” ডিগ্রি বাতিল করা হয়েছে।

একই সঙ্গে তাকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপকে পদাবনতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম (সিন্ডিকেট) । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিন্ডিকেটের এক সভায় তার ডক্টরেট ডিগ্রি বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবুল কালাম লুৎফুল কবীর ২০১৪ সালের “টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড এইচআইভি কো-রিলেশন অ্যান্ড কো-ইনফেকশন ইন বাংলাদেশ: অ্যান এক্সপ্লোরেশন অব দেয়ার ইমপ্যাক্টস অন পাবলিক হেলথ” শীর্ষক এক নিবন্ধের কাজ শুরু করেন। তার এই গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আবু সারা শামসুর রউফ এবং সহ-তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন একই বিভাগের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।

কালাম লুৎফুল কবীরকে একাধিকবার অনুরোধ করলেও তিনি সহ-তত্ত্ববধায়কদের কাছে অভিসন্দর্ভের কোনো কপি সরবরাহ করেননি বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল । ঢাবির এই শিক্ষকের গবেষণায় চৌর্যবৃত্তি নিয়ে গণমাধ্যমে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি। ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ডিকেট সভায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দেয় সিন্ডিকেট ।

২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর শাস্তির জন্য একটি ট্র্যাইবুনাল গঠন করে । পিএইচডি থিসিস জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় লুৎফুল কবীরের ডিগ্রি বাতিল ও পদাবনতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান সিন্ডিকেট সদস্য এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!