ইউরোপের ফুড কোম্পানিগুলো প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানোর প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
9 মিনিটে পড়ুন

ফরাসি “ফুড জায়ান্ট” ড্যানোন ২০০৮ সালে বড়সড় একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা বলেছিল, এক বছরের মধ্যে নাকি কোম্পানির পানির বোতলে ব্যবহৃত প্লাস্টিকগুলোর ৫০% পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপকরণ থেকে তৈরি করা হবে। ড্যানোনের “সাসটেইনেবেলিটি” সংক্রান্ত প্রতিবেদনে এই পরিমাপকে “প্যাকেজিংয়ের ওজন কমানো এবং কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর একটি উপায়” বলে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক দূষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এটি জরুরি পদক্ষেপ হতে পারে। তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি প্রধান পণ্যগুলোর মধ্যে একটি হলো প্লাস্টিক। শুধু তাই নয়, এটি সবচেয়ে স্থায়ী পদার্থের মধ্যে একটি, এটা বললেও ভুল হবে না।

প্লাস্টিকের বোতলগুলো ভাঙতে ৪৫০ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। মাইক্রোপ্লাস্টিকের টুকরো যেকোনো প্রাণী এবং মানুষের একই রকম ক্ষতি করে। এর ফলে বায়ুদূষণ হয়। দূষিত হচ্ছে মহাসাগর এবং মাটিও। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি প্লাস্টিক দূষণের অন্যতম কারণ খাদ্য ও পানীয় শিল্প।

অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কোঅপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের মতে, ২০১৯ সালে ৭৯ মিলিয়ন টন (এক টন মানে ১০০ কেজি) প্লাস্টিক বর্জ্য খোলা গর্ত, লিকেজ (মাটি কিংবা জল) বা আবর্জনার স্তূপের মাধ্যমে পরিবেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি বিশ্বের আয়তনের পাঁচ ভাগের এক ভাগ।

ইউরোপে প্রতি বছর উৎপন্ন ২৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক বর্জ্যের মাত্র এক চতুর্থাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়/ রয়টার্স
কোম্পানিগুলো কি প্রতিশ্রুতি মেনে চলেছে?

ডয়চে ভেলে এবং ইউরোপিয়ান ডেটা জার্নালিজম নেটওয়ার্ক ইউরোপের কিছু বড় খাদ্য ও পানীয় কোম্পানিগুলো নিয়ে গবেষণা করেছে।

ড্যানোন কিন্তু প্রতিশ্রুতি ভেঙেছে। ২০০৯ সালের মধ্যে, পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ইস্যুটি কোম্পানির দেখার কথা ছিল। ২০০৯ সালের প্রতিবেদনে তারা বলেছে, “২০১১ সালে ২০-৩০% ব্যবহার কমানো তাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এবং অবশেষে যা ৫০% গিয়ে দাঁড়াবে।”

কোম্পানিটি সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। আবার, ২০২০ সাল থেকে ড্যানোন এখনো সারা বিশ্বে তার জলের বোতলগুলোতে শুধুমাত্র ২০% পুনর্ব্যবহৃত পিইটি ব্যবহার করেছে। ২০২৫ সালের জন্য (প্রথম স্ব-আরোপিত সময়সীমার ১৬ বছর পর) ড্যানোন আরেকটি লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। এবার তাদের প্রতিশ্রুতি, ৫০% পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হবে পানির বোতলগুলো। এই অসঙ্গতি নিয়ে কেন জানতে চাওয়া হলে ড্যানোন কোনো জবাব দেয়নি।

গত ২০ বছরে ইউরোপে সদর দপ্তরের ২৪টি খাদ্য ও পানীয় কোম্পানির দেওয়া প্লাস্টিক সংক্রান্ত ৯৮টি প্রতিশ্রুতি শনাক্ত করেছে ডিডাব্লিউ এবং তার অংশীদার সংবাদমাধ্যমগুলো। এই প্রতিশ্রুতিগুলোর অর্ধেকেরও বেশি গত কয়েক বছরে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগই ২০২৫ সালে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর প্রস্তাব দিয়েছিল।

৩৭টি প্রতিশ্রুতি ইতোমধ্যে মেনে চলার কথা হলেও ৬৮% ব্যর্থ হয়েছে বা এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন করা হয়নি। যখন কোম্পানিগুলো প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়, তারা সাধারণত প্রকাশ্যে উল্লেখ করে না। পরিবর্তে, তারা নীরবে লক্ষ্যমাত্রা বাদ দেয় বা নির্ধারিত সময়সীমা পাল্টে দেয়। লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বছরটির বদল করে।

যেখানে লক্ষ্যমাত্রাগুলো যাচাই করা যায়নি, সেখানে ডয়চে ভেলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। স্পষ্টভাবে সবটা বলা হয়েছে, সেখানে প্রাসঙ্গিক ডেটা আপডেট করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে আর মন্তব্য না করলে, তাদের অবস্থান অস্পষ্ট বলে ধরা হয়েছে।

২০২১ সালে পোশাক, প্রসাধনী এবং গৃহস্থালির সরঞ্জাম সংক্রান্ত খাত থেকে কোম্পানির ওয়েবসাইটে পরিবেশ বাঁচানোর দাবিগুলো তদন্ত করে দেখেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেখা গেছে, ৪২% দাবি সম্ভবত অতিরঞ্জিত, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর ছিল।

যে লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জন করা গিয়েছিল বা যে প্রতিশ্রুতি রাখা হয়েছে বলে জানানো হয় তার মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী উন্নতির বদলে বিপণন কৌশলের পরিমাণ ছিল অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, বেলজিয়ামের ব্রিউয়ারি আনহেইসের বুশ ইন বেভের কথা বলা যায়, যারা যুক্তরাষ্ট্রের বুডওয়াইসার, করোনার এবং বেকের মতো বিয়ার তৈরি করে। তারা ২০১৭ সালে ঘোষণা করেছিল, “২০২০ সালের মধ্যে ১০০টি দ্বীপকে সামুদ্রিক প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা করা হবে।”

দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষায় জড়িত ছিল না কোম্পানিটি। তারা ১৩টি দেশে ২১৪টি এককালীন সমুদ্রসৈকত রক্ষা এবং পরিচ্ছন্নতার কর্মসূচি নেয়। সময়সূচির এক বছর আগে এটি সফল হয়েছিল বলে দাবি করে তারা।

ব্রাসেলসের এনজিও জিরো ওয়েস্ট ইউরোপের লারিসা কোপেইও বলেন, “অনেক কোম্পানি নিজেদের প্রচারের জন্য সৈকত পরিচ্ছন্নতা রাখার ইস্যুটি ব্যবহার করে। তারাই সমস্ত বর্জ্য সমুদ্রের ধারে ফেলে।”

৯৮টি প্রতিশ্রুতির মধ্যে মাত্র ১৯টি প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পরিমাণ বা ভার্জিন প্লাস্টিকের পরিমাণ কমানোর জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বেশিরভাগই ভবিষ্যতে লক্ষ্য পূরণ করতে পারবে না। ডয়চে ভেলেকে ২৪টি কোম্পানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মধ্যে ১৬টি পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দিয়ে প্যাকেজিং তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

কোপেইও বলেন, “যদি এই পণ্যগুলো আলাদাভাবে সংগ্রহ করার জন্য কোনো অবকাঠামো না থাকে, তাহলে সেগুলো পুনর্ব্যবহার করা যাবে না।” হ্রাসযোগ্য পচন সম্ভব, এমন পণ্যগুলোর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য।

তিনি বলেন, “বেলজিয়ামে, আমাদের কাছে কম্পোস্টেবল বা বায়োডিগ্রেডেবল আইটেমগুলোর জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেই। শুধু মিশ্র-বর্জ্যের বিনে রয়ে যায় এগুলো।”

প্লাস্টিক উৎপাদনকারীরা বিশেষ করে কার্যকর পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলছে।

নথিভুক্ত প্রতিশ্রুতিগুলোকে এক-তৃতীয়াংশে, কোম্পানিগুলো তাদের প্যাকেজিংয়ে আরও পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক অন্তর্ভুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

উদাহরণস্বরূপ, ইতালির ফেরেরো, ২০১০ সালে সেকেন্ডারি প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত পুনর্ব্যবহারযোগ্য পিইটি-এর পরিমাণ বাড়ানো শুরু করে। সুইস কোকা-কোলা বোতলজাতকরণ সংস্থা কোকা-কোলা এইচবিসি ২০১৮ সালে ঘোষণা করার পর ২০১৯ সালেই চারটি জলের ব্র্যান্ডের জন্য ১০০% পুনর্ব্যবহৃত পিইটি থেকে তৈরি একটি বোতল চালু করেছিল।

প্রতিশ্রুতি পরিবর্তনের জন্য যথেষ্ট নয়
সামগ্রিকভাবে, পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিকের চাহিদা কম এবং দাম বেশি, যার মানে হলো কোম্পানিগুলোর জন্য সদ্য উৎপাদিত প্লাস্টিক ব্যবহার বেশি লাভজনক। স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত উদ্যোগের জন্য যথেষ্ট নয়। ব্রাসেলসের চেঞ্জিং মার্কেটস ফাউন্ডেশনের প্রচারাভিযান পরিচালক নুসা আরবানসিকের মত এমনই।

তিনি বলেন, “প্লাস্টিকের ওপর আরও কঠোর আইন প্রণয়ন জরুরি কারণ, কর্পোরেটগুলো দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করে।”

তার কথায়, “সমাধানের জন্য কোম্পানিগুলো অর্থ, ক্ষমতা এবং সংস্থান ব্যবহার করার পরিবর্তে, উল্টো কাজ করে। স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলোকে সামনে রেখে তার অপব্যবহার করা হয়।”

তার দাবি, স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো একটি সচেতন কৌশল যা আইনের দ্রুত প্রয়োগকে বিলম্বিত এবং বিভ্রান্ত করার জন্য তৈরি করা হয়।

পুনর্ব্যবহৃত পিইটি নিয়ে আইন

প্লাস্টিক উৎপাদকদের চাপ সত্ত্বেও, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্প্রতি প্লাস্টিক সংক্রান্ত আইন পাস করেছে। সিঙ্গল ইউজ প্লাস্টিক সংক্রান্ত নিয়ম অনুযায়ী প্লাস্টিকের ব্যাগ, কাঁটাচামচ, থালা বা স্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্গত কোনো দেশের বাজারে বিতরণ করা যাবে না। আফ্রিকার দেশগুলো আগেই পথ দেখিয়েছে। ইরিত্রিয়া ২০০৫ সালে, রুয়ান্ডা ২০০৮ সালে এবং মরক্কো ২০০৯ সালে সালে প্লাস্টিক ব্যাগ নিষিদ্ধ করেছিল।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্দেশনায় ২০২৫ সালের মধ্যে পিইটি বোতলগুলোতে কমপক্ষে ২৫% পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত বোতলগুলোতে ৩০% পুনর্ব্যবহৃত প্লাস্টিক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

প্লাস্টিক সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার একটি কারণ সম্ভবত নতুন আইন। আরবানসিক বলেন, “সংস্থাগুলোকে উপলব্ধি করেছে প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।”

তিনি বলেন, “কোম্পানিগুলো নিজেরাই আইনি বাধ্যবাধকতা পূরণে সহায়তা করার জন্য আরও ভালো পুনর্ব্যবহারযোগ্য সিস্টেম চাইছে।”

স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির ইতিবাচক দিক
পাবলিক ডাটাবেসে কোম্পানির স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলো লিপিবদ্ধ করতে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, ফলে সবটাই জনগণের চোখের সামনে থাকবে। ইউরোপিয়ান সার্কুলার ইকোনমিক স্টেকহোল্ডার প্ল্যাটফর্মের আওতায় এই যাবতীয় প্রতিশ্রুতি রাখা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের অ্যালেন ম্যাকআর্থার ফাউন্ডেশন তার গ্লোবাল কমিটমেন্ট প্রোগ্রামেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।

কিন্তু সমস্যা হলো একেক কোম্পানি একেকরকম লক্ষ্যমাত্রার কথা বলছে। ইউনিলিভার বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত নতুন উৎপাদিত প্লাস্টিকের ব্যবহার তারা ৫০% কমিয়ে দেবে, ফেরেরো মাত্র ১০% প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, ফরাসি ওয়াইন এবং পানীয় কোম্পানি পি রিকার্ড মাত্র ৫% কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

আরবানসিক বলেন, “কোম্পানিগুলো তাদের মৌলিক তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। যে ডেটা প্রকাশিত হয় তা স্বাধীনভাবে যাচাই করা হয় না।” চেঞ্জিং মার্কেটসের পরামর্শ স্বেচ্ছাসেবা সংক্রান্ত উদ্যোগ হোক ন্যূনতম। সবাই নিয়মিত তাদের অগ্রগতি রিপোর্ট করুক।

আগামী কয়েক বছরে সার্কুলার ইকোনমিক অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় প্লাস্টিক আইন বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে ইইউ। এরর মধ্যে প্লাস্টিক পুনর্ব্যবহারযোগ্য লক্ষ্যমাত্রা এবং প্যাকেজিং বর্জ্য এড়ানোর ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। আইনের বদল অত্যন্ত জরুরি। কারণ সারা বিশ্বে প্লাস্টিক উৎপাদন বেড়ে চলেছে এবং আগামী কয়েক দশকে তা বাড়তে পারে, এমন পূর্বাভাস রয়েছে। এই বৃদ্ধি কমাতে অন্যান্য দেশগুলোকে অনুসরণ করতে হবে।

আইন, জনসাধারণের কাছে জবাবদিহি করা এবং ভোক্তাদের চাহিদা সবমিলিয়ে যখন কোম্পানিগুলো চাপে পড়ে তখন তারা কৌশল পরিবর্তন করে। ২০২৫ সালে কোম্পানিগুলোকে জানাতে হবে, বর্তমান সময়ে দেওয়া প্লাস্টিক সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতিগুলোর কতটা তারা রাখতে পেরেছে। সেটাই আসল লিটমাস টেস্ট।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!