অর্থনীতি বাঁচাতে পাকিস্তানকে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে চীন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
সম্প্রতি বাংলাদেশ আমদানির ক্ষেত্রে ডলার সাশ্রয় করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। ফাইল ছবি

পাকিস্তানে অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে ক্রমেই কমছে রিজার্ভ, কমছে নিজস্ব মুদ্রার মানও। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতি বাঁচাতে ইসলামাবাদকে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে চীন।

মূলত ঋণ চুক্তির অধীনে ‘কয়েক দিনের মধ্যে’ চীনের কাছ থেকে বিপুল এই অর্থ হাতে পাবে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।

পাকিস্তানের প্রধান সারির সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের বরাত দিয়ে ভারতীয় এই বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, চীনের একাধিক ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম এবং পাকিস্তান আগেই ২.৩ বিলিয়ন বা ২৩০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল।

চুক্তির সর্বশেষ আপডেটে বুধবার পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ঋণ চুক্তির অধীনে চীন থেকে নগদ এই অর্থপ্রবাহ কয়েক দিনের মধ্যেই চলে আসবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন, ‘চীনা ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম আজকে ১৫০০ কোটি আরএমবি (চীনা মুদ্রা) ঋণ সুবিধা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পাকিস্তান স্বাক্ষর সম্পন্ন করেছে গতকাল। কয়েকদিনের মধ্যেই নগদ অর্থ চলে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই লেনদেন সহজতর করার জন্য আমরা চীনা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারিও চীনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই এবং চীনের জনগণের প্রতি (পাকিস্তান) কৃতজ্ঞ। চীনা কনসোর্টিয়াম অব ব্যাংক আজ ১৫০০ কোটি আরএমবি ঋণ সুবিধা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। চীন হলো আমাদের সব সময়ের বন্ধু এবং যেকোনো পরিস্থিতিতে অব্যাহত সমর্থনের জন্য পাকিস্তানের জনগণ কৃতজ্ঞ।’

পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভের অবস্থা খুবই খারাপ জায়গায় এসে পৌঁছেছে। পাকিস্তানের মুদ্রার মূল্যও ভয়ংকরভাবে কমে গেছে। এই সংকট থেকে উদ্ধার করতে চীনের একাধিক ব্যাংকের কনসোর্টিয়াম ইসলামাবাদকে ২৩০ কোটি মার্কিন ডলার দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম বলছে, গত ১০ জুনের হিসেব অনুযায়ী, পাকিস্তানের স্টেট ব্যাংকের কাছে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার আছে, তা দিয়ে মাত্র ছয় সপ্তাহের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব। তাই চীনের থেকে ২৩০ কোটি ডলার পাওয়া পাকিস্তানের জন্য খুবই প্রয়োজন ছিল।

এদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গেও পাকিস্তানের আলোচনা চলছে। তারা যাতে আগের মতো এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফেসিলিটি দেয় তা নিয়ে আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে।

বুধবার রাতে আইএমএফ ও পাকিস্তান ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট নিয়ে একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। সেখানে কীভাবে খরচ কমানো হবে এবং আয় বাড়ানো হবে, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছেছে উভয় পক্ষই।

দ্য ডন জানিয়েছে, সমঝোতা অনুযায়ী প্রতি মাসে পাঁচ রুপি করে পেট্রোলিয়াম লেভি বসানো হবে। ১০ মাস লেভি বসবে। কর আদায়ের টার্গেট করা হয়েছে ৪২ হাজার ২০০ কোটি রুপি। সংস্থাগুলোকে পভার্টি ট্যাক্স দিতে হবে। অতিরিক্ত বেতন ও পেনশনের জন্য যে তহবিল রাখা হয়েছিল, সেটাও বন্ধ করা হবে।

সূত্র: এএনআই, ডয়চে ভেলে

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!