৫ হাজার ১২৩ টন চাল মজুতের মামলা: স্কয়ার ফুডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরীর আগাম জামিন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
প্রতীকী ছবি

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৩ টন আতপ চাল জব্দের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অঞ্জন চৌধুরীকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৬ সপ্তাহ পর তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলেছেন আদালত।

তার আগাম জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (৬ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি সাহেদ নুরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

এর আগে ১ জুন দিনাজপুর সদরে স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজের গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল জব্দ করে প্রশাসন। এ ঘটনায় করা মামলায় মিলের ইনচার্জকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

দিনাজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মর্তুজা আল মঈদ বলেন, ‘উপজেলার ১ নম্বর চেহেলগাজী ইউনিয়নের গোপালগঞ্জ বাজারে কোম্পানিটির ছয়টি গুদামে গত ৩১ মে বিকাল থেকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়।’

এ সময় মিলের ছয়টি গুদামে ৫ হাজার ১২৪ টন আতপ চাল পাওয়া যায়। তবে মিলের অনুমোদন ছিল মাত্র ৩১২ টনের। সেই হিসাবে মিলে অতিরিক্ত মজুত ছিল চার হাজার টনের বেশি চাল। জব্দ চালের বাজার মূল্য প্রায় ৪১ কোটি টাকা।

‘এ সময় কাগজপত্র ও মিলে চাল মজুতের হিসাব চাওয়া হলে মিলের ইনচার্জ জায়েদ হোসেন সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে মিলের কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ সদস্যরা তাদের ধরে নিয়ে আসেন। পরে রাত আড়াইটার দিকে মিলের ছয়টি গুদামে রাখা চাল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের জিম্মায় দেওয়া হয়।’

পরে ওই ঘটনায় দিনাজপুর সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার সিংহ রায় বাদী হয়ে মিলের স্বত্বাধিকারী অঞ্জন চৌধুরী ও মিলের ইনচার্জ জায়েদের নামে অভিযোগ দেন। মিলের ইনচার্জকে পুলিশে দেওয়া হয়। এত পরিমাণ চাল জব্দ হওয়ায় এটির বিচার ভ্রাম্যমাণ আদালতে করা সম্ভব নয় মর্মে অভিযোগটি কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করার জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া মিলের ইনচার্জ জায়েদকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়।

এরপর সে অভিযোগটি মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। সেই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেন অঞ্জন চৌধুরী।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!