ঈদ শেষ শুরু হয়েছে কর্মস্থলে ফেরা। বৃহস্পতিবার (৫ মে) থেকে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান। ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে যারা নাড়ির টানে রাজধানী ছেড়ে গ্রামে গেছেন, পরিবারের সঙ্গে কাটানো সেই সুখের স্মৃতি নিয়ে তারা এখন ফিরছেন কর্মস্থলে। গতরাত থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী হচ্ছেন মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন টার্মিনালে মানুষকে ঢাকায় ফিরতে দেখা যায়। তবে সংখ্যাট কম থাকলেও ঢাকামুখী মানুষের সংখ্যাটা একেবারেই কম ছিল না। একই চিত্র লঞ্চঘাট ও রেল স্টেশনেও। প্রতিটি জায়গায় ঢাকায় ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে।
আগামীকাল ও পরশু ভিড় বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ যারা বৃহস্পতিবারের (৫ মে) ছুটি নিতে পেরেছেন, তারা আগামীকাল শুক্রবার ও শনিবার আরও দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি পাবেন। ফলে রোববারের আগে আরও দুই দিন সময় থাকবে তাদের হাতে। অনেকের শনিবার ফেরার ইচ্ছা থাকলেও গাড়ি না পাওয়ায় তাদের একদিন আগে আসতে হবে।
রংপুরের বাসিন্দা আলম হোসেন সকালে নামেন কমলাপুর রেল স্টেশনে। তিনি বলেন, পরিবার নিয়ে আসি নাই। কদিন পর মানুষের চাপ কমলে পরিবার ঢাকায় আসবে। আমি এখান থেকে সোজা অফিস যাব।
চট্টগ্রাম থেকে আসা কবির ভূইয়া বলেন, আসতে কোনো বাড়তি চাপ অনুভব করিনি। আমার রোববার থেকে অফিস তবে ঢাকায় আত্মীয় বাসায় যাব। আগেই প্ল্যান করা তাই চাপ বাড়ার আগেই চলে আসলাম।
ট্রেনের মতো বাস ও লঞ্চ টার্মিনালেও ঘরে ফেরা মানুষদের কর্মস্থলে ফিরতে দেখা গেছে।
বরিশালের মানালি লঞ্চের টিকিট কাউন্টারের সৌরভ জানান, প্রতিদিনই যাত্রী ফিরছে। এখন থেকে চাপ বাড়বে।
এমভি কুয়াকাটা-২ লঞ্চের স্টাফ জসিম বলেন, আজকের অফিস ধরতে কাল থেকেই ফেরা শুরু হয়েছে। বরিশাল-পটুয়াখালী সব লঞ্চেই কম বেশি মানুষ দেখছি যারা ঢাকায় ফিরল।
সদরঘাট এলাকায় সকাল থেকেই রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড়ে গমগম করতে দেখা যায়।
আসাদুর রহমান ফেরেন বরিশাল থেকে। তিনি বলেন, লঞ্চে একটু ভিড় ছিল তবে আসতে পারছি। কাল পরশু হয়তো আসতেই পারতাম না। কারণ এই দুইদিন ভিড় আরও বাড়বে।
লঞ্চ ঘাটে ভেড়ার পর যাত্রীদের নিয়ে গন্তব্যে ছুটে চলেন সিএনজি চালকরা। একসঙ্গে অনেক যাত্রী নামার কারণে ঘাটে অটোরিকশা সংকটও দেখা যায়। সেই সঙ্গে অটোরিকশা ভাড়াও বেশি।