কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠ নিয়ে মা-ছেলেকে আটকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যাখ্যা

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

রাজধানীর কলাবাগানের তেঁতুলতলা মাঠে থানা স্থাপনের প্রতিবাদ করায় এক নারী ও তার ছেলেকে আটকের ব্যাখ্যা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, তারা (মা-ছেলে) লাইভ ভিডিওতে এসে কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ তথ্য প্রচার করছিলেন। সে জন্য তাদের বারবার নিবৃত করার চেষ্টা করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক পর্যায়ে যখন থামাতে পারেনি তখন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছিল এবং জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে তেজগাঁও সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ ব্যাখ্যা দেন।

তিনি বলেন, ঢাকার ডিসি (জেলা প্রশাসক) মাঠের জায়গাটি খাস জমি বলে চিহ্নিত করে বরাদ্দ দিয়েছে কলাবাগান থানাকে। সব প্রক্রিয়া শেষে যখন ভবন নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয় তখন খেলার মাঠ রাখার দাবিতে অনেকে কথা বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি খেলার মাঠে বাচ্চারা খেলাধুলা করবে এটাই স্বাভাবিক। খেলার মাঠের ব্যবস্থা যেমন করতে হবে আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরও থানার জন্য জায়গাটা জরুরি।

কলাবাগানের তেঁতুলতলা খেলার মাঠটি রক্ষায় বেশ কিছুদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিল শিশু-কিশোররা। তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া শুরু করেন সমাজকর্মী সৈয়দা রত্না।

রোববার (২৪ এপ্রিল) সকালে সৈয়দা রত্না ফেসবুকে লাইভে গিয়ে ওই মাঠটি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন। এ সময় কয়েকজন সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে লাইভ করতে নিষেধ করেন।

এর পরপরই ওই পুলিশ সদস্যরা তার মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাকে টেনে হিঁচড়ে একটি পুলিশ ভ্যানে তুলে নেন। সৈয়দা রত্নার লাইভের একটি অংশসহ এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একই ঘটনায় সমাজকর্মী সৈয়দা রত্নার ছেলেকেও আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।

আটকের ১২ ঘণ্টা পর ‘সরকারি কাজে ভবিষ্যতে বাধা দেবেন না’ মর্মে মুচলেকা দিয়ে রাত ১২ টার দিকে ছাড়া হয় তাদের।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!