কবি আতোয়ার রহমান’র ছ’টি কবিতা

আতোয়ার রহমান
আতোয়ার রহমান
8 মিনিটে পড়ুন

স্বাধীনতার স্বপ্ন

মায়ের শুকনো বুক চুষতে চুষতে ঘুমিয়ে
পড়ে কোনো কঙ্কালসার অভুক্ত শিশু,
জাকাতের কাপড়ের লাইনে পায়ে চাপা পড়ে
মারা যায় কোনো বৃদ্ধা,
অবুঝ শিশু হাতে থালা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে
আছে এক মুঠো ভাতের আশায়
নিস্পাপ এই শিশুর শূন্য দৃষ্টির মাঝে লুকিয়ে আছে কান্না,
সে যে আমার পতাকার কান্না।

বেকার যুবক টুক করে ঝুলে পড়েছে সিলিং ফ্যান থেকে
বাতাসে ভেসে বেড়ায় হাজারটা সার্টিফিকেট।
বারবার বিয়ে ভাঙা মেয়েটি বাড়ির পেছনে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে
বাতাসে ভেসে বেড়ায় ইঁদুর মারা বিষের গন্ধ।
প্রাণ জ্বালিয়ে গড়া সেতুগুলি ভেঙ্গে যায়,
বিভাজনের দেওয়াল ক্রমশ যমুনার মতো চওড়া হয়।
তার পাশেই আবার দেখি
বাঁকাচোরা পথের দুরুত্ববিলাসিদের বুনো প্রজাপতি জীবন
শত হাজার কোটি লোপাটের রেকর্ড ভাঙার ছড়াছড়ি,
তবুও বক্তৃতা মঞ্চে কথার ফুলঝুরি
লাগামছাড়া ভোগে দূষিত চারপাশ।
দুর্নীতির আলো-আঁধারিতে কুয়াশার ধোঁয়াশায়
প্রশাসনের ডালে ডালে নেচে বেড়ায়
সিগারেটের ধোঁয়ার মতো কুন্ডলী পাকিয়ে
পেঁজা তুলোর মত উড়তে থাকে নিষিদ্ধ সুখ হয়ে।

কোন এক রহস্য সন্ধ্যায় জৌলুসের সুইমিং পুলের
নীল জলে রাক্ষুষে মাছেরা সাঁতরায়
জলকেলির ঝড় তুলে,সব খায় চুষে অক্টোপাসের মতো
এ যুগের জগৎ শেঠ আর ক্যালিবানরা,
ব্যাংকে ব্যাংকে, রাজনীতিতে দুর্গ গড়ে
মোহন চেহারার মাফিয়ারা।
ক্ষমতার দালান থেকে মুমূর্ষু ও রাহুগ্রস্ত জবাবদিহির
আর দায়বদ্ধতার অসহায় আর্তচিৎকার ভেসে আসে
বিপন্ন প্রজাতির নিরীহ প্রানীদের মতো,
দাম্ভিকতার অট্টহাসিতে ঢেকে যায় চরাচর।

যুদ্ধ

গ্রামের মাঝে আঁকাবাঁকা পথের গোড়ায়
কালো শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে থাকা
প্রৌঢ়া মায়ের সমুখ দৃষ্টি ঐ দিগন্তরেখার দিকে-
কবে ছেলে ফিরে আসবে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে?
যুদ্ধ মানে অশান্তি নিষ্ঠুরতা বর্বরতা
যুদ্ধ মানে ক্ষমতার মদমত্ততা
সম্পদ কুক্ষিগত করার উদগ্রতা
আমাজনের মতো গভীর বিভাজনের রেখা
পাখির কাকলি, ঠোঁটের শিসে নিষেধাজ্ঞা
এই নীল গ্রহের ভয়ে শিউরে ওঠা
যুদ্ধ মানে মানবতার, শুভবুদ্ধির অভাব
যুদ্ধ মানে মানুষের আদিম স্বভাব।

যুদ্ধ মানে ভয় আতঙ্কের একাত্তরের দিনগুলো
নখরাঘাতে বাগানের থেঁতলানো ফুলগুলো।
যুদ্ধ মানে নিরাপত্তার নামে আধিপত্য বিস্তার
আদর্শের নামে জীবন বিনাশী কারবার
রক্তাক্ত অনাথ শিশুর আর্ত চিৎকার  
যুদ্ধে শোধ হয় না কখনও পৃথিবীর দায়ভার
যুদ্ধ মানে লাভ-লোকসানের জটিল অঙ্ক 
সুপরিকল্পিত মিথ্যার বিশ্বাসঘাতকতার গল্প

যুদ্ধ মানে ধ্বংসস্তুপে সদ্য হারানো স্মৃতির খোঁজাখুঁজি
যুদ্ধ মানে রক্তপাত, ধর্ষিতা রমনী
যুদ্ধের মানে হলো পাগলামি
যুদ্ধে জয়ী বলে কেউ নেই, যুদ্ধে আমরা সবাই হারি
সত্য আর কান্ডজ্ঞান যুদ্ধের প্রথম বলি।

শিশুর কান্নার বিনিময়ে যুদ্ধ চাই না
সবুজ পৃথিবী চাই যেখানে শান্তির গোলাপ ফুটবে।
ঘুম ভাঙা পাখিরা আবার বনে ফিরবে
বসন্তে কোকিলের ডাক শুনতে চাই
নতুন চোখে একে অপরের দিকে তাকাতে চাই
নীল ক্যানভাসে রঙ তুলির আঁচড় দিতে চাই
শীতের সকালে মিঠে রোদ পোহাতে চাই
মেঘে ছেয়ে যাওয়া আকাশ থেকে অঝোর বৃষ্টি চাই
রক্তে নয়, জ্যোৎস্নায় পৃথিবী ভেসে যেতে দেখতে চাই
গানে সুরে সুখে ভরা সুন্দর প্রজাপতির মতো
একটি পৃথিবী দেখতে চাই।

বাংলা ভাষা

চর্যাপদের ডিম থেকে ছানা হয়ে বেরিয়ে
প্রাকৃতের রোপিত বীজ থেকে পলিমাটির সৌরভ ছিড়ে
ডানা মেলার মতো প্রথম অঙ্কুরিত হলে,
মনসামঙ্গল চন্ডীমঙ্গল ধর্মমঙ্গল চন্দ্রাবতী
আলাওলের আলো ছায়ায় হামাগুড়ি দিয়ে
বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র, মীর মোশাররফ,
মাইকেল রবীন্দ্রনাথ নজরুলের হাত ধরে
হাঁটি হাঁটি পা পা করে যাত্রা শুরু করলে,
সাথে নিয়ে প্রগাঢ় ফেনিল দীপ্র সুর বাউল গান
অর্থময়তার ভাবের আলোর অন্তরলীন প্রাণ।

বহু যুগের অপেক্ষার পর ছোট ছোট পদক্ষেপে
স্টেশনে স্টেশনে দাঁড়িয়ে ভয় প্রলোভন দূরে ঠেলে
গলা টিপে কলুষিত স্তব্ধ করাকে থামিয়ে
আপন মাহাত্ম্যে ডানা ঝেড়ে উড়লে।
বাংলার জল কাদা শ্যামল সবুজ বাতাস সেচে
আর দোয়েল কোকিল শালিকের গান নিংড়ে
পরিপুষ্ট হলে, যৌবন জোয়ারে ভাসলে
শত বৈরিতা প্রতিকূলতা আঘাত সামলে
তিল তিল করে গড়ে তুললে
তোমার সাধের দারুণ সজীব অনিন্দ্যসুন্দর সৌধ।

যে বাংলা ভাষার আন্দোলন বাঙালির রক্তে
ডুবিয়ে দেয়ার বিক্রম দেখিয়েছিল শত্রুরা একদিন,
সে ভাষাই ফেব্রুয়ারির অগ্নি স্ফুলিঙ্গে শুচিশুদ্ধ হয়ে
স্বাধীনতার জন্মবীজ বুনলে,
আনলে রক্তে রাঙানো নতুন সূর্যোদয়।
রফিক-সালাম-বরকতদের রক্তমাখা পিচ্ছিল পথ পেরিয়ে
তোমার জয়গাঁথার কথা প্রতিধ্বনি তুললে বুকের গহীনে
মিশে গেলে বাঙালির ধমনীর রক্তে রক্তে
বুকে বুলেটের ক্ষত নিয়েও
অমরত্ম পেয়ে হয়ে উঠলে মহীরুহে,
কাঁটা তারের বেড়া পেরিয়ে পড়লে ছড়িয়ে সারা বিশ্বে,
সবখানে হাওয়া-বাতাসে বাংলা অক্ষর উড়িয়ে…
সবাইকে পথ দেখিয়ে আস্তানা গাড়লে শহরে নগরে মিনারে ।
গৌরব অহংকার ঐতিহ্য প্রেরণা মাথা নত না করা
আর হার না মানা চেতনার সে মিনার।

সম্প্রীতি

সুর-বাণী-ধ্বনি-তাল-ছন্দের এক আশ্চর্য মেলবন্ধনে
যেভাবে হয় একটি সুমধুর সংগীতের সৃষ্টি
রং-তুলি-মন আর ক্যানভাসের মেলবন্ধনে
যেভাবে জন্ম নেয় জীবন্ত সব ছবি,
সাত রঙের অপূর্ব মিশ্রণে যেমন মেঘের সাদা ভেলা
হয়ে ওঠে একটি রংধনু অনিন্দ্য সুন্দর
কলম-কালি-মন আর শব্দের মেলবন্ধনে
যেমন নির্মিত হয় কবিতার প্রজাপতি ঘর,
রোদ-বৃষ্টি-অক্সিজেন-নাইট্রোজেনের মেলবন্ধনে
যেমন সৃষ্টি হয় একটি ফুল
সেভাবেই ভালোবাসা-বন্ধুতা-শ্রদ্ধা-সহিষ্ণুতা-সহমর্মিতার
সঠিক মেলবন্ধনে গড়ে ওঠে কতো সম্পর্ক সুন্দর।

লোভ-লালসা-কামনা-বাসনা হিংসা মন থেকে ত্যাগ করো-
বিভাজন বিদ্বেষ-আলোআঁধারির জগত ছাড়ো-
ভেদাভেদ ভাবনার অন্তর্জলি যাত্রা শেষেই
বাড়ির কাছের আরশিনগরের পড়শি মনের
মানুষের সাথে মিলতে পারো।
তাহলে, সব ধর্ম, সব বর্ণ, সব গোত্রের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি
ও সম্পৃক্তির এক অনিন্দ্যসুন্দর পৃথিবী গড়তে পারো।

বিলুপ্ত প্রজাতি

আমি একসময় তোমাদের মধ্যে বাস করতাম
করতলে পলিমাটির সৌরভ নিয়ে
উড়তাম নীল আকাশের নিচে, দিগন্তজোড়া প্রান্তরে
সোনালি ঢেউ আর দোয়েল টিয়াদের কলকোলাহলে
মৌসুমি বাতাসের ঘনিষ্ঠতায় দুই ডানা মেলে
মৌমাছি প্রজাপতি আর ঝিঁঝিঁদের কলরবে।
কিন্তু এখন আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না।

গান গাওয়া পাখিদের মধ্যে আমিই প্রথম
খোলা আকাশের আর বৃষ্টির সংকেত দিয়েছিলাম,
আমি মানুষের খোঁজখবর নিতাম
দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে
প্রাচীন পরিব্রাজকের মতো হেঁটে বা সাইকেলে,
রেলের তৃতীয় শ্রেনীর কামরা থেকে নামতাম কোন শহরে
গ্রামে যেতাম নৌকায় ভেসে ভেসে।

জেলে আর সাদা বকেরা তাকাতো আমার দিকে হেসে হেসে।
নয়নে আমার শ্রাবণ মেঘের ছায়া
বুকজুড়ে আমার খেটেখাওয়াদের জন্য মায়া।
বেশি কথায় বিশ্বাসী ছিলাম না, ছিলাম অতি আদর্শবাদী।
আমার মাথায় ছিল ক্ষয়ে যাওয়া টিলার মতো উচু তালের টুপি
গায়ে কালো কোট, খদ্দরের পাঞ্জাবি উঁচু তর্জনী,
তবে, আমি এখন একটি বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি
সুন্দর বনের বাঘের মতো, আফ্রিকার ওরাংওটাং এর মতো
খাল বিলের ব্যাঙ চিঙ্গরি টেঙ্গরা পুঁটি পাবদা চেলা খলিশার মতো
চাইলেও এখন ছেলেমেয়েদের পাতে আমাকে তুলে দিতে পারবে না।
যারা শুধু প্রচারে মন, সাংবাদিকদের ফোন নিয়ে আছে মেতে
যারা ক্ষমতার দম্ভ দাপট নিয়ে ঘুরে বড় গাড়ি হাকিয়ে
যারা কাজের চেয়ে ওয়াদা আর বাগাড়ম্বরের কসরত করে
বড় বড় কথার শব্দ দূষণে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে ওঠে।
যেখানে আদর্শ ভো কাট্টা ঘুড়ি হয়ে রেললাইনের তারে ঝুলে
অন্ধ অনুরাগীরা পিছন পিছন চলে ঝল্লরী বাজিয়ে
যন্ত্রণায় যন্ত্রণায় আমি একদিন যাই দিগন্তে বিলীন হয়ে
আজকের চাকচিক্যের দুনিয়ায় ভুলেই গেছে সবাই আমাকে
ঠিকানা রাখেনি কেউ লিখে হৃদয়ে।

আমি এখন একটি ডাকটিকেটে গান গাই
আমি তোমাদের মুদ্রায় গান গাই।
একসময় তোমাদের মাঝে থাকতাম
প্রেমের গান গাইতাম, উদ্দীপনার গান গাইতাম
আমার গানের সুরে ঘাসেরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াত
শিরদাঁড়াশুন্য কেঁচোদের ভিড়ে উচ্চশিরের গান গাইতাম
বলতাম, এসো সাঁকো বানাই এসো বেঁধে বেঁধে থাকি
বেজে উঠত অন্ধকার জয়ের এক অনিঃশেষ আনন্দের শঙ্খধ্বনি।
এখন আমাকে খুঁজে পাবে না
আমি হারিয়ে যাওয়া জিনিস দিয়ে তৈরি
যা মাটিতে ঝরে পড়া একটি পালককে লুকিয়ে ফেলে।

দারিদ্র্য তোমাকে দেখেছি কম মজুরির মধ্যে
কিনতে না পারা বাবার প্রেসারের ওষুধের খালি প্যাকেটে
ক্ষুদা পেটে রাতে ঘুমুতে যাওয়া মায়ের চোখে
দারিদ্র্যকে দেখেছি সপ্তাহের পর সপ্তাহ একই তরকারি
খেয়ে স্কুলে যাওইয়া শিশুটির ঠোঁটে।
দারিদ্র্যকে দেখেছি জীবনে দাওয়াত না পাওয়া
কুরিল বস্তির করিমন বেওয়ার চোখে।
দারিদ্র্যকে দেখেছি জীবনে যার কোন করমর্দন নেই
তার করমর্দনলিপ্সু হাতের মধ্যে।
টাকার অভাবে বাজার করতে না পারা বৃদ্ধের চোখে
বানের জলে ভেসে যাওয়া ঘরের টিনের চালে,
ছোটখাটো শখ পুরণ করতে গেলে
অঙ্ক এসে যাদের পথ আটকে দাঁড়ায়,
দারিদ্র্যকে দেখেছি তাদের মধ্যে।

দারিদ্র্য

দারিদ্র্য তোমাকে দেখেছি একাকিত্ব গ্রাস করা মানুষের মধ্যে
দারিদ্র্যকে দেখেছি নেশার মায়জালে জড়া বেকার যুবকের মধ্যে।
এই সামাজিক ব্যাধিকে দেখেছি তার চোখে
যে নিজের পাতে ঝোল টেনে নেয়
ভিড়ের মাঝে লুকিয়ে থেকে ঝামেলা এড়িয়ে।
দারিদ্রকে দেখেছি তার মধ্যে যে গরীবের পেটে লাথি মারে
যে গরীবের পাকা ধানে মই দেয়।

আবার দারিদ্র্য তোমাকে দেখেছি যুদ্ধাস্ত্র বানানোর ল্যাবরেটরিতে
দারিদ্র্য তোমাকে দেখেছি মানহীন শিক্ষকের ক্লাশে
দারিদ্র্যকে দেখেছি লিঙ্গ অসাম্যের মধ্যে
হে দারিদ্র্য, সর্বোপরি তোমাকে দেখেছি
তার মধ্যে যার শুধু পকেট ভর্তি টাকা আছে,
কিন্তু আর কিছুই নেই।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবি ও গল্পকার। জন্ম ১৫ জুলাই, রংপুরে। বর্তমানে বসবাস করছেন কানাডার টরন্টো শহরে। ১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। সাংবাদিকতা ও পরে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত ছিলেন। ছোটগল্প ও কবিতা লিখছেন দীর্ঘদিন ধরে। গল্পগ্রন্থ “যাপিত জীবন” বিভাস থেকে বেরিয়েছিল ২০১৫ সালে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!