নওগাঁর হিজাব বিতর্ক: আমোদিনী পালের মামলায় প্রধান শিক্ষক কারাগারে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

“হিজাব বিতর্ক” নিয়ে শিক্ষিকা আমোদিনী পালের করা মামলায় জামিন নিতে এসে গ্রেপ্তার হয়েছেন তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধরণী কান্ত বর্মণ। রবিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগ এনে ৯ এপ্রিল মামলাটি করেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল।

বৃহস্পতিবার রাতে ওই মামলার এজহারভুক্ত আসামি কিউএম সাইদ ও কাজী সামসুজ্জামান মিলন নামের স্থানীয় দুই সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে মহাদেবপুর থানা পুলিশ। মামলার এক নম্বর আসামি ধরণী কান্ত বর্মণ রবিবার দুপুরে নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল আমলী আদালত-৩-এ হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। আদালতের বিচারক তাউ উল ইসলাম তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, দাউল বারবাকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল তার বিরুদ্ধে হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে হামলার অভিযোগে পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

১১ এপ্রিল হামলার ঘটনা তদন্ত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কাছে চার পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় সংশ্লিষ্ট কমিটি। “স্কুলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে বিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য গুজব ছড়িয়ে” শিক্ষিকা আমোদিনী পালের বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষকে উসকে দেয় বলে উঠে আসে কমিটির তদন্তে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউএনও মিজানুর রহমান বলেছিলেন, “কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তদন্তে হিজাব পরায় শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। তদন্তে কমিটির কাছে মনে হয়েছে, স্কুল পোশাকের কারণেই গত ৬ এপ্রিল বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল ও শরীরচর্চার শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের প্রহার করেন। স্কুলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষিকা আমোদিনী পালকে ফাঁসানোর জন্য ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। যারা এই গুজব ছড়িয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।”

এছাড়া, গত ৭ এপ্রিল বিদ্যালয়ে ১৫০ থেকে ২০০ জন ব্যক্তি হামলা চালিয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!