শেয়ারবাজারে লেনদেন আজও ধস নেমেছে। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) আজ বুধবার বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪৯০ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত এটিই চলতি বছরের সর্বনিম্ন লেনদেন। আজ লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার নিচে নেমে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

লেনদেন কমার পাশাপাশি কয়েক দিন ধরে বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতন হয়েছে। এতে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতার অভাব দেখা দিয়েছে। দিনের সর্বনিম্ন দামেও কিছু কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা মিলছে না। এ কারণে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েও বিক্রি করতে পারছেন না।
ডিএসইতে আজ হাতবদল হওয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকার বাজারে ৩৭৫টি প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়। তার মধ্যে ২৯৩টি বা ৭৮ শতাংশেরই দরপতন হয়েছে। দাম বেড়েছে কেবল ৪৪টি বা ১২ শতাংশের আর অপরিবর্তিত ছিল ৩৮টি বা ১০ শতাংশের দাম। শেয়ারের দরপতনের পাশাপাশি কমেছে সূচকও। ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এদিন ৩২ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ৬৬২ পয়েন্টে।
শেয়ারবাজারের একাধিক ব্রোকারেজ হাউসের অভিজ্ঞ পোর্টফোলিও মানেজারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাজারে এ মুহূর্তে বিনিয়োগ খরা চলছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিপর্যায়ের বিনিয়োগকারীদের বড় অংশই এখন বাজারে সক্রিয় নয়। আবার শেয়ারের দাম কমে যাওয়ায় অনেকের টাকা আটকে গেছে। ফলে তাঁরাও বাজারের নিয়মিত লেনদেনে সক্রিয় হতে পারছেন না। এ কারণে বাজারে মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। একজন পোর্টফোলিও মানেজার বলেন বড় বিনিয়োগকারীরা বাজার ধসের সময় নিজেদের গুটিয়ে ফেলে। হয়তো এই সময় তাঁরা শেয়ার কিনতে সাহস পায়না। যদিও এখই বিনিয়োগের উত্তম সময়।