নাটোরের স্বর্নপট্টি আজ টক অব দা টাউন

মাহাবুব খন্দকার
মাহাবুব খন্দকার - নাটোর প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

নাটোর শহরের লালবাজার এলাকার স্বর্ণপট্টি টক অব টাউনে পরিণত হয়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় স্বর্ণ শিল্পের দোকান ‘অনিমা জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ’ শিরোনামে দেশের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামািজক গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আলোচনার ঝড় ওঠে।

এনিয়ে মঙ্গলবার দিনভর চলে নানা আলোচনা। সামাজিক গণমাধ্যমে এই স্বর্ণপট্টির সবচেয়ে বড় সোনার দোকান অনিমা জুয়েলার্সের প্রতারনাসহ ক্রেতাদের ঠকানোর বিষয় উঠে এসেছে।

হাবিবুল্লাহ হিয়া ও শফিকুল আলম নামে দুই গ্রাহক সামাজিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের কমেন্টসে লিখেছেন, ‘অনিমা জুয়েলার্স থেকে সোনার গহনা বানিয়ে প্রতারণার শিকার হয়না, এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। এই দোকান মালিক গহনা বিক্রি করে ক্রেতাদের ঠকাতে পটু। ওজনে কম এবং ওই গহনা তাদের কাছে বিক্রি করতে গেলে সোনার পরিমান কম বলে ক্রেতাদের ঠকায়।

আমরা ঠকে শিখেছি। এখন অনিমা জুয়েলাসে আর গহনা বানাতে যাইনা। এরা এমিটেশান গহনা সোনার বলে বিক্রি করে। নামি মানুষদের এটা একটা রোগ। লোক ঠকানো বা ঠকানোর চেষ্টা, যাই বলা হোক না কেন ক্রেতাদের সাথে প্রতারনা করাই এদের অভ্যাস। এভাবে ক্রেতাদের ঠকিয়ে অর্থ বিত্তের মালিক বনেছেন।’

তানসেন সরকার নামে এক ব্যক্তি উল্লেখ করেছেন, ‘জুয়েলারি মালিকরা চোখের সামনে ডাকাতি করে। নুরুল ইসলাম নামে একজন যথাযত কতৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি সমিতির সাধারণ সম্পাদক অনিমা জুয়েলার্সের পক্ষে কথা বলায় দুঃখ পেয়েছেন।’

এদিকে সামাজিক গণমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশের পর অনেকেই প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। নাজমুল হক সরকার নামে বড়াইগ্রামের এক গ্রাহক এই প্রতিবেদককে জানান, তিনি অনিমা জুয়েলার্স থেকে একটি ডায়মন্ডের আংটি নিয়ে তার নববধুকে দিয়েছিলেন।

ক’দিন যেতে না যেতেই অংটির রং পরিবর্তন হয়ে যায়। বিষয়টি অনিমা জুয়েলার্স মালিককে জানালে তিনি পরিবর্তন করে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে উল্টো আমাকেই দায়ী করেন আমি অন্য কোথাও থেকে ইমিটেশনের আংটি কিনে তার ওপর দায় চাপাচ্ছি। সম্মানহানির আশংকায় তিনি অনিমা জুয়েলার্স থেকে বেড়িয়ে এসেছেন।

এর পর থেকে ওই দোকানে আর যাননি। এছাড়া এলাকায় বসবাসকারী অনেকেই এলাকার পরিবেশ নিয়ে প্রতিবেদন করার বিষয়ে অনুরোধ জানান। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি উঠেছে,সকলের উচিত অনিমা জুয়েলার্সকে বয়কট করা। এমন অবস্থায় ক্রেতাদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে সংশয়।

একাধিক স্বর্ন ব্যবসায়ী বলছেন একটি দোকানকে কেন্দ্র করে আমরা আজ সকলেই প্রশ্নবিদ্ধ। ক্রেতারা বলছেন আমরা যে দোকান থেকে অলংকার তৈরি করে নিলাম সেই দোকানদার যদি ভবিষ্যতে অস্বীকার করে এই অলংকার আমাদের দোকানের তৈরি না, তাহলে এর বিহিতকে করবে? প্রশাসনের পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন গ্রাহকরা।

অপরদিকে সংবাদটি প্রকাশের পর জুয়েলারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ভবেশ চক্রবর্তী ভক্ত অনিমা জুয়েলার্সের পক্ষে কথা বলেছেন। চটেছেন এই প্রতিবেদকের ওপর। তার দাবি প্রকাশিত সংবাদটি ভুল মিথ্যা ও বানোয়াট।

সামাজিক গণমাধ্যমে তিনি এমন দাবী করেছেন। মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবেদক ভবেশ চক্রবর্তী ভক্তর বক্তব্য নিতে গেলে তিনি ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, মেমো সহ এ সম্পর্কে তাকে আগে জানালে বিষয়টি সুরাহা করতেন বলে বলেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: মাহাবুব খন্দকার নাটোর প্রতিনিধি
সাংবাদিক এবং লেখক
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!