করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ টিকা ক্যাম্পেইনেও যারা প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারেননি, তারা স্থায়ী টিকা কেন্দ্রগুলোতে এসে প্রথম ডোজের টিকা নিতে পারবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে দেশের করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত ভার্চুয়াল স্বাস্থ্য বুলেটিনে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমরা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে অনেক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় এনেছি। তারপরও কেউ যদি বাদ পড়ে থাকেন, তারা আমাদের স্থায়ী কেন্দ্রে এসে টিকা নিতে পারবেন। এটা রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করেও নিতে পারবেন, যদি রেজিস্ট্রেশন না করা থাকলে তিনি কার্ডের মাধ্যমে নিতে পারবেন।”
শাসসুল হক বলেন, “রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কয়েকটি এলাকা বিশেষ করে সাভার, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এসব জায়গায় শিল্প কারখানা বেশি এবং অনেক মানুষ আমাদের টিকার আওতার বাইরে ছিলেন। তাদের জন্য টিকাদান কার্যক্রম স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনে এই কার্যক্রম তারা আরেকটু বৃদ্ধি করতে পারবেন। এই সুযোগ তাদের দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা একটা বিশেষ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করি। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা বিশেষভাবেই এটার দিকে নজর দেই, ক্যাম্পেইন এবং ক্যাম্পেইনের সময় বেশি মানুষকে টিকার আওতায় আনার জন্য।”
টিকা কর্মসূচির পরিচালক বলেন, “গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত আমরা প্রথম ডোজের টিকা দিতে পেরেছি দুই কোটি ৩২ লাখ মানুষকে। দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে এক কোটি সাত লাখ মানুষকে এবং বুস্টার দেওয়া হয়েছে ১০ লাখ মানুষকে। এই কয়েকদিনে আমরা তিন কোটি ৪৯ লাখ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পেরেছি বিভিন্ন ডোজে।”