পরীমনির মাদক মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিতে

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে হওয়া মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (১ মার্চ) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। তিন মাসের জন্য এই স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

আদেশে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছেন আদালত।

আদালতে পরীমনির পক্ষে আইনজীবী ছিলেন জেড আই খান পান্না, সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মিজানুর রহমান।

গতকাল সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল শুনানি শেষ হয়।

এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের আদেশ ও মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।

গত ৫ জানুয়ারি চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম অভিযোগ গঠন করেন। আদালত পরীমনিসহ তিনজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন নামঞ্জুর করেন। অপর দুই আসামি হলেন- আশরাফুল ইসলাম দীপু ও কবির হোসেন।

২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মাদক আইনে করা মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেয় ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। সেই সঙ্গে চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করে মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।

গত ৪ আগস্ট বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত পরীমনির অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে। এ মামলায় ৪ অক্টোবর পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। অভিযোগপত্র দাখিলের পর ১০ অক্টোবর পরীমনি ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিন নেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ করা মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তার গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!