যৌতুক মামলার জের স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের শিকার স্ত্রী ও আহত কন্যা শিশু

সুজন মজুমদার
সুজন মজুমদার - বাগেরহাট প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন

রামপালে স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক মামলা করায় এক সন্তানের জননী গৃহবধূ টুম্পা দেবনাথ (২৭) সহ তাঁর শিশু কন্যা অর্পণা পোদ্দার (৯) কে বেধড়ক মারধর ও পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে, ওই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতা ওই গৃহবধূ এখন হাসপাতালে বিছানায় কাতরাচ্ছে। যৌনাঙ্গে পাশবিক নির্যাতনের কারণে রক্তক্ষরণ থামছে না বলে দাবী করেন ওই নির্যাতিতা।

নির্যাতিতা টুম্পা জানান, ১০/১১ বছর পূর্বে উপজেলার কালেখারবেড় গ্রামের গোপীনাথপুর পোদ্দারের সাথে বিপুল পরিমাণ উপঢৌকন দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পরপরই যৌতুক লোভী স্বামী তাকে আরও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এ পর্যন্ত আমার বাবা তাকে ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছে। আরও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করছে। এ জন্য গোপী তাকে প্রায়শই নির্যাতন করে আসছিল। এক পর্যায়ে তিনি প্রতিকার চেয়ে বাগেরহাটের আদালতে একটি যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন। এতে চরম ক্ষিপ্ত হয় স্বামী ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার আদালতের ধার্য্য তারিখে স্বামী তার স্ত্রী টুম্পা কে নিতে চায়। এরপর উপজেলার তেলীখালী তাঁর বাবার বাড়ি থেকে তাকে লোকজন নিয়ে স্বামী গোপীর বাড়িতে নিয়ে আসে। গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কালেখারবেড়স্থ তাঁর শশুর বাড়িতে ঘরের দরজা দিয়ে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে শশুর, শাশুড়ী ও স্বামী মারপিট শুরু করে। এ সময় ঘরে থাকা শোকেসের ভাঙ্গা গ্লাস দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। এ সময় শিশু কন্যা অর্পণা কেও মারপিট করে। এখানেই থেমে থাকেনি স্বামী গোপী। সে স্ত্রীর যৌনাঙ্গেও পাশবিকতা চালায়। এতে প্রচুর পরিমাণে রক্ত ক্ষরণ হয় তাঁর।
ওই গৃহবধূ সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি মোঃ সামসুদ্দীন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিতভাবে অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: সুজন মজুমদার বাগেরহাট প্রতিনিধি
সাময়িকী, বাগেরহাট প্রতিনিধি।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!