কুয়েট ছাত্রলীগ সম্পাদকসহ ৪ নেতা আজীবন বহিষ্কার

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন
ফাইল ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চার শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃত অন্যরা হলেন, আবু হাসান আব্দুল কাইয়ুম, মো. কামরুজ্জামান রাজ্জাক, রিয়াজ খান নিলয়। এছাড়া আরও ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মুলতবি সভার পর বুধবার কুয়েট সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কুয়েট পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ইসমাইল সাইফুল্লাহ বলেন, বুধবার সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সভা পুনরায় শুরু হয়। ১১টায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৪৪ শিক্ষার্থীর শো-কজের জবাব এবং ৪৪ পৃষ্ঠার তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন সভায় পেশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি ও কুয়েট ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিকেলে কুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক সেলিম হোসেন মারা যান। তার মৃত্যুর পর সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ ওঠে এই মৃত্যুর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ তার অনুগত ছাত্ররা দায়ী। তার পরিবারও একই অভিযোগ করে।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। সে ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় অধ্যাপক সেলিমকে জেরা শুরু করেন।
পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা শিক্ষকের রুমে অবস্থান করেন। পরে কক্ষ থেকে বেরিয়ে অধ্যাপক সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অপরদিকে এ মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে গত ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধসহ দায়ী ছাত্রদের শাস্তির দাবি জানান শিক্ষকরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি দুই দফা বাড়িয়ে ৭ জানুয়ারি হল এবং ৯ জানুয়ারি ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!