যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বাস করা ভুল ছিল: ঘানি

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

গত ১৫ আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানরা যখন আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়, তার কিছু সময় পরই দেশ ছাড়েন দেশটির সাবেক রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানি। বর্তমানে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সহযোগী দেশগুলোকে বিশ্বাস করাই ছিল তার একমাত্র ভুল বলে মন্তব্য করেছেন। এমনকি সে সময়ে দেশ ছেড়ে পালানোর কোনো ইচ্ছেও তার ছিল না বলে জানান সাবেক আফগান রাষ্ট্রপতি।

বিবিসির রেডিও ফোর চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আশরাফ ঘানি স্বীকার করে বলেন, তখনকার পরিস্থিতিতে তিনি ভুল করেছিলেন। সেই ভুলের মধ্যে ছিল এটা ধরে নেওয়া যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও ধৈর্য্য নিয়ে অপেক্ষা করবে।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতাকালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তালেবানের চুক্তির দিকে ইঙ্গিত করে আশরাফ ঘানি জানান ওই চুক্তির অধীনে যা ঘটেছে তারই ফলশ্রুতি ছিল ১৫ই আগস্টের ঘটনা।

তিনি বলেন, “শান্তি চুক্তির পরিবর্তে আমরা পেয়েছিলাম প্রত্যাহার প্রক্রিয়া নিয়ে চুক্তি। যেভাবে ওই চুক্তি করা হয় তাতে আমাদের মুছে দেওয়া হয়েছিল। ওই চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র বাহিনী আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার এবং বন্দি বিনিময় করতে রাজি হয়। সেই শর্তে তালেবানরা আফগান সরকারের সঙ্গে আলেচনায় বসতে সম্মত হলেও সে আলোচনা কার্যকর হয়নি।”

তিনি আরও বলেন, “শেষ পর্যন্ত যা হয়, সেটি হলো একটা সহিংস অভ্যুত্থান। সেটি কোনো রাজনৈতিক চুক্তি ছিল না, এমনকি জনগণকে সঙ্গে নিয়েও কোনো রাজনৈতিক প্রক্রিয়াও ছিল না।”

১৫ আগস্টের সেই ভয়াল পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়ে সাবেক আফগান রাষ্ট্রপতি জানান, ১৫ই অগাস্ট তার শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাকে তালেবান কাবুলে না ঢোকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার কথা জানান। সঙ্গে প্রাসাদের নিরাপত্তা ভেঙে পড়া নিয়েও তাকে অবহিত করেন।

আশরাফ ঘানি বলেন, “আগে আমাদের বলা হয়েছিল হাক্কানিরা কাবুলে না ঢোকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। কিন্তু দু ঘণ্টা পর সব বদলে যায়। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. মোহিব এবং প্রেসিডেন্টের রক্ষী বাহিনী পিপিএস-এর প্রধান এসে আমাকে বলেন প্রাসাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “তালেবানের দুটি ভিন্ন শাখা দুটি ভিন্ন দিক থেকে তখন কাবুলে ঢোকার জন্য এগিয়ে আসছে এবং তাদের মধ্যে বিশাল এক লড়াইয়ের সম্ভাবনা তখন চরমে, যে লড়াই ৫০ লাখ মানুষের শহর কাবুলকে ধ্বংস করে দেবে, মানুষের জীবন চরম বিপদে পড়বে।”

তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর দেশ ছাড়া নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন আশরাফ ঘানি। এমনকি তার ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ তার পালানোটাকে ন্যাক্কারজনক বলেও অভিহিত করেন।

এ প্রসঙ্গে সাবেক আফগান রাষ্ট্রপতি জানান, ১৫ই অগাস্ট তার প্রাসাদের নিরাপত্তা বাহিনী যখন তাকে জানায় যে তারা প্রেসিডেন্ট বা কাবুলকে আর সুরক্ষা দিতে অপারগ, তার কয়েক মিনিটের মধ্যে আকস্মিকভাবেই তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর সিদ্ধান্ত নেন। তবে পালানোর কোন ইচ্ছেই তার ছিল না।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!