আলোচিত রেইনট্রিতে ধর্ষণ মামলায় সাফাতসহ সব আসামিই খালাস

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
2 মিনিটে পড়ুন

রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ আসামিকেই খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন।

খালাস পাওয়া বাকি আসামিরা হলেন সাফাতের বন্ধু সাদমান সাকিফ ও নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম, সাফাতের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আফরোজা ফারহানা আহমেদ অরেঞ্জ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রায় ঘোষণার আগে সাফাতসহ আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।

২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর রেইনট্রি হোটেলে সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে।

ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পর ৬ মে বনানী থানায় মামলাটি হয়। ওই দুই তরুণীর অভিযোগ, ওই হোটেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাতভর আটকে রেখে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম তাদের ধর্ষণ করেন। অন্য তিনজন তাতে সহায়তা করেন।

মামলাটির যুক্তিতর্ক শেষে গত ৩ অক্টোবর সব আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় তুমুল আলোচনার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শাখায় চলে শুল্ক গোয়েন্দাদের অভিযান। বেআইনি সোনা পাওয়ায় দিলদারের বিরুদ্ধে মামলাও হয়।

ধর্ষণের মামলা হওয়ার পরের মাসেই ৭ জুন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। চার বছর আগের আলোচিত এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

গত ৩ অক্টোবর বিচারক মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ অক্টোবর দিন ধার্য করেছিলেন। একইসঙ্গে সেদিন জামিনে থাকা পাঁচ আসামির জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

১২ অক্টোবরও রায়ের দিন থাকলেও বিচারক ছুটিতে থাকায় রায় প্রস্তুত করা সম্ভব না হওয়ায় তা পিছিয়ে ২৭ অক্টোবর নতুন তারিখ ধার্য করা হয়। কিন্তু ২৭ অক্টোবর প্রবীণ আইনজীবী বাসেত মজুমদার মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তাই বিচারক রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!