বাংলাদেশের তৈরি মোবাইল রফতানি হচ্ছে

সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বাংলাদেশে তৈরি মোবাইল ফোন বিদেশে রফতানি হচ্ছে। দুটি বাংলাদেশীয় মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরইমধ্যে মোবাইল ফোন রফতানি শুরু করেছে। আরও একটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের কারখানায় তৈরি (সংযোজিত) ফোন রফতানি করেছে বলে জানা গেছে।

তালিকায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, দুবাই ও নেপালের নাম। তবে দেশীয় মোবাইল উৎপাদকদের পছন্দের বাজার আফ্রিকা। আফ্রিকার কয়েকটি মার্কেটে ঢোকার জন্য এরইমধ্যে উৎপাদকরা পরিকল্পনা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সরকার আগেই ঘোষণা দিয়েছে, দেশীয় কারখানায় তৈরি মোবাইল বিদেশে রফতানি হলে উৎপাদকরা ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। এ ছাড়া মোবাইল কারখানা যে এলাকায় অবস্থিত সেখানে হাইটেক জোন ঘোষণা করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাও বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাক ‍ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা আমদানিকারক দেশ থেকে উৎপাদক হয়েছিলাম। এখন রফতানিকারকও হয়েছি। চিরকাল আমদানিককারক থাকবো না এমন স্বপ্ন দেখেছি। সেই স্বপ্ন বাস্তায়ন হয়েছে। শুধু মোবাইল ফোনই নয়—ফ্রিজ, টিভি, ল্যাপটপসহ আরও অনেক ডিজিটাল ডিভাইস বিদেশে রফতানি হচ্ছে।

- বিজ্ঞাপন -

তিনি এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি বেসিস সভাপতি থাকাকালে মুহিত ভাই (সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) ও তোফায়েল ভাইয়ের (সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ) সহায়তায় ডিজিটাল পণ্য রফতানির জন্য শতকরা ১০ ভাগ নগদ সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রফতানিকারকরা ওটাকে মুনাফা হিসেব রেখেই প্রতিযোগিতামূলক দামে মোবাইল সেট রফতানি করতে পারছেন।’

তিনি আরও জানান, বর্তমানে দেশের মোট চাহিদার ৭০-৮০ শতাংশ মোবাইল ফোন দেশের কারখানাগুলোতেই তৈরি হয়। আমদানি হয় ২০ শতাংশের মতো। সিম্ফনি মোবাইলও বিদেশে মোবাইল ফোন রফতানি শুরু করেছে। নেপালে মোবাইল ফোন রফতানির মাধ্যমে তাদের বিদেশে যাত্রা শুরু।

সিম্ফনি মোবাইল ফোনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া বলেন, নেপালে প্রথম চালান পাঠানোর মাধ্যমে আমাদের মোবাইল ফোন রফতানি শুরু। এ নিয়ে বড় পরিকল্পনা রয়েছে। আগামীতে শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম ও আফ্রিকার ২-৩টি বাজারে রফতানির প্রস্তুতি চলছে।

ওয়ালটন কিছুদিন আগে মোবাইল রফতানিকারকের খাতায় নাম লিখিয়েছে। ওয়ালটন মোবাইলের চিফ বিজনেস অফিসার এসএম রেজওয়ান আলম জানান, ‘সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মোবাইল ফোন রফতানি করেছে ওয়ালটন। এর আগে কাতার, দুবাই ও নেপালে রফতানি করেছে। এখন ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও সার্কভুক্ত দেশগুলোয় রফতানির লক্ষ্যে কাজ করছে ওয়ালটন।’

প্রসঙ্গত, দেশে মোবাইল কারখানা স্থাপনের জন্য লাইসেন্স পেয়েছে ১৪টি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৯-১০ প্রতিষ্ঠান মোবাইল ফোন উৎপাদন শুরু করেছে। সর্বশেষ মোবাইল উৎপাদন শুরু করেছে শাওমি।

- বিজ্ঞাপন -

দেশে স্যামসাং, সিম্ফনি, ওয়ালটন, ভিভো, অপো, রিয়েলমি, টেকনো, আইটেল, ইনফিনিক্স, ফাইভস্টার, নকিয়া মোবাইল তৈরি হচ্ছে।

উই এবং ওকে নামের দুটি ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বাজারে এলেও পরে এর উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) দোয়েল ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন বাজারে ছাড়বে। (সূত্র বাংলা ট্রিবিউন)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
মন্তব্য নেই

Log In

Forgot password?

Don't have an account? Register

Forgot password?

Enter your account data and we will send you a link to reset your password.

Your password reset link appears to be invalid or expired.

Log in

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!