কবি অসিত কর্মকারের ছ’টি কবিতা

অসিত কর্মকার
অসিত কর্মকার
2 মিনিটে পড়ুন

সাহস রাখো

আঁধার চিরস্থায়ী না
এক সময় না এক সময় ছিটকে বেরিয়ে পড়ে আলো
কাল যাকে দুপায়ে মাড়ালে
সেই আঁধারই এখন
রূপ পালটে মিশে গেছে দিনের আলোয়;
প্রয়োজনে তুমিও মিশে যাও,
এখন বিশ্বায়নের যুগ
সুযোগ পেলেই
দিনের আলোয় আঁধারের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে দাও
ভয় পেও না
আঁধার চিরস্থায়ী না।

প্রাজ্ঞ সন্ত্রাসীরা কহিয়াছেন

উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হইতে-
ডিগ্রী হাসিল করিবার কোনো আবশ্যকতা নাই।
বরং প্রত্যুষে উঠিয়া ফুটন্ত চায়ে চিনির বদলে
দুই তিন চামচ গানপাউডার মিলিত করিয়া পান করিলে যুবকদের উর্বরমস্তিষ্কে ঐশ্বরীয় চেতনা বৃদ্ধি পাইবে।
তখন কলমের বদলে
ঐশ্বরীক একে সাতচল্লিশ,গ্রেনেড এবং রকেটলঞ্চারসহ আত্মঘাতী বোমার সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়িয়া উঠিবে।
এই সব মারণাস্ত্র মানুষের উপর চালনা করিতে করিতে নিশ্চই একদিন বিখ্যাত সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাইবে।
যে যতো বেশি অনুভবি সন্ত্রাসীর শিক্ষায় শিক্ষিত হইবে
সে রাজ্য পরিচালনায় ততবড় পদমর্যাদায় ভূষিত হইবে।
উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হইতে-
ডিগ্রী হাসিল করিবার কোনো আবশ্যকতা নাই।

বাঙালি বলছি

পূর্বসূরীর মতো অভিমান করবো না,
এই উপত্যকা আমার-ই,এটা ধর্মবাজেরই স্বর্গ,এখানে
রাজাকার দর্শনে বিশ্বাসী সাহিত্যমারানিও আছে বেশ,
মন্দির আক্রান্ত হলে আওয়ামীলীগের পিণ্ডি চটকে
জামাতের শরীরে তেল মারে,আবার সাহিত্যের পাতায়
কৌশলে বাক্যগঠনে এরাই হিন্দুর পরম বন্ধু হতে চায়।
সব জানি,তবু এই উপত্যকা আমার-ই।
কলমের আঁচড় কাটা দেখেই বুঝতে পারি যে,এরাই পাকিস্তানের বাই প্রোডাক্ট রাজাকার দর্শনে বিশ্বাসী
সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেয়া কলমবাজ।
রাষ্ট্র কী বুঝে ?

ভীষণ-ই জ্বর

রাষ্ট্রের গা জুড়ে ভীষণ জ্বর,এখানে
ডক্টরের প্রাবল্য বেশি ডাক্তার নাই,অথচ পঞ্চাশ বছর
প্রমুখেরা জল ঢালে পশ্চাদগামী ডক্টরের শিরে!
এখনও রাষ্ট্রের গা জুড়ে ভীষণ ভীষণ-ই জ্বর।
আমাদের কোনো শির-ই নাই…
২১-০৮-২০২১ ইং

বড় বিস্ময়

স্বনামখ্যাতরা গত হলেপরে
মাতৃমন্দিরের আধিপত্যের লড়াইয়ে দেখি আজকাল
বিধিচক্রে কোটিপতি হওয়া ক’টা কূপমণ্ডূক
প্রভুত্বের অধিকার ফলাতে চায় –
হে দয়ারাম
তোমার প্রতিষ্ঠা করা মন্দিরে আজ
এটাই যে বড় বিস্ময়…

কথাগুলো তোমাকেই বলা

সুনাম অর্জন করতে করতে মানুষ
স্বনামখ্যাত হয়ে গেলে শত্রুও বেড়ে যায় অনেক,
তখন ঈর্ষাসঞ্জাত ক্রোধে সগোত্র-ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়-
প্রতিরোধের পর প্রতিরোধে ব্যর্থ হলেপরে
অতিসূক্ষ্ম জাল বিছায় খ্যাতনামার পরিবারে,এতে
আদরের বাবাটাও জড়াতে পারে জালে-
ক্রোধে করে দিতে পারে মাদকাসক্ত
তখন নিশ্চিত বুঝে নিবে বাবাটার কোনো দোষ নেই,
যা কিছু ঘটেছে তা চূড়ান্ত খ্যাতির-ই কারণে-
তখন মাথা ঠাণ্ডা রেখে শুধু বাবাকেই সঙ্গ দাও
আর যত বেশি পারো ফিজিক্যাল রিলেশন গড়ে তুলো
মানে বেশি বেশি করে বুকে জড়িয়ে ধরো
দেখবে শত্রু নিজে থেকেই কুপোকাত…

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!