বরিশাল বিভাগে ইলিশ রক্ষা অভিযানে গত ৬ দিনে ১৪১ জনের কারাদন্ড, বিপুল পরিমান মাছ ধরা জাল জব্দ হয়েছে। গত ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান চলবে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া মামলা হয়েছে ১৯৬টি। জরিমানা করা হয়েছে ৪ দশমিক ৮৬২ লাখ টাকা। নিলামকৃত মাছ বাবদ আয় হয়েছে দশমিক ০২৭ লাখ টাকা। এছাড়া ৫টি নৌকা আটক ও ৪টি বেহুন্দি জাল উদ্ধার করেছে বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর।
আনিসুর রহমান তালুকদার, উপ-পরিচালক, বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর, এ পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ৪ অক্টোবর হতে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ নির্দেশনা অমান্য করায় নেয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।
মৎস্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আরো জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থা আরও কঠিন হতে চলেছে। আমি মন্ত্রী মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কাউকে এ বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে না , সে যতই ক্ষমতাবান হোন না কেন।
বিভাগীয় মৎস অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ অভিযানে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রক্ষায় বিভাগে অভিযান পরিচালিত হয় ৭২১টি। মোট ২৮২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। এসব অভিযান থেকে ২ দশমিক ৫৯৪টন ইলিশ আটক করা হয়।
অভিযান চলার সময় ৬ দিনে প্রায় ১৮ দশমিক ১৯৯ লাখ মিটার দৈর্ঘ্যের ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অধিদপ্তর।
অধিদপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, বরিশাল বিভাগে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও অভিযান পরিচালনাকালে গত ৬ দিনে ১৫৭টি অবতরণ কেন্দ্র, ১ হাজার ৬৮টি মাছঘাট, ২ হাজার ৭২টি আড়ত, ১ হাজার ৭৫৩টি বাজার পরিদর্শন করা হয়।
নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে বিভাগের ৬ জেলার জেলে পরিবারের জন্য ৬ হাজার ৯৪২ দশমিক ৪৮ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রতি পরিবার ২০ কেজি করে চাল পেয়েছে।
গত বছর ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ সময়ে প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে ১ হাজার ২৬টি, অভিযান পরিচালনা করেছে ২ হাজার ৫০৫টি, আইন না মানায় মামলা করা হয় ১ হাজার ২৪৯টি, কারাগারে পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ১৩৩ জনকে এবং জরিমানা করা হয় ২০ লাখ ৮২ হাজার টাকা।