‘মহাশূন্যে জুরান’ পর্ব – বাইশ

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
12 মিনিটে পড়ুন

ইমলিকে হন্তদন্ত হয়ে গেট দিয়ে ঢুকতে দেখে কেয়ারটেকার ছেলেটা চট করে খাটিয়া থেকে উঠে কী যেন জিজ্ঞেস করার জন্য তড়িঘড়ি এগিয়ে গেল। কিন্তু সে দিকে বিন্দুমাত্র ভ্রুক্ষেপ করলেন না ইমলি। সিঁড়ির এক-একটা ধাপ টপকে টপকে প্রায় হরিণের মতো লাফাতে লাফাতে চার তলায় উঠে গেলেন। দরজার কাছে যেতেই তিনি দেখলেন, তাঁদের ফ্ল্যাটের দরজা হাট করে খোলা। আর সেটা দেখামাত্রই তাঁর মুখের উপরে যেন এক ঝলক বিশুদ্ধ বাতাস আছড়ে পড়ল।
সেই বিশুদ্ধ বাতাস বুক ভরে নেওয়ার জন্য, নাকি একটানা এতগুলি সিঁড়ি দুদ্দাড় করে ভেঙে ওঠার জন্য হাঁপিয়ে পড়েছিলেন বলে, ঠিক বোঝা গেল না। বড় একটা শ্বাস নিলেন তিনি। তাঁর মনে হল, যার জন্য তিনি সকাল থেকে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন, সেই জুরানকে কি তা হলে তাঁর স্বামী খুঁজে পেয়েছেন!
যাক বাবা, বাঁচা গেল। ঠাকুর যা করেন, ভালর জন্যই করেন। তার পরেই উপরের দিকে তাকিয়ে ঠাকুরের উদ্দেশে বারকতক প্রণামও করলেন তিনি। মনে মনে একটু গোসাও হল তাঁর। ছেলেকে নিয়ে বাড়ি এসেছেন, অথচ সেই খবরটা যে তাঁকেও জানানো দরকার, তিনিও যে চিন্তা করছেন, এ কথাটা একবারও তিতারের মনে হল না! ভারী অদ্ভুত তো!
ভাবতে ভাবতে ফ্ল্যাটের ভিতরে ঢুকে পড়লেন ইমলি। এ ঘরে ও ঘরে উঁকি মারতে লাগলেন। জুরান যে ঘরে শোয়, সে ঘরে পা রাখতেই দেখলেন, যে জামাপ্যান্ট পরে জুরানকে খোঁজার জন্য সক্কালবেলায় তাঁর সঙ্গে তিতার বেরিয়েছিলেন, সেই জামাপ্যান্টগুলো মেঝের উপরে পড়ে আছে।
এটা দেখে একটু অবাকই হলেন তিনি। তিতার যতই অন্যমনস্ক হোন না কোন, উনি তো এতটা অগোছালো নন। আজ পর্যন্ত উনি কখনও জামাপ্যান্ট খুলে খাটের উপরেই ফেলে রাখেননি, তো মেঝের উপরে! বরং ছেলে বা তিনি কখনও ভুল করে এ দিকে ও দিকে কিছু ফেলে রেখে দিলে উনি ঠিক গুছিয়ে-গাছিয়ে তুলে রাখেন। সেখানে উনি এই ভাবে জামাপ্যান্টগুলো ফেলে রেখেছেন!
একটু খটকা লাগল ঠিকই, তার পরেই তাঁর মনে হল, ছেলে এ ভাবে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যাওয়ায় তাঁর মতো ওঁরও বুঝি আজ সব কিছু ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে। হতে পারে, হতেই পারে। এটা নিশ্চয় তারই একটি।
ঠিক আছে এটা না-হয় বুঝলাম। কিন্তু কথা হচ্ছে, ওরা গেল কোথায়! ও ঘরে নেই। এ ঘরে নেই। কর্পূরের মতো হাওয়ায় উবে গেল নাকি! নাকি ওরা এখনও ফেরেইনি! তবে কি তিতার তাঁর ছেলেকে এখনও খুঁজেই পাননি! সকালে পরা ওঁর জামাপ্যান্টগুলো মেঝের উপরে এই ভাবে পড়ে থাকতে দেখে তাঁর তো মনে হচ্ছে উনি এসেছিলেন। তা হলে কি জামাপ্যান্ট পাল্টে উনি আবার ছেলেকে খুঁজতে গেছেন!
পারেও বাবা! ছেলে আগে, না পোশাক আগে! নাকি অনেক দূরে কোথাও গেছেন! এমনও তো হতে পারে, জুরানকে দূরে কোথাও একা দেখতে পেয়ে আমাদেরই কোনও আত্মীয় বা পরিচিত কেউ তিতারকে ফোন করে জানিয়েছেন, তোমার ছেলেকে এখানে দেখলাম। আর সেটা শুনেই উনি অমনি ছেলের জন্য ওখানে ছুটেছেন। জায়গাটা এত দূরে যে সকালের এই জামাপ্যান্ট পরে সেখানে যাওয়াই যায় না। হতে পারে! হতেই পারে!
না। এ সব ভেবে আর সময় নষ্ট করা যাবে না। তিতার যে ভাবে তাঁর ছেলেকে খুঁজছেন, খুঁজুন। আমিও আমার মতো করে চেষ্টা চালিয়ে যাই। যেটায় কাজ হয় হোক। মোদ্দা কথা, আমাদের ছেলেকে পেলেই হল। যে ভাবে পড়ে আছে, পড়ে থাক। গুছিয়ে রাখা তো নয়ই, এই জামাপ্যান্টগুলো তুলতে গিয়ে সামান্য সময়টুকুও নষ্ট করতে চান না তিনি। তাঁকে এক্ষুনি আলমারি থেকে আট হাজার টাকা নিয়ে ওই তান্ত্রিকের কাছে ছুটতে হবে। জুরানকে যারা আটকে রেখেছে, তাদের বশীকরণ করে, তাদের কবল থেকে ওঁদের সবেধন নীলমণি একমাত্র ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে হবে। তাঁর কাছে এটাই এখন সব চেয়ে জরুরি কাজ। সব চেয়ে জরুরি।
বড় বড় পা পেলে নিজের ঘরে গিয়ে আলমারির চাবি বার করার জন্য যেই ড্রেসিং টেবিলের দেরাজটা টান মেরেছেন, অমনি ওঁর কানের কাছে কে যেন ফিসফিস করে বলল, তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ…
কে বলল কথাটা! ঝট করে পিছন ফিরে তাকালেন। দেখলেন, কেউ কোত্থাও নেই। টেনশনে থাকলে বুঝি এ রকমই হয়। নানান চিন্তা মাথার মধ্যে এসে ভিড় করে। হুটোপাটি করে। দামাল নৃত্য শুরু করে দেয়। তখন কী শুনতে লোকে যে কী শোনে, তার কোনও ঠিক-ঠিকানা থাকে না।
হ্যাঁ, এই ড্রেসিং টেবিলটা অনেক পুরনো। খুব দরকার না-হলে দেরাজটা খোলাই হয় না। বর্ষাকালে খুলতে হলে একেবারে কালঘাম ছুটে যায়। তিতারকে ডাকতে হয়। নানান রকম কারিকুরি করে, টানা-হ্যাঁচড়া করে, এটা-সেটা করে, দুজনে মিলে গায়ের জোর আর বুদ্ধি খাটিয়ে কোনও রকমে খোলেন।
অন্য সময় অবশ্য অত কিছুর দরকার হয় না। তবে আঁটোসাঁটো দেরাজটা খুলতে গেলে একটু-আধটু ক্যাঁচকুঁচ আওয়াজ হয় বইকী। কিন্তু সে আওয়াজ তো এ রকম নয়। না। তিনি ভুলই শুনেছেন। যতক্ষণ না ছেলেকে তিনি পাচ্ছেন, ততক্ষণ বোধহয় এ রকমই উদ্ভট-উদ্ভট শব্দ তিনি শুনতেই থাকবেন।
হ্যাঁ, এই তো, দেরাজটা একটু ফাঁক হয়েছে। এ বার একটু জোরে টান দিলেই যেটুকু খুলবে, তার মধ্যে দিয়ে হাত গলিয়ে একটু হাতড়ালেই চাবির গোছাটা নিশ্চয়ই পাওয়া যাবে, এটা মনে করে আরও একটু জোর লাগিয়ে যেই একটা হ্যাঁচকা টান মেরেছেন, অমনি ফের তাঁর কানে ভেসে এল, তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ…
না। এ বার আর পিছন ফিরে তাকালেন না ইমলি। সরাসরি ড্রেসিং টেবিলের আয়নাটার দিকে তাকালেন। আয়নাটা বেলজিয়াম কাচের। এ সব এখন আর পাওয়া যায় না। ডিজাইনটাও একেবারে আদ্যিকালের। তিতারের দাদু বা দাদুর বাবা হয়তো শখ করে কখনও কিনেছিলেন।
আয়নাটার ডান দিকে আর বাঁ দিকে দরজার পাল্লার মতো দারুণ নকশা করা সেগুন কাঠের ফ্রেমে বাঁধানো আরও দু’-দুটো আয়না রয়েছে। দু’দিক দিয়ে ভেজিয়ে দিলে সামনের আয়নাটা একেবারে পুরো ঢেকে যায়। আবার খুলে দিলে পাল্লা দুটো এমন তেরচা ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে যে, ও দিকে তাকালে ঘরের প্রতিটা কোণই একদম স্পষ্ট দেখা যায়।
সেটা দেখার জন্য আয়নাটার দিকে তাকাতেই চমকে উঠলেন ইমলি। এটা কে! হ্যাঁ, তিনিই তো! তবে তিনি আজকের ইমলি নয়। আজ থেকে বহু বহু বছর আগের ইমলি। তখন তিনি এই এইটুকুনি ছিলেন। ফ্রক পরতেন। মাথার দু’দিকে দুটো বিনুনি ঝুলত। সেই বিনুনিতে শোভা পেত চুল বাঁধার ফিতে দিয়ে বানানো নানান নকশার বাহারি ফুল। কখনও লাল, কখনও সবুজ আবার কখনও বা নীল।
আজ তাঁর বিনুনিতে ঝুলছে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ফ্যাকাশে একটা ফুল। কিন্তু ওঁর কোলে ওটা কী! একটা বিড়ালছানা না! ও মা, কী সুন্দর ফুটফুটে! পিটপিট করে তাকাচ্ছে। তাঁকেই দেখছে মনে হয়। দেখেই বড় আদর করতে ইচ্ছে করল ওঁর। আর আদর করার জন্য যেই হাত বাড়ালেন, অমনি বিড়ালছানাটা যেন মুখ ঘুরিয়ে নিল। আর সেটা দেখেই তাঁর মনে পড়ে গেল, আর একটা বিড়ালের কথা। সেও ঠিক এ ভাবেই মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল।
সে দিন রোজকার মতো বাবার সঙ্গে উনি পার্কে গিয়েছিলেন। পুরো পার্কটাই ছিল মানুষ-সমান লোহার মোটা মোটা শিক দিয়ে ঘেরা। ভিতরে কোনও যানবাহন তো নয়ই, সামান্য সাইকেল চালানোও ছিল নিষিদ্ধ। আর যেহেতু দু’দিকের গেটেই পাহারাদার থাকত। ফলে বাবা-মা কিংবা কোনও অভিভাবক ছাড়া কোনও বাচ্চাই একা বাইরে বেরোতে পারত না। তাই বাবা-মায়েরা একদম নিশ্চিন্ত থাকতেন। নিয়মিত যাতায়াত করতে করতে সবার সঙ্গে সবারই চেনাজানা হয়ে গিয়েছিল। তাই বাচ্চাদের পার্কের ভিতরে ছেড়ে দিয়ে মায়েরা যেমন ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে নিশ্চিন্তে গল্পগুজব করতেন। তেমনি বাবারাও এখানে সেখানে জটলা বেঁধে আড্ডা দিতে বসে যেতেন।
সে দিন ওঁর বাবা যখন বন্ধুদের সঙ্গে গল্পে মশগুল, তখন খেলতে খেলতে হঠাৎ তাঁর নজরে পড়ে, পার্কের এক কোণে একটা টগর গাছের তলায় দুটো ছানাকে নিয়ে শুয়ে আছে একটা মা-বিড়াল।
উনি সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে একটা বিড়ালছানাকে কোলে তুলে নিয়েছিলেন। আদর করতে করতে নিয়ে এসেছিলেন বন্ধুদের কাছে। তারাও সবাই মিলে বিড়ালছানাটাকে আদর করতে শুরু করেছিল। আলতো করে গায়ে হাত বোলাচ্ছিল। কেউ কেউ কোলে নিতে চাইছিল। উনি তখন বলেছিলেন, দাঁড়া, আমরা তো দোলনা চড়ি। স্লিপে চড়ি। ওকেও চড়াব। দেখবি, ও-ও খুব মজা পাবে। খুশি হবে।
ওঁর কথা শুনে অন্য বন্ধুরাও হইহই করে উঠেছিল। বলেছিল, ঠিক বলেছিস, ঠিক বলেছিস। চল চল চল। ওকে প্রথমে স্লিপে চড়াই।
সেই মতো দল বেঁধে পর পর সিঁড়ি বেয়ে উঠে যেই ওই বিড়ালছানাটাকে স্লিপের উপরে আস্তে করে শুইয়ে ওরা ছেড়ে দিয়েছিল, অমনি বিড়ালছানাটা সাঁ করে চোখের নিমেষে একেবারে নীচে।
যারা তখনও ওকে কোলে নিতে পারেনি। তাদের কেউ কেউ ওকে কোলে নেওয়ার জন্য আগে থেকেই নীচে স্লিপের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের চোখের সামনেই ঘটে গেল সেই ঘটনাটা।
বিড়ালছানাটা এত জোরে এসে বেকায়দায় একেবারে মুখ থুবড়ে নীচে ছিটকে পড়ল যে, সঙ্গে সঙ্গে ওখানেই ঘাড় মটকে, মাত্র কয়েক বার হেঁচকি তুলেই একদম স্তব্ধ হয়ে গেল।
ওরা বিড়ালছানাটার মুখে জল দিল। গায়ে-মাথায় হাত বোলাল। কিন্তু না। ও আর নড়ল না। চড়লও না। মায়ের কাছে দিলে, একটু দুধ খেলে হয়তো বাঁচলেও বেঁচে যেতে পারে, এটা ভেবে ইমলি যখন বিড়ালছানাটাকে মা-বিড়ালটার কোলের কাছে নিয়ে গিয়ে রাখলেন, মা-বিড়ালটা তার ছানাটাকে চাটতে লাগল। মুখের কাছে মুখ ঠেকিয়ে বারবার শুঁকতে লাগল। তার পর ছলছল চোখে ইমলির দিকে একদৃষ্টে তাকিয়ে রইল। তার চোখের কোল বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ল।
সেটা দেখে ওরই এক বন্ধু বলেছিল, তুই ওর বাচ্চাটাকে মেরে ফেলেছিস তো, ও বোধহয় সে জন্যই তোকে অভিশাপ দিচ্ছে। দেখবি, তোর যখন বাচ্চা হবে, সেও ঠিক এই ভাবে মারা যাবে।
না। কিছুতেই না। চিৎকার করে উঠলেন ইমলি। কোন্ ছোট বয়সে খেলার ছলে ভুল করে কী করেছি, তার জন্য এত বড় শাস্তি কিছুতেই হতে পারে না। কিছুতেই না। ওটা কোনও বয়স! আয়নার দিকে তাকাতেই উনি দেখলেন, কোথায় ছোটবেলাকার উনি! এটা তো ওঁর এখনকার ছবি। এই মুহূর্তের ছবি। তবু কোনও এক উদ্বেগে অন্যমনস্ক হয়ে প্রচণ্ড জোরে টান মারতেই খোপ থেকে পুরো দেরাজটাই প্রায় বেরিয়ে এল। আর একটু হলেই পড়ে যাচ্ছিল আর কী! সেটা কোনও রকমে সামলে ফের ঢোকানোর জন্য প্রাণপণে ঠেলাঠেলি করতে লাগলেন তিনি। কিন্তু না। পারলেন না। অগত্যা সেটাকে মেঝের উপরে নামিয়ে রেখে চাবির গোছাটা নিয়ে ঝটপট আলমারি খুলে টাকার ব্যাগটা বার করলেন। কিন্তু না। টাকা গুনে নেওয়ার মতো অবস্থায় তিনি নেই। গুনতে গেলে ভুলভাল হয়ে যাবে। তা ছাড়া, তাঁর হাতে আর সময়ও নেই। তিনি ওই তান্ত্রিককে বলে এসেছেন, তিনি যাবেন আর আসবেন। ফলে আর এক মুহূর্ত সময়ও নষ্ট করতে চান না তিনি। তাই টাকার পুরো ব্যাগটা নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লেন। যাবার সময় ফ্ল্যাটের দরজাটা দড়াম করে টেনে দিয়ে গেলেন। একবার ফিরেও দেখলেন না, ক্যাচ লকটা ঠিক মতো আটকালো কি না, নাকি খুলেই রইল। তার থেকেও বড় কথা, উনি জানতেই পারলেন না, কী ভাবে বারবার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে হাওয়ায় মিলিয়ে যেতে বাধ্য হল, তাঁদের ফ্ল্যাট থেকে তাঁর পিছু পিছু ছুটে আসা সেই ফিসফিস শব্দটা— তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ… তুঁ মুঁ ছুঁ…

চলবে…

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!