আজ ১২ ই আগস্ট বাংলাদেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর মোট লেনদেন হয়েছে ২৯৫৩.৯২ কোটি টাকা। গত কার্যদিবসের মোট ট্রেড ভলিউম ছিল ২৬৬১.৭০ কোটি টাকা। আজ গত কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ২৯২.২২ কোটি টাকা।
আজ দাম বেড়েছে ২০৪ টি কোম্পানির। দাম কমেছে ১৪৬ টি কোম্পানির। দাম অপরিবর্তিত ছিল ২৫ টি কোম্পানির। আজ ডিএসই তে মোট ৩৭৫ টি কোম্পানির লেনদেন হয়েছে।
আজ দিন শেষে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২৯.৫৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬৭৪৮.৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

আজ দিনের শুরুতে মানুষের মধ্যে একটু রক্ষণাত্মক ভাব থাকাতে, দিনের শুরুতে লেনদেন কিছুটা ধীর গতিতে আগাচ্ছিল, দিন বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটের গতি বাড়তে থাকে। যা শেষ অবদী পজিটিভ ধারাতে ছিল।
ব্লক ট্রেড
বাংলাদেশের প্রধান শেয়ার বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এর আজ মোট লেনদেন হয়েছে ২৯৫৩.৯২ কোটি টাকা। আজ ব্লকে মোট লেনদেন হয়েছে ১৭৬.০৬ কোটি টাকা।

আজ রেকর্ড পরিমাণ ব্লকে লেনদেন হয়েছে আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড এর, আজ ১৭৬.০৬ কোটির মধ্যে এক আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড এর ই ১০৪.৪৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

আজ ব্লক মার্কেটে লেনদেন হয়েছে মোট ৬০ টি কোম্পানির। মোট লেনদেন হয়েছে ১৭৬.০৬ কোটি টাকা, গত কার্যদিবসে ব্লকে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬৩.৬৬ কোটি টাকা, আজ ব্লকে গত কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ১১২.৪০ কোটি টাকা।
ব্লকের লেনদেন বাদ দিলে আজকের মূল মার্কেটের ট্রেড ভলিউম ২৭৭৭.৮৬ কোটি টাকা। যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৫৯৮.০৪ কোটি টাকা। আজ মূল মার্কেটে গত কার্যদিবসের চেয়ে লেনদেন বেশি হয়েছে ১৭৯.৮২ কোটি টাকা।
আজকে ব্লকে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়েছে পরিমানের দিক থেকে আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড, ব্রাক ব্যাংক, জেনেক্সিল, ন্যাশনাল হাউজিং, ডমিনেজ স্টিল, ফুয়াং ফুড ইত্যাদি কোম্পানির। আজ টাকার দিক দিয়ে ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আল আরাফা ব্যাংক লিমিটেড, জেনেক্সিল, ব্রাক ব্যাংক ইত্যাদি কোম্পানির।
আজকের টপ গেইনিং তালিকা মিশ্রিত ছিল। আজকে গেইনিং তালিকাতে টেক্সটাইল ও ফাইনান্স শেয়ারের প্রধান্য ছিল। তবে আজকে টেক্সটাইল খাতেরই একক আধিপত্য ছিল।

সার্বিক মার্কেট বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, গত ২/৩ মাসের মার্কেট মুভমেন্টে ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের বিনিয়োগকারীগন তেমন কোন ক্যাপিটাল গেইন পায়নি, যে কারণে ইদানিং বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীগন দ্রত মুনাফা পাবার আশাতে, রিস্ক নিয়ে দুর্বল মৌল ভিত্তির শেয়ারের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। যার ফলে দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলছে।