‘মহাশূন্যে জুরান’ পর্ব – নয়

সিদ্ধার্থ সিংহ
সিদ্ধার্থ সিংহ
11 মিনিটে পড়ুন

জুরানের মায়ের নাম ইমলি। বছর চল্লিশেক বয়স। বেশ স্বাস্থ্যবতী। গোলগাল। রান্নাবান্না থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় কাজ নিজেই দু’হাতে সামলান। যদিও তাঁর স্বামী তিতার, মানে জুরানের বাবা বহু বার তাঁকে অন্তত একটা ঠিকে কাজের লোক রাখার জন্য বলেছেন, কিন্তু তিনি শোনেননি। প্রতিবারই বলেছেন, তিনটে লোকের কাজ আবার কোনও কাজ নাকি? সেটুকুও যদি লোক দিয়ে করাতে হয়, তা হলে তো আমাকে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকতে হবে। বসে থাকতে থাকতে শরীরের কলকব্জায় জং ধরে যাবে। পরে আর চলাফেরাও করতে পারব না। তুমি কি সেটা চাও?
ইমলি সত্যিই খুব করিৎকর্মা। নিজে খুব ভোরে ওঠেন। জুরান অনেক রাত অবধি একা-একা পড়ে এবং সকালে ওঠার জন্য তাঁর মোবাইলে অ্যালার্ম দিয়ে রাখে, এটা জেনেও, যদি দেখেন ও ওঠেনি, তা হলে ওকেও ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পড়তে বসার জন্য। তিনি বলেন, রাত্রে যতই পড়ো, সকালের পড়াই হল আসল। তখন মন শান্ত থাকে। যা পড়বে, তা-ই খুব সহজে মনে রাখতে পারবে।
তাই অন্যান্য দিনের মতো আজও জুরানের গলা শুনতে না-পেয়ে জুরানকে ডাকার জন্য জুরান যে ঘরে শোয়, সে ঘরে গেলেন ওর মা। সেখানে জুরানকে দেখতে না-পেয়ে তিনি মনে মনে ভাবলেন, যাক্, ছেলের তা হলে উন্নতি হয়েছে। যাকে এই ক’দিন আগেও বাবা-বাছা করে ডাকতে ডাকতে প্রত্যেক দিন সকালে হয়রান হতে হত, আর ‘এই উঠছি, এই উঠছি’ করে বেলা গড়িয়ে দিত যে ছেলে, সে কিনা আজ নিজে থেকেই উঠে পড়েছে। বাঃ, এত দিনে তা হলে ও নিজের বুঝ নিজে বুঝতে শিখেছে!
এ তো খুব ভাল কথা। কিন্তু কথা হচ্ছে, এত সকালে ও গেল কোথায়! বাথরুমের দরজা তো হাট করে খোলা। ও-ঘরেও নেই। এইমাত্র ওই ঘর থেকেই তো তিনি এলেন। তবে? না। বাইরেও যায়নি। আর যাবেই বা কী করে! রাতের খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলে রোজ রাতে তিনি কিংবা তিতার একেবারে মনে করে ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে লক করে দেন। চাবি থাকে ও-ঘরে। তাঁর বালিশের তলায়। সেখান থেকে জুরান চাবি নিলে তিনি কি টের পেতেন না! তা হলে!
ইমলি একরাশ উদ্বেগ নিয়ে ছুটে গেলেন ও-ঘরে। গায়ে হাত দিয়ে ঝাঁকিয়ে ডাকতেই তিতারের ঘুম ভেঙে গেল। এ ভাবে তাঁর বউ তাঁকে কখনও ডাকেন না। নিশ্চয়ই কিছু একটা হয়েছে! আন্দাজ করে ধড়মড় করে লাফ দিয়ে উঠে বসলেন তিনি, কী হয়েছে?
— জুরানকে কোথাও পাচ্ছি না।
তখনও তাঁর দু’চোখ ঘুমে জড়িয়ে আছে। তাই বউ কী বলছে, বুঝতে না-পেরে বললেন, দ্যাখো না বাথরুম-টাথরুমে গেছে বোধহয়…
— না রে বাবা, আমি সব জায়গায় দেখেছি, ওকে কোথাও পাচ্ছি না।
— পাচ্ছ না মানে? যাবে কোথায়? এ দিকে ও দিকে দ্যাখো…
— কোথায় দেখব? লুডোর ছক্কার মতো পুঁচকি পুঁচকি দুটো তো মাত্র ঘর। সেখানে ওকে দেখার জন্য কি টর্চ নিয়ে খুঁজতে হবে? বেশ চড়া গলাতেই বললেন ইমলি।
ঝট করে উঠে খাট থেকে মেঝেয় নেমে দাঁড়ালেন তিতার। তাঁর মনের মধ্যেও তখন শুরু হয়ে গেছে তোলপাড়। তাঁর বউ যা বলছে, সত্যিই যদি তাই হয়, তা হলে তো ভাববার বিষয়। কিন্তু এত সকালে জুরান যাবে কোথায়! দিনের বেলা হলে না-হয় একটা কথা ছিল। ভাবা যেত, তাঁদের না-বলেই ও কোনও বন্ধুবান্ধবের বাড়ি গেছে। কিন্তু এটা তো সে রকম কেস নয়। এত ভোরে পাওয়া যাচ্ছে না মানে তো… হয় ভোররাত থেকে উধাও কিংবা মাঝরাত থেকে। ও গেল কোথায়? ঘর থেকেই ‘জুরান, জুরান, অ্যাই জুরান’ ডাকতে ডাকতে ডায়নিং স্পেসে চলে এলেন তিতার। এ দিকে ও দিকে তাকালেন।
না। সে কোত্থাও নেই। তার পর ঢুকলেন জুরানের ঘরে। ও ঘরে ঢুকতেই এক ঝলক বাতাস যেন আছড়ে পড়ল তাঁর উপর। তিনি শিউরে উঠলেন। শ্বাস নিতে গিয়ে সেই বাতাসের মধ্যে কেমন একটা গন্ধ পেলেন তিনি। এই গন্ধটা তাঁর খুব চেনা। কিন্তু কীসের গন্ধ এটা! কীসের! কিছুতেই মনে করতে পারলেন না। তবে বুঝতে পারলেন, এই গন্ধের পিছনে নিশ্চয়ই কোনও একটা রহস্য আছে। মন বলছে, এই গন্ধের আড়ালেই লুকিয়ে আছে জুরানের হারিয়ে যাওয়ার সূত্র। কিন্তু সেই সূত্রটা কী!
তিনি যেটা আঁচ করছেন, সেটা কাউকে বললে তাঁর কথা কেউ বিশ্বাস করবে বলে মনে হয় না। হয়তো ভাববে, তাঁর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই, একটা বাচ্চা হারালে আর পাঁচটা বাবা-মা যা করেন, উনি ঠিক করলেন, তাই-ই করবেন।
চাবি নিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা খুলে একেবারে সোজা নেমে গেলেন নীচে। ওখানে রং দিয়ে লাইন টেনে টেনে সেই কবে কার-পার্কিংয়ের আটটা খোপ কাটা হয়েছিল। দাগগুলো এখনও স্পষ্ট। সেখানে ছ’টা ফ্ল্যাটের ছ’টা গাড়ি রাখা। কোনওটা মারুতি ভ্যান, তো কোনওটা টাটা সুমো। একটা ন্যানোও আছে সেখানে। এই কো-অপারেটিভের মাত্র দুটি ফ্ল্যাট হোল্ডারের গাড়ি নেই। তার মধ্যে তিতাররা একজন।
এই নীচের তলারই একদম শেষের দিকের এক কোণে কেয়ারটেকারের জন্য আলাদা একটা ঘর থাকলেও, ঘরটা তেমন প্রশস্ত নয় দেখেই বোধহয়, কেয়ারটেকার ছেলেটি সব সময় গেটের কাছাকাছি একটা খাটিয়া পেতে শুয়ে থাকে। ওঠে খুব ভোরে। কারণ, এই কো-অপারেটিভের অনেকেই মর্নিংওয়ার্কে যান। তাঁদের জন্য দরজা খুলে দিতে হয় তাকে। সেই যে খোলে, দুপুরে একবার কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে ঠিকই, তার পর রাত দশটা বাজলেই গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। তার পরে এই বাড়ির কেউ এসে বেল টিপলে দরজা খুলে দেয়। তবে যতক্ষণ দরজা খোলা থাকে, কেয়ারটেকার ছেলেটা পারতপক্ষে ভিতরে যায় না। ওই খাটিয়াতেই হয় শুয়ে থাকে, না-হলে বসে থাকে।
তিতার নীচে নেমে দেখলেন, কেয়ারটেকার ছেলেটা কানে এয়ারপ্লাগ গুঁজে খাটিয়ায় শুয়ে পায়ের উপরে পা তুলে চোখ বুজে মোবাইল থেকে একমনে গান শুনছে আর পা দোলাচ্ছে।
উনি গিয়ে বললেন, জুরানকে বেরোতে দেখেছ নাকি?
না। তিতারের কথায় নয়। তাঁর পায়ের শব্দেও নয়। ও বোধহয় অন্য কোনও ইন্দ্রীয় দিয়ে টের পেল কেউ একজন তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কে? সেটা দেখার জন্য ইচ্ছে না-করলেও কোনও রকমে একটু চোখ খুলল সে। আর তখনই খাটিয়ার সামনে তিতারকে হঠাৎ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে তড়িঘড়ি লাফিয়ে উঠল। কান থেকে ঝট করে এয়ারপ্লাগ খুলে বলল, অ্যাঁ?
তিতার বললেন, বলছি, জুরান কি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছে নাকি?
— উহুঁ, না তো।
— তুমি কি সারাক্ষণ এখানেই ছিলে?
ছেলেটি বলল, হ্যাঁ। দরজা খোলার পর থেকে তো আমি এখানেই আছি।
— একবারের জন্যও ভিতরে যাওনি?
— না।
কেয়ারটেকার ছেলেটার কথা শুনে তাঁর পিছু পিছু আসা বউয়ের মুখের দিকে তাকালেন তিতার।
থমথমে মুখ নিয়ে স্বামীর দিকে তাকিয়ে ইমলি জিজ্ঞেস করলেন, তা হলে কী হবে?
একটু বিরক্তি মেশানো গলায় তিতার বললেন, দাঁড়াও দেখছি। এত উতলা হলে হয়?
— এ কী বলছ? ঘর থেকে জলজ্যান্ত একটা ছেলে সক্কালবেলায় উধাও হয়ে গেল। কেউ বলতে পারছে না, সে কোথায় গেছে। যে গেছে সে আর কেউ নয়, আমার একমাত্র ছেলে। তার পরেও মা হয়ে আমি চুপচাপ বসে থাকব? উতলা হব না? তা হলে কখন হব? এটা কী বলছ তুমি?
গলা চড়ালেন তিতার, একটু চুপ করবে? আমাকে ভাবতে দাও।
— আর কতক্ষণ ভাববে? গালে হাত দিয়ে ভেবে কোনও লাভ নেই। আগে চলো, ওকে খুঁজি।
হতাশ গলায় তিতার বললেন, সে তো বুঝলাম, কিন্তু ওকে খুঁজব কোথায়?
— খুঁজব কোথায় মানে? বাচ্চা হারালে বাবা-মায়েরা তাদের কোথায় খোঁজে?
— কোথায়?
ইমলি বললেন, বাচ্চার বন্ধুবান্ধবের বাড়ি। কাছাকাছি মাসি-পিসির বাড়ি থাকলে সেখানে, অথবা সে যেখানে যেতে ভালবাসে, সে রকম কোনও জায়গায়।
মাথা দুলিয়ে তিতার বললেন, কিন্তু আমার ছেলে তো সে রকম নয়।
— সে তো জানি। তা হলে কী করবে?
— সেটাই তো ভাবছি, কী করব!
ইমলি বললেন, থানায় অন্তত একটা মিসিং ডায়েরি করতে হবে তো।
বউয়ের কথা শুনে অবাক হয়ে তিতার বললেন, থানায়!
— হ্যাঁ, থানায়। সেটাই তো নিয়ম। একটা ছেলে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে গেল। কোথায় গেল! কে তাকে নিয়ে গেল! কিছুই বুঝতে পারছি না। তার পরেও থানায় জানাব না?
— আরে বাবা, এটা থানা-পুলিশের ব্যাপার না।
— তা হলে কীসের ব্যাপার?
— এটা মনে হয়… বলেই, তিতার মাঝপথে থমকে যেতেই আরও উদ্বিগ্ন হয়ে উঠলেন ইমলি। বললেন, কী মনে হয় বলবে তো…
— না, মানে, ইয়ে, আসলে…
— আমতা আমতা করছ কেন?
— কই আমতা আমতা করছি? না। কিছু না।
— তার মানে তুমি সব জানো?
— আরে, না রে বাবা…
— না রে বাবা মানে? আমার কাছে তুমি নিশ্চয়ই কিছু লুকোচ্ছ…
— না না, তোমার কাছে আবার কী লুকোব?
— বললেই হবে? এই যে বললে…
— কী বললাম?
ইমলি বললেন, এই তো এক্ষুনি কী একটা বলতে যাচ্ছিলে…
— না না। কিচ্ছু বলতে যাচ্ছিলাম না। বলছিলাম, আমার মনে হয়…
— আমি তো সেটাই বলছি। যেটা মনে হয়, সেটাই বলো।
খানিকক্ষণ চুপ করে থেকে, দু’-চার বার ঢোঁক গিলে, গলার স্বর নামিয়ে তিতার বললেন, কিন্তু সেটা কি তুমি বিশ্বাস করবে?
— কেন করব না? বলোই না…
ইতস্তত করতে করতে, কী বলবেন, আকাশ-পাতাল অনেক কিছু ভেবে, শেষ পর্যন্ত তিতার বললেন, আমার মনে হয়, কেউ ওকে তুলে নিয়ে গেছে।
কথাটা শুনে চমকে উঠলেন ইমলি। চোখ বড় বড় হয়ে গেল তাঁর। তুলে নিয়ে গেছে! কে?
— যে আমাকে একবার নিয়ে গিয়েছিল।
— তোমাকে! কে?
— তা তো জানি না।
— তা তো জানি না মানে? কী আজেবাজে কথা বলছ। আমার মাথা খারাপ করে দিয়ো না তো… যা হোক একটা কিছু করো।
— কী করব?
ইমলি বললেন, কী করা উচিত, নিজে বুঝতে না-পারলে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলো। আলোচনা করো। নিশ্চয়ই একটা পথ বেরোবে। আমি তো আমার ছেলেকে এ ভাবে হারিয়ে যেতে দিতে পারি না। বলতে বলতে ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলেন তিনি।
— কিন্তু কার সঙ্গে আলোচনা করব!
কান্না মেশানো গলাতেই ইমলি বললেন, সেটাও কি আমাকে বলে দিতে হবে? সত্যি, তোমাকে দিয়ে না কিস্যু হবে না। ধ্যাত্‌, তোমার দ্বারায় যখন হবে না, দেখি, আমি কী করতে পারি। বলেই, বড় বড় পা ফেলে হাঁটা দিলেন তিনি।
পিছন থেকে ‘শোনো, শোনো, কী হলো? কোথায় যাচ্ছে? শুনবে তো…’ তিতার যতই ডাকতে লাগলেন, ইমলি যেন ততই পা চালাতে লাগলেন দ্রুত। নিমেষের মধ্যে গেট থেকে বেরিয়ে গেলেন। স্বামীর কথায় একবারের জন্যও কর্ণপাত করলেন না।
তিতারের পা দুটো কেমন যেন অবশ হয়ে গেল। আর দাঁড়িয়ে থাকতে পারলেন না। ধপাস করে কেয়ারটেকারের খাটিয়ার উপরে বসে পড়লেন তিনি। কার সঙ্গে আলোচনা করা যায়! কার সঙ্গে! তখনই তাঁর মনে হল, তিনি যা সন্দেহ করছেন, সেটা যদি সত্যিই হয়, তা হলে অন্য কেউ নয়, তাঁর এখন একজনের সঙ্গেই সবার আগে কথা বলা উচিত। আর তিনি হলেন— তিনি নিজেই।

চলবে…

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
২০২০ সালে 'সাহিত্য সম্রাট' উপাধিতে সম্মানিত এবং ২০১২ সালে 'বঙ্গ শিরোমণি' সম্মানে ভূষিত সিদ্ধার্থ সিংহের জন্ম কলকাতায়। আনন্দবাজার পত্রিকার পশ্চিমবঙ্গ শিশু সাহিত্য সংসদ পুরস্কার, স্বর্ণকলম পুরস্কার, সময়ের শব্দ আন্তরিক কলম, শান্তিরত্ন পুরস্কার, কবি সুধীন্দ্রনাথ দত্ত পুরস্কার, কাঞ্চন সাহিত্য পুরস্কার, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা লোক সাহিত্য পুরস্কার, প্রসাদ পুরস্কার, সামসুল হক পুরস্কার, সুচিত্রা ভট্টাচার্য স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার, অণু সাহিত্য পুরস্কার, কাস্তেকবি দিনেশ দাস স্মৃতি পুরস্কার, শিলালিপি সাহিত্য পুরস্কার, চেখ সাহিত্য পুরস্কার, মায়া সেন স্মৃতি সাহিত্য পুরস্কার ছাড়াও ছোট-বড় অজস্র পুরস্কার ও সম্মাননা। পেয়েছেন ১৪০৬ সালের 'শ্রেষ্ঠ কবি' এবং ১৪১৮ সালের 'শ্রেষ্ঠ গল্পকার'-এর শিরোপা সহ অসংখ্য পুরস্কার। এছাড়াও আনন্দ পাবলিশার্স থেকে প্রকাশিত তাঁর 'পঞ্চাশটি গল্প' গ্রন্থটির জন্য তাঁর নাম সম্প্রতি 'সৃজনী ভারত সাহিত্য পুরস্কার' প্রাপক হিসেবে ঘোষিত হয়েছে।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!