কবিগুরু স্মরণে:
মন কেমনের বাইশে শ্রাবণ

অবশেষ দাস
অবশেষ দাস
1 মিনিটে পড়ুন

গঙ্গা-জলে গঙ্গা পূজা, কার যেন পাই সাড়া
শ্রাবণ এলে হৃদয় যেন মন কেমনের পাড়া।

মন কেমনের শ্রাবণ মাসে, শান্তিনিকেতনে
বনের পাখি রোদের খোঁজে ছাতিম ফুলের বনে।

তোমার ছবির সামনে দাঁড়াই গভীর অনুরাগে
শ্রাবণ মাসে রবীন্দ্রনাথ বিবেক হয়ে জাগে।

শ্যামলা গাঁয়ের একটি মেয়ে নূপুর পরা পায়ে
মেঘ-বাদলের পদ্য লেখে বৃষ্টি ভেজা গায়ে।

হয়তো কোনো বাপ-মা হারা একটি রোগা ছেলে
সোনার কাঠি খুঁজে পেত রবীন্দ্রনাথ পেলে।

এসব যেন শ্রাবণ মাসের মনের কথা হয়ে
ঘর ও বাহির শোক লিখেছে অনন্ত বিস্ময়ে

কাজলা চোখে জল এসে যায় মন রাঙা কুমকুমে
শ্রাবণ যেন দৌড়ে বেড়ায় উত্তরে-পশ্চিমে

ফুল যেন আজ নিজেই ঝরে ইচ্ছে গাঁথে মালা
রবিঠাকুর সুখ অসুখে মেঘ-বাদলের পালা।

আজ শ্রাবণের বাইশ তারিখ শোক বিরহে চিনি
নিজের হাতে সলতে পাকাই সবার ঠাকুর তিনি।

শ্রাবণ মেঘে ভাসতে থাকে আপনজনের ছবি
তিনি আজও সবার কাছে মূর্ত বিশ্বকবি।

জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি বাংলার ঘরে ঘরে
আজ তো সবাই তাঁর দু’চোখে পঞ্চপ্রদীপ ধরে।

আজ বাইশে শ্রাবণ দিনে মন কেমনেই থাকি
ভক্তি শ্রদ্ধা হৃদয়-বীণা তাঁর দু’পায়ে রাখি।

জীবন নদীর বনস্পতি সবার কাছাকাছি
তাঁর জন্যে দুঃখ ভুলে নতুন করে বাঁচি ।

মন কেমনের শ্রাবণ কাঁদে মেঘলা আকাশ ডাকে
হৃদয় বলে, আমার কাছে রবীন্দ্রনাথ থাকে।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
জন্ম: দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা। বাবা গৌরবরণ দাস এবং মা নমিতা দেবী। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের পাশাপাশি তুলনামূলক ভারতীয় ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা। দুটোতেই স্নাতকোত্তর ডিগ্রি। এছাড়া মাসকমিউনিকেশন নিয়েও পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বিদ্যানগর কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অধ্যাপক। প্রথম লেখা প্রকাশ 'দীপশিখা' পত্রিকার শারদ সংখ্যায়। তাঁর কয়েকটি কবিতার বই: মাটির ঘরের গল্প ( ২০০৪), কিশোরবেলা সোনার খাঁচায় (২০১৪), হাওয়ার নূপুর (২০২০) সহ অজস্র সংকলন ও সম্পাদিত গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ার আগেই তিনি একজন প্রতিশ্রুতিমান কবি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন। কবিতা চর্চার পাশাপাশি প্রবন্ধ ও কথাসাহিত্যের চর্চা সমানভাবে করে চলেছেন। কবি দুই দশকের বেশি কাল ধরে লেখালেখি করছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সংকলনে। বেশকিছুদিন সম্পাদনা করেছেন ছোটদের 'একতারা' সাহিত্য পত্রিকা। এছাড়া আমন্ত্রণমূলক সম্পাদনা করেছেন বহু পত্র-পত্রিকায়। তিনি গড়ে তুলেছেন শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক দুটি অন্যধারার প্রতিষ্ঠান 'বাংলার মুখ' ও মেনকাবালা দেবী স্মৃতি সংস্কৃতি আকাদেমি।' তাঁর গবেষণার বিষয় 'সুন্দরবনের জনজীবন ও বাংলা কথাসাহিত্য।' পাশাপাশি দলিত সমাজ ও সাহিত্যের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগী। ফুলের সৌরভ নয়, জীবনের সৌরভ খুঁজে যাওয়া কবির সারা জীবনের সাধনা। সবুজ গাছপালাকে তিনি সন্তানের মতো ভালবাসেন। সুন্দরবন তাঁর কাছে আরাধ্য দেবী। সাহিত্য সাধনার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি পেয়েছেন অজস্র পুরস্কার ও সম্মান: সুধারানী রায় স্মৃতি পুরস্কার (২০০৪), বাসুদেব সরকার স্মৃতি পদক (২০০৬), রোটারি লিটারেচার অ্যাওয়ার্ড (২০০৬), ১০০ ডায়মণ্ড গণসংবর্ধনা (২০০৮), পাঞ্চজন্য সাহিত্য পুরস্কার (২০১০), শতবার্ষিকী সাহিত্য সম্মাননা (২০১১), এশিয়ান কালচারাল লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড (২০১৪), ডঃ রাধাকৃষ্ণন সম্মাননা (২০১৫), ডি.পি.এস.সি. সাহিত্য সম্মাননা (২০১৮), আত্মজন সম্মাননা (২০১৯), বিবেকানন্দ পুরস্কার (২০১৯), দীপালিকা সম্মাননা (২০১৯), সংহতি সম্মাননা (২০২০), সুকুমার রায় পুরস্কার (২০২০)।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!