শেষ হয়নি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার: দরকার তদন্ত কমিশন গঠন

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হওয়ার পেছনের শক্তি বা পক্ষ খোঁজার জন্য উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডের বিচার সুসম্পন্ন করতে আরও গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

কারণ, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িতরা কেবল দণ্ডের বা শাস্তির আওতায় এসেছে। কিন্তু অনেক প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।

শোকের মাস আগস্টের প্রথম দিনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের আদ্যোপান্ত নিয়ে কথা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কন্নোয়ন বিভাগের শিক্ষাবিদদের সঙ্গে।

তারা বলেন, যে বিচার হয়েছে তাতে শুধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি যারা জড়িত কেবল তারাই বিচার ও শাস্তির আওতায় এসেছে। অপরপক্ষগুলো বেঁচে গেছে বিচারের আওতা থেকে। তাই এই বিচারকে সুসম্পন্ন বিচার বলা যাবে না।

গত বছর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, এ বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হলেও গত এক বছরে এখনও তদন্ত কমিশন গঠিত হয়নি।

বিচার সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হেসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। কারণ, ষড়যন্ত্রকারী দেশে ও বিদেশে যারা ছিল সে তথ্য আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের অধিকার আছে জানার।

আমি বহুদিন থেকে দুটো দাবি জানিয়ে আসছি, একটি হলো—পূর্ণাঙ্গ তদন্ত কমিশন গঠন করা হোক। সেই তদন্ত কমিশন এখনও হয়নি। দ্বিতীয়টি হলো—শ্বেতপত্র প্রকাশ করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের আমাদের চিনিয়ে দেওয়ার দরকার। সেই কাজটিও আমাদের হয়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকাণ্ড কেন ঘটেছিল, কীভাবে প্রেক্ষাপট তৈরি করা হয়, অন্তরালে আরও কারা জড়িত ছিল, তা খুঁজে বের করতে গবেষণা দরকার।’

তিনি বলেন, ‘কারণ, বিচারের ক্ষেত্রে আপাতত যেটা হয়েছে সেটা হলো সামরিক বাহিনীর যে কয়জন সদস্য সরাসরি জড়িত ছিল তারাই কেবল বিচারের আওতায় এসেছে, সাজা পেয়েছে। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে এ ধরনের ঘটনা শুধু কয়েকজন সামরিক বাহিনীর সদস্য করেছে এটা বলা বা চিন্তা করাটা খুব ডিফিকাল্ট।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। হত্যাকারীদের কারো কারো শাস্তি হয়েছে। কেউ কেউ পালিয়ে আছে। এই যে একটা পরিস্থিতি এতে সন্তুষ্টির কিছু নেই। জাতি হিসেবে এটা হলো আমাদের দায়িত্ব পালন।’

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতির জনক। তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ড সাধারণ হত্যাকাণ্ড নয়। সপরিবারে একজন জাতির জনককে হত্যা করা হয়েছে। যিনি সেই সময় সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান। অতএব এখানে বিচার হওয়াটা, শাস্তি হওয়াটা সাংবিধানিক বিধান। এই দায়িত্ব আমরা বহুদিন পালন করতে পারিনি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!