নাটোরের ট্রান্সজেন্ডার ববিতা মামুর আত্মহত্যা: কবরস্থানে লাশ দাফনে বাধা

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
3 মিনিটে পড়ুন

নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলায় ববিতা মামু নামে পরিচিত এক ট্রান্সজেন্ডার ছেলের মরদেহ স্থানীয় কবরস্থান কমিটির বাধার কারণে সেখানে দাফন করা সম্ভব হয়নি। তার অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রায় ৪১ ঘণ্টা পর পুলিশের সহায়তায় গত বৃহস্পতিবার বাদ আসর উপজেলার সরকারি কবরস্থানে মরদেহ দাফন করে উপজেলা ছাত্রলীগ।

স্থানীয় লোকজন ও থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আত্রাই রেলওয়ে কলোনিতে প্রায় ১৬ বছর ধরে বসবাস নাটোর জেলার নলডাঙ্গা উপজেলার খাজুরা গ্রামের মৃত আকালার আলীর ছেলে ট্রান্সজেন্ডার ববিতার। সবাই তাকে ববিতা মামু বলেই ডাকত।

গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিজ ঘরে বিষপানে আত্মহত্যা করেন ৪০ বছর বয়সী ববিতা মামু। সেই ঘরে তিনি একাই থাকতেন। বুধবার সকালে খবর পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে আত্রাই থানা-পুলিশ।

ময়নাতদন্তের পর মরদেহ দাফন নিয়ে বিপাকে পড়ে পুলিশ। রেল কলোনি সংলগ্ন ভরতেঁতুলিয়া কবরস্থান কমিটি জানিয়ে দেয় তাকে সেখানে দাফন করতে দেয়া হবে না। নাটোরের স্বজনরাও মরদেহ নিতে রাজি হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন আত্রাই উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মাহদী মসনদ স্বরূপ।

মাহদী মসনদ স্বরূপ জানান, ‘স্থানীয় সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল ভাইয়ের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে কর্মহীন মানুষদের মাঝে খাবার বিতরণ করছিলাম রেলওয়ে এলাকায়। সেসময় ববিতাও ছিল। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। আত্মহত্যার খবর শুনে তার বাড়ি ছুটে যাই।

পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করে মরদেহ নিয়ে বিপাকে পড়ে যায়। স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করতে দেয়া হবে না। পরিবারও মরদেহ গ্রহণ করবে না। এমপি মহোদয় যেভাবেই হোক মরদেহটি দাফনের ব্যবস্থা করতে বলেন। অনেক চেষ্টা করে বৃহস্পতিবার বাদ আসর সরকারি কবরস্থানে দাফন করতে পেরেছি।’

তিনি অরো বলেন, ‘ববিতা আওয়ামী লীগের কর্মী ছিল। সব আয়োজনে উপস্থিত থাকত। হয়তো তার সঙ্গে কোনো অন্যায় হয়েছে। যে কারণে নিজের জীবনকে এভাবে শেষ করে দিল। পুলিশের কাছে অনুরোধ, ববিতা কেন আত্মহত্যা করল তার কারণ যেন খুঁজে বের করা হয়।’

ববিতার মরদেহ দাফনে বাধা দেয়ার কারণ জানতে ভরতেঁতুলিয়া কবরস্থান কমিটির সদস্য আবুল হাশেমকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরনেনি।

আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ববিতার বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ জীবিত নেই। তার আত্মীয়-স্বজনও লাশ নিতে রাজি নয়। উপজেলা ছাত্রলীগ দায়িত্ব নিয়ে সরকারি কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করে।

পুলিশ তাদের সহায়তা করেছে যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে।’ এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!