আলো অন্ধকারে যাই (পর্ব ৭)

গৌতম রায়
গৌতম রায়
9 মিনিটে পড়ুন
বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

পঞ্চম-ষষ্ঠ-সপ্তম শ্রেণীতে পড়ার সময়ে আমার মতো আরো অনেক শিক্ষার্থীর কাছে বড় আকর্ষণের বিষয় ছিল বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ের নিয়মিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও বার্ষিক সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। কয়েকটা দিন একটি উৎসবের আবহে কেটে যেতো।
সেই সময়ে মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা মানেই আকবর স্যার, বারী স্যার, বজলু স্যার, শান্তি স্যারের ব্যস্ততা। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা মানেই প্রয়াত সুধীর স্যার, বিষ্ণু স্যার, শান্তি স্যার, সামাদ স্যারের ব্যস্ততা কিন্তু নজরুল প্রতিভা পুস্তকের লেখক নজরুল ভক্ত সুধীর ভট্টাচার্য স্যারের গুরুত্বটা বেশি। অকৃতদার, রাশভারী সুধীর স্যার মাগুরা শহরের উজ্জ্বল নক্ষত্র হলেও কেনো যেন বিদ্যালয়ে তাঁকে একটু ব্রাত্যই মনে হতো।
সুধীর স্যার মানুষটি অন্যান্য স্যারদের থেকে একটু ভিন্ন ছিলেন। ধুতি-পাঞ্জাবি পরিহিত স্যার একটি হাম্বার সাইকেল ব্যবহার করতেন। বিদ্যালয়ে বা অনত্র কবিতা প্রতিযোগিতা থাকলে ছোটরা দল বেঁধে স্যারের কাছে কবিতা আবৃত্তি শিখতে যেতাম। অনেকে মাগুরা একাডেমি স্কুলের প্রধান শিক্ষক খান জিয়াউল হক (কাঠু স্যার) এর কাছেও যেত। কাঠু স্যার ভালো আবৃত্তি করতেন। তাঁর দুই সন্তান খান রবিউল হক (মিঠু) ও খান রফিকুল হক (টিটু)ও সেসময় একাডেমি স্কুল থেকে বিভিন্ন আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিত। আমাদের থেকে যারা একটু বড় ক্লাসের শিক্ষার্থী ছিলেন তাঁরা মাগুরার কৃতি সন্তান ফুটবলার সৈয়দ নাজমুল হাসান (লোভন ভাই) এর কাছে তালিম নিতো কেউ কেউ। আমিও একবার লোভন ভাই এর কাছে গিয়েছিলাম বোধ হয় নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে। সুধীর স্যার ঘাড় নিচু করে কবিতা শুনতেন আর কোথায় কী করতে হবে, স্বরাঘাত কোথায় হবে, কোন জায়গাটা একটু টেনে দিতে হবে, কোথায় সময় নিতে হবে বলে দিতেন। সবকিছু ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত পারফেকশনিস্ট স্যারের শুধরে দেয়া আর ’মাইনকে’ বলে বকাঝকা চলতেই থাকতো।

7 2 আলো অন্ধকারে যাই (পর্ব ৭)
বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

একবার সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় রবীন্দ্র সংগীত নির্ধারিত ছিল – ‘আমার সকল দুঃখের প্রদীপ জ্বেলে দিবস জ্বেলে করবো নিবেদন …’। সুধীর স্যার যথারীতি ঘাড় নিচু করে তবলা সঙ্গত করছেন। মাঝে মাঝে স্যারের চোখ থেকে অশ্রুবিন্দু গড়িয়ে পড়ছে; আমরা বিষন্ন। গানটির হিট শেষে যখন গ্ৰুমিং পর্ব চলছিলো, তখন কোন একটি জায়গায় কেউই ঠিক মতো গাইতে পারছিল না, স্যার বারবার দেখিয়ে দেবার পরেও না। এক পর্যায়ে স্যারের থেকে তরুণ কিন্তু প্রভাবশালী কোনো অসংস্কৃত শিক্ষক এরকম একটি কঠিন গান কেন দেয়া হয়েছে এই মন্তব্য করার জন্যে স্যার অনুশীলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে যান এই প্রশ্ন করে – তাহলে তাঁকে দায়িত্ব দেবার দরকার কী ছিল! এরকম প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন সুধীর স্যার। পরে অন্যান্য সকল শিক্ষক অনেক অনুনয়-বিনয় করে স্যারকে ফেরাতে পেরেছিলেন। স্যারের চাল-চলন, সাইকেল, পোশাক সব কিছুতে একটা আভিজাত্যের ছাপ ছিল। খুব কম কথা বলতেন। শেষ জীবনটা কেটেছে অনেক অবহেলায় ও কষ্টে কিন্তু সেটি এখানে আলোচনা না করি।
পঞ্চম শ্রেণীতেই আমাদের একজন সহপাঠী ছিল নিখিল শীল। বয়সে অমাদের থেকে বেশ খানিকটা বড় নিখিল ভাল গান গাইতো। ক্লাসে একবার একটি হিন্দি গান গেয়ে সকলকে তাক লাগিয়ে দেয় সে। হিন্দী সংগীতের দুই দিকপাল শামসাদ বেগম ও তালাত মাহমুদের ’মিলতে হি আঁখি দিল হুয়া…’ তার গলায় শুনে সবার সাথে আমিও খুবই চমৎকৃত হলাম। নিখিলের কাছ থেকে আমি ও বন্ধু মনিরুজ্জামান গানটির লিরিক কপি করে নিয়ে গুণগুণ শুরু করি নিখিলেরই নির্দেশনায়। সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুরুর আগে ক্লাস থেকে যখন নাম সংগ্রহ করা হলো তখন পরেশ স্যার আমার আর মনিরুজ্জামানের নাম অনেকটা জোর করেই দিয়ে দেন। নিখিলের নাম সে নিজেই দিয়েছিল। হিট হলে নিখিল বাদ পড়ে খুব মন খারাপ করে। শত হলেও সে আমাদের সংগীত গুরু। পরেশ স্যার আলাদাভাবে আমাকে ও মনিরুজ্জামানকে শুনে এক বিচিত্র পরিকল্পনা করলেন – আমরা দুজনে একত্রে গানটা গাইবো তবে আমি গাইবো সামসাদ বেগমের অংশটুকু আর মনির গাইবে তালাত মাহমুদের অংশটকু। স্যারের বিবেচনায় আমাদের গলায় নাকি সুর ছিল; বরং নিখিলের গলাটা একটু খরখরে। তাছাড়া গানটি ডুয়েট গান তাই একটা ছেলে ও মেয়ের মতো গলা হলে ভালো লাগবে শুনতে। সেই শিশুকালে আমার গলাটা নিশ্চয়ই মেয়েদের মত ছিল সেজন্যে আমার জন্য মেয়ের অংশটুকু। আমার থেকে মোটা গলা ছিল মনিরের। অতএব সে তালাত মাহমুদ।
আমাদেরকে নিয়ে নিরন্তর প্রচেষ্টা চললো পরেশ স্যারের বাসায়। সুধীর স্যার ফিনিশিং দিলেন। দুই একবার নয়, রীতিমতো দশ-বিশবার ’এই মাইনকে ঠিক করে কর’ – এসব শুনতে শুনতে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার দিন চলে আসে। ছোটদের সংগীত পর্যায়ে শেষ আকর্ষণ আমি ও মনিরুজ্জামান। আমরা গেয়ে ফেললাম। অনেক করতালি। প্রাইজও পেলাম। কী পেলাম তা এখন মনে নেই তবে এটি মনে আছে এই এক গান গেয়ে আমি ছোটোখাটো তারকা বনে যাই। মাগুরার দু-একটি প্রোগ্র্রামে আমাকে এই গান গাইতে হয়। কিন্তু মুশকিল হল, এক গান আর কত জায়গায় গাওয়া যায়! কিছুদিন পর ঢাকা থেকে এক বড় ভাই এসে ধরে ফেলেন যে আমার লিরিকে ভুল আছে। তিনি আমাকে মৃদু ভর্ৎসনাও করেন। আমার তারকা খ্যাতি শুষ্ক হওয়া শুরু করে।
এক বছর পরে ষষ্ঠ শ্রেণীতে উঠলে এবার পরেশ স্যার ঠিক করেন আমাকে আর মনিরুজ্জামানকে দিয়ে উনি ’অশ্রু দিয়ে লেখা এ গান…’ এই গানটি গাওয়াবেন। তবে এবার এই গানটা আমরা দুজন একসাথে গাইব। তালিম চলল জোর কদমে। পরে কী একটা কারণে যেন অনুষ্ঠান বাতিল হয়। এটি আমার জন্যে অনেক বড় যন্ত্রণামুক্তি ছিল এজন্যে যে আমার গাওয়া দু’টি গানই মেয়েদের। এজন্যে সহপাঠীদের কাছে বারবার আমাকে ’মেয়েলি’ অপবাদ শুনতে হচ্ছিল যা আমার কৌরুষে লাগছিল। তখন আমরা কিশোর, তাই পৌরুষ শব্দটি ব্যবহার করলাম না।
পরেশ স্যার মানুষটি খুব ভালো ছিলেন। চমৎকার প্রমিত বাংলায় কথা বলতেন। খুবই সংস্কৃতিমনা ছিলেন ভদ্রলোক। মাগুরার বাইরে থেকে এসেছিলেন বদলী হয়ে। খুব বেশি দিন ছিলেনও না তবে যতদিন ছিলেন, ছাব্বিশে মার্চে ও ষোলই ডিসেম্বর মাগুরায় যে প্যারেড হতো, তাতে অবধারিতভাবে তিনি ঘোষক/সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করতেন। খুব ভরাট গলায় স্বচ্ছন্দ উপস্থাপনা করতেন স্যার। তাঁর রসবোধও ছিলো চমৎকার। সম্ভবত ষষ্ঠ শ্রেণীতে তিনি আমাদের গণিত পড়াতেন। স্যার কখনো শিক্ষার্থীদের মারতেন না; শিক্ষার্থী-বান্ধব ছিলেন অনেকটা।
সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাগুলি আমাদের খুব মজা দিতো। এই ক’দিন অর্ধবেলা শিখন কার্যক্রম চলতো আর অর্ধ বেলা হিট অথবা গ্ৰুমিং। যুক্তিগ্রাহ্যভাবেই বলা যায় তাতে আমাদের জীবন বরবাদ হয়ে যায়নি। একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রম শিক্ষার্থীদেরকে অনেক উজ্জিবীত করতো। প্রতিযোগিতার হিট হতো, বাছায় হতো, তারপর চলতো গ্ৰুমিং। এর মাধ্যমে বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষার্থীদের মাঝে সাংস্কৃতিক-সচেতনতা তৈরী হবার পাশাপাশি তারা বেশ কয়েকটি জীবন দক্ষতা অর্জন করতে পারত, যেমন উপস্থাপন দক্ষতা, সৃজনশীলতা, ভাষা দক্ষতা, সংগীত দক্ষতা, অন্ত ও আন্তব্যাক্তিক দক্ষতা, সুস্থ প্রতিযোগিতা – যা এখন শিক্ষক-প্রশিক্ষণ দিয়েও কাঙ্খিত মাত্রায় অর্জন করা দূরুহ হয়ে উঠেছে।
এক শ্রেণী উপরের রুহুল ভাইয়ের রেডিও বাংলাদেশ-এর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন নিয়ে বানানো প্যারোডি/কৌতুক; গৌর দা ও লাবলু দা’র অনুকৃতি; তোজো ভাই এর আবৃত্তি; বাবলা ভাই, লালা ভাই, বাচ্চু ভাই এর উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, বিতর্ক; শফিক ভাই এর আধুনিক গান; রুহুল ভাই এর জারি গান শোনার জন্যে আমরা ব্যাকুল থাকতাম। রুহুল ভাই খুব ভালো কোরান তেলোয়াতও করতেন। হামদ ও না’ত আইটেমেও সে ছিল অনেকটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। শফিক ভাই এর গলা ছিল অসাধারণভাবে রোমান্টিক। এই মানুষটি মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক ও নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রী নেন। পরবর্তীতে এলএলবি পাশ করে এখন তিনি আইন পেশায় যুক্ত কিন্তু সংগীত-সাধনা চালিয়ে গেলেও তিনি নিজে খুব ভালো শিল্পী হতে পারতেন এটি আমি বিশ্বাস করি।
এই সময়ে সামগ্রিকভাবে মাগুরা শহরের সাংস্কৃতিক পরিমন্ডল খুব ঋদ্ধ ছিল। ডাকঘরের মাঠে বা মধুমতি প্রেক্ষাগৃহের প্রসেনিয়াম মঞ্চে তখন অনেক মননশীলতার সাথে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী, বাংলা নববর্ষ, ছাব্বিশে মার্চ, ষোলোই ডিসেম্বর, একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান হতো। এসকল অনুষ্ঠানে সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক ভোলা স্যার ও রঘু দা, এডভোকেট সমরেশ রায় চোধুরী (মদন বাবু), হাবিব ভাই, জাফর কাকা, বুলু কাকা, কাঠু স্যার, সুধীর স্যারের অংশগ্রহণ, ব্যবস্থাপনা, কর্ম চাঞ্চল্য আজও আমাকে অবাক করে। এ্যাডভোকেট দীপক রায় চৌধুরী ও বাবু পরিতোষ দেবনাথ (ম্যানেজার, মধুমতি সিনেমা হল)-ও আয়োজক হিসেবে যথেষ্ট ভুমিকা রাখতেন। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে গানের চর্চা তো ছিলই; ছিলো পারিবারিক অনুষ্ঠানে গানের আয়োজন। গান-বাজনা, নৃত্য, যাত্রা বা নাটকের চর্চা তখনও এখনকার মতো ’না-জায়েজ’ হয়নি।
উপরের আলোচনা থেকে আরেকটি বিষয় পরিষ্কারভাবে উঠে আসে – Education is a social construct. সেই সময় চারপাশের সাংস্কৃতিক আবহ সমৃদ্ধ ছিল বলেই বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক আবহও সমৃদ্ধ ছিল। এবং এটি আমি নিশ্চিত, সমাজ ও বিদ্যালয়ের এই যৌথ সাংস্কৃতিক আবহ সে সময় আমাদেরকে অনেক বেশি সংস্কৃতিমনা করেছে, আমাদের প্রজন্মের ব্যক্তিত্ব নির্মাণে যা অবদান রেখেছে। সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে আমার অংশগ্রহণ বা হাঁটিহাঁটি পথ চলা এখান থেকেই শুরু।
(চলবে)

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
লেখক: গৌতম রায়
গৌতম রায় ইংরেজির অধ্যাপক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেবার পর বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বেশ তরুণ বয়সেই শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেন। পড়িয়েছেন দেশে ও দেশের বাইরে বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিক্ষার প্রতি ভালোবাসা থেকেই পরবর্তীতে ছাত্র হয়েছেন ইংল্যান্ডের এক্সিটার ইউনিভার্সিটির।‌ যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া ইউনিভার্সিটি ও ওয়ার্ল্ড লার্নিং থেকে নিয়েছেন পেশাগত প্রশিক্ষণ। এখন কারিকুলাম বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছেন বাংলাদেশের জাতীয় ‌শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে। শিক্ষা বিষয়ক বর্ণিল কাজে নিজেকে ‌সম্পৃক্ত রাখার জন্যই বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যাবস্থাকে তিনি দেখেছেন খুব কাছে থেকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে গৌতম রায়ের পছন্দের আঙ্গিনা শিক্ষকের অনিঃশেষ পেশাগত দক্ষতা, ইন্টারেক্টিভ মেটিরিয়ালস ডিভ্যালপমেন্ট, ও লার্নিং এসেসমেন্ট।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!