বরিশালে ধর্ষণের অভিযোগ প্রত্যাহারে কলেজ ছাত্রীকে হুমকি

বরিশাল প্রতিনিধি
বরিশাল প্রতিনিধি
2 মিনিটে পড়ুন
প্রতীকী ছবি

বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলায় আশোকাঠী গ্রামে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর আদায় করে নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর হাতে জোরপূর্বক টাকা দিয়ে ছবি তুলে এ ব্যাপারে থানায় দায়ের করা অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

গৌরনদী থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, বুধবার সকালে নির্যাতিতার লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে।

মামলার বিবরনে জানা গেছে বুধবার সকালে একই উপজেলার বাসিন্দা নার্সিং পড়ুয়া নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রী অভিযোগ করেন, আশোকাঠী হাসপাতালের সামনের একটি ফার্মেসীতে ওষুধ ক্রয় করতে গিয়ে তার সাথে পরিচয় হয় আশোকাঠী গ্রামের হাসান সরদারের পুত্র ফার্মেসী মালিক কাওসার হোসেনের।

পরবর্তীতে ফার্মেসী মালিক কাওসার তাকে (ভুক্তভোগী ছাত্রী) প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্নস্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে।

কিছুদিন পর সে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে কাওসার নানা তালবাহানা শুরু করে।

নির্যাতিতা ছাত্রী আরও জানান, গত ২৭ জুন তাকে আশোকাঠী হাসপাতালে ডেকে নেয় কাওসার।
পরবর্তীতে কাওসারের কতিপয় সহযোগী ভয়ভীতি দেখিয়ে তিনটি সাদা ষ্ট্যাম্পে তার (ছাত্রীর) স্বাক্ষর আদায় করে।

পরবর্তীতে তার হাতে জোরপূর্বক ১৫ হাজার টাকা দিয়ে ছবি তুলে পুনরায় টাকা রেখে দেয়।

এ ঘটনায় নির্যাতিতা বাদি হয়ে গৌরনদী থানায় মামলা দায়েরের জন্য লিখিত অভিযোগ দেয়ার পর ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক কাওসারের সহযোগিরা অভিযোগ প্রত্যাহার করা না-হলে তার আপত্তিকর ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে ভিক্টিম জানিয়েছেন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!