কুড়ি টাকা কেজি দরে পুঁইশাকের আটি কিনে এনেছে,সাথে ত্রিশ টাকার কুঁচো চিংড়ি আর মিষ্টি কুমড়ার ফালি একখানা পঁচিশ টাকায়।
বাজারের থলেটা রাখতে রাখতে সোহাগ হিসেবটা দেয়।
এই হিসেবের মানে জানে তৃনা।
তাকে রান্না করতে হবে এই হিসেব মাথায় রেখে।
আবার রান্নার স্বাদও হবে এই হিসেব মাথায় রেখেই।
একটু উনিশ-বিশ হলে এই পচাত্তর টাকার সাথে মসলা, জল, গ্যাস সব যোগ হবে।
আর যোগফল গিয়ে উশুল হবে তৃনার শরীরে।
এমনটাই চলে আসছে গত পাঁচ বছর ধরে।
তৃনা তবুও এখানেই রয়ে গেছে।
তৃনারা এভাবেই রয়ে যায়।
শুধু যাওয়ার জায়গা নেই বলে নয়, তৃনাদের জন্মের পর থেকেই শেখানো হয়, এভাবে থাকাটাই নিয়ম।
সে নিয়ম ভাঙাটাই অপরাধ।
অনুগল্প: অন্ধকারের আলো
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
কবি ও লেখক
একটি মন্তব্য করুন
একটি মন্তব্য করুন