সন্তান

অতিথি লেখক
অতিথি লেখক
11 মিনিটে পড়ুন

চপল বাশার:

এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েও শাহেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারলো না। বাবা চেয়েছিলেন শাহেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও একটা ভালো বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করুক, মাষ্টার্স করুক। কিন্তু তা আর হলো না। অতএব সিদ্ধান্ত নিলেন শাহেদকে ভালো কোনও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবেন। বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী শাহেদ ভর্তি হয়ে গেলো নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। সেখানে বিবিএ পড়বে।
শাহেদের বাবা আবুল হোসেন সরকারের উপ-সচিব ছিলেন। সম্প্রতি এলপিআর-এ গেছেন, আর ছ’মাস পরেই পুরোপুরি অবসরে যাবেন। শাহেদের মা সালমা ভাবছিলেন ছেলের লেখাপড়ার এতো খরচ ওর বাবা দেবেন কী করে? নর্থ সাউথে খরচ অনেক বেশি।
‘তুমি এতো চিন্তা করো না তো। টাকার জোগাড় হয়ে যাবে। এতো বছর চাকরি করে কিছু টাকা তো জমেছে। তাছাড়া বড় ছেলে জাহেদ বিদেশে চাকরি করছে, টাকা পাঠাচ্ছে। টাকার জন্য আটকাবে না,’ স্ত্রীকে আশ্বস্থ করলেন আবুল হোসেন।
‘চিন্তা করবো না কেন? তোমার জমানো টাকা আছে ঠিকই, পেনশনও পাবে। কিন্তু আমাদের তো একটা বাড়ি হলো না। একটা ফ্ল্যাট কেনার কথা চলছে, সেটার জন্যও তো টাকা লাগবে,’ সালমা বললেন।
‘বাড়ি হয়ে যাবে। ব্যাংক থেকে লোন নেবো। কিস্তিতে শোধ করবো। টাকার টানাটানি একটু হতে পারে, তা হোক, তবু চাই ছেলে ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়–ক। ছেলেকে বড় ইউনিভার্সিটিতে পড়াবো। আমার কতদিনের ইচ্ছা।’ আবুল হোসেন বললেন হালকা মেজাজে।
তাদের দুই ছেলে- জাহেদ ও শাহেদ। জাহেদ ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে এখন মালয়েশিয়ায় একটি বড় কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে কাজ করছে। ছোট ছেলে শাহেদ এখন ছাত্র- তাকে ভালোভাবে মানুষ করে নিজের পায়ে দাঁড় করানোই এখন মা-বাবার বড় চিন্তা।
অবশেষে শাহেদ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলো- ক্লাশ শুরু হলো। এটা তার কাছে নতুন জগৎ। এতোদিন পড়েছে সিটি কলেজে। সেখানে ভালো ছাত্ররা পড়ে লেখাপড়া ভালো হয়। শাহেদের বেশ ক’জন ভালো বন্ধুও জুটেছিলো এই কলেজে। এইচএসসি পাশ করার পর বন্ধুরা আর একত্রে পড়াশোনা করতে পারলো না। বন্ধু মাসুম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেলো অর্থনীতি বিভাগে। আর এক বন্ধু রফিক গেলো জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাহবুব ভর্তি হলো এক প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে। এভাবেই শাহেদের বন্ধুরা ছিটকে পড়লো এদিক-ওদিক। বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র শাহেদই পড়ছে নর্থ সাউথে। শাহেদ এখন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির হাজার হাজার ছেলেমেয়ের মধ্যে একা। এখানে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে না সহজে। সেমিষ্টার পদ্ধতিতে লেখাপড়া, এক সেমিষ্টার শেষ করে আর এক সেমিষ্টারে গিয়ে পুরনো সহপাঠিদের পাওয়া যায় না- বন্ধুত্ব হবে কি ভাবে?
এই পরিস্থিতিতে শাহেদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হলো তার পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে। শাজাহানপুরের এই বাড়িতে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন আবুল হোসেন। শাহেদ বড় হয়েছে এই পাড়াতেই। পাড়ার বন্ধুদের সঙ্গে একই স্কুলে লেখাপড়া করেছে- একই মাঠে খেলাধুলা করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এই বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ছিলো, তা এখন আরো গভীর হলো। শাহেদ এখন শাজাহানপুরেই বেশি সময় কাটায়।
তিন সেমিষ্টার পর্যন্ত শাহেদের পরীক্ষার ফল ভালোই হলো। বাবা-মা খুশি। বড় ভাই জাহেদও মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে শাহেদকে উৎসাহ দেয় যেন সে পরীক্ষায় আরো ভালো করে। ‘তুই ভালোভাবে বিবিএ পাশ কর, তোকেও মালয়েশিয়া নিয়ে আসবো ভালো চাকরি দিয়ে,’ জাহেদ বলে শাহেদকে।
চতুর্থ সেমিষ্টারেই অঘটন ঘটলো। শাহেদের পরীক্ষার ফল খারাপ হলো। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শাহেদের বাবাকে চিঠি লিখে ডেকে পাঠালেন। জানালেন শাহেদের রেজাল্ট কোনো বিষয়েই ভালো হয়নি। অর্থাৎ ফেল। তাকে ওসব বিষয় আবার পড়তে হবে। পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হবে। তার একটা সেমিষ্টার গচ্চা গেলো, সেই সঙ্গে অনেক টাকাও নষ্ট হলো।
আবুল হোসেন অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন ছেলের মার্কশীটের দিকে। এত খারাপ করার কথা কী? তিনি কিছু বললেন না, শাহেদকে শুধু বললেন নতুন করে ক্লাশ শুরু করতে, পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। প্রয়োজনে প্রাইভেট কোচিং এর ব্যবস্থা করতেও বললেন।
সালমা কিন্তু ব্যাপারটা সহজভাবে নিতে পারলেন না। তিনি খেপে গেলেন স্বামীর ওপরে।
‘তখনই বলেছিলাম ওসব বড়লোকের ইউনিভার্সিটিতে দিয়ে কাজ নেই। পড়াশোনাও হলো না, টাকাগুলো গেলো।’
‘আহা, এখনই নার্ভাস হচ্ছো কেন? একটা সেমিষ্টার খারাপ করেছে, পরে ঠিক হয়ে যাবে। আমিও তো ওর পড়াশোনার ব্যাপারে খোঁজখবর নেই নি। এখন থেকে নিতে হবে’, বললেন আবুল হোসেন।
চারমাস পর চতুর্থ সেমিষ্টারের পরীক্ষা আবার দিলো শাহেদ। এবার কোনো রকমে পাশ করে উতরে গেলো। কিন্তু মার্কশীট দেখে বাবা এবার চিন্তিত হয়ে পড়লেন। নম্বর মোটেই ভালো নয়। কোনোমতে পাশ করেছে। আবুল হোসেন এবার ছেলের মুখোমুখি হলেন।
‘তোমার কী হয়েছে বলোতো? তুমি তো ভালো ছাত্র। কিন্তু রেজাল্ট খারাপ হচ্ছে কেন?’ সরাসরি প্রশ্ন করলেন আবুল হোসেন।
‘আমার কিছু হয়নি। এই সেমিষ্টারের সাবজেক্টগুলো একটু কঠিন, তাই ভালো নম্বর তুলতে পারি নি,’ বাবাকে বোঝানোর চেষ্টা করে শাহেদ।
বাবা ছেলের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করলেন। কিছুটা বুঝলেন। কিছুটা বুঝলেন না। শুধু আশা করলেন শাহেদ আগামী পরীক্ষাগুলোতে ভালো রেজাল্ট করবে।
এদিকে শাহেদকে নিয়ে সালমা নতুন করে সমস্যায় পরেছেন। তার টাকার চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেদিন এসে বললো, ‘এক হাজার টাকা দাও, দুটো বই কিনতে হবে।’ আর একদিন বললো ‘পাঁচশ টাকা দাও, নোট বই কিনতে হবে।’ এভাবেই তার চাহিদা বাড়তেই থাকলো। একদিন বলে বসলো সে আর বাসে করে ইউনিভার্সিটিতে যেতে পারবে না। অনেক ভীড়। এখন থেকে সিএনজিতে যাবে। তার মানে দৈনিক কয়েকশ টাকা। ছেলের কষ্টের কথা ভেবে মা মেনে নিলেন। কিন্তু তার ভালো লাগলো না। শাহেদের খরচ দিনে দিনে এতো বাড়ছে কেন?
সালমা একদিন শাহেদের ময়লা কাপড় চোপড় ধোয়ার জন্য কাজের বুয়াকে দিচ্ছিলেন। এ সময় প্যান্টের প্যাকেটে সিগারেটের প্যাকেট পেলেন। কয়েকটি সিগারেট রয়েছে প্যাকেটটিতে। সালমা আশ্চর্য হলেন, তিনি জানতেন না শাহেদ সিগারেট খায়। বিষয়টি তিনি শাহেদের বাবাকে জানালেন। তিনি গুরুত্ব দিলেন না। বললেন, ‘এ আর এমন কী? আমি তো কলেজে থাকতেই সিগারেট ধরেছিলাম। আর শাহেদতো ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। তুমি ও নিয়ে চিন্তা করো না।’
আর একদিন সালমা শাহেদের শার্টের প্যাকেটে একটি ছোট কাগজের প্যাকেট পেলেন। তাতে চারটি লাল ট্যাবলেট। শাহেদকে দেখাতেই সে মায়ের হাত থেকে নিয়ে নিলো প্যাকেটটি। বললো ওগুলো মাথা ধরার ওষুধ। ওর আজকাল প্রায়ই মাথা ধরে। তাই পকেটে ওষুধ রাখে।
সালমা শাহেদের বাবাকে জানালেন ওর আজকাল প্রায়ই মাথা ধরে। পকেটে ওষুধ রাখে। তাছাড়া শাহেদ আগের তুলনায় রোগা হয়ে গেছে। ওকে ডাক্তার দেখানো দরকার।
‘শাহেদ পকেটে ওষুধ রাখে? কী ওষুধ, প্যারাসিটামল?’ জিজ্ঞেস করলেন আবুল হোসেন।
‘তা বলতে পারবো না, আগে কখনো দেখিনি। লাল রং-এর বড়ি।’ বললেন সালমা।
‘লাল বড়ি? আগে দেখোনি? ঠিক আছে। আবার পেলে আমাকে দেখিও তো।’ বললেন আবুল হোসেন, কণ্ঠস্বর কিছুটা উদ্বিগ্ন, কিন্তু চিন্তিত বা বিচলিত মনে হলো না তাকে।
শাহেদের বন্ধু মাসুম একদিন এলো ওর সঙ্গে দেখা করতে। শাহেদ বাসায় ছিলো না। মাসুম শাহেদের বাবা-মার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বললো, চা-নাস্তা খেলো। মাসুম জানালো শাহেদের সঙ্গে ওর আজকাল দেখা খুব কম হয়, মাঝেমধ্যে ফোনে কথা হয়।
এক সময় মাসুম একটু ইতস্তত করে আবুল হোসেনকে বললো, ‘একটা কথা বলতে চাচ্ছিলাম শাহেদ সম্পর্কে।’
‘হ্যাঁ বলো, কী বলবে।’
‘শাহেদ আজকাল এ পাড়ার কিছু ছেলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশা করে। ছেলেগুলো কিন্তু ভালো নয়। ওরা মাদকসেবী। ড্রাগ এ্যাডিক্ট। শাহেদ ওদের সঙ্গে মেলামেশা করলে সেও আবার না ঐপথে যায়।’
আবুল হোসেন এবার সত্যিই চিন্তিত হলেন।
‘তুমি ঠিকই বলেছো মাসুম। ওর দিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আচ্ছা তুমি বলতে পারো কী ধরনের ড্রাগ এপাড়ার ছেলেরা খায়?’
‘আমি যতদূর জানি ওরা ফেনসিডিল আর ইয়াবা ট্যাবলেট খায়। লালবড়ি। খেলে নেশা হয়। এটাই বেশি চলছে আজকাল।’
চমকে উঠলেন আবুল হোসেন। শাহেদের পকেটে লাল রং এর বড়িই পেয়েছিলেন ওর মা। মুখে কিছু বললেন না, কিন্তু বুঝতে পারলেন শাহেদের সমস্যাটা কোথায়।
শাহেদ একদিন তার মার কাছে পাঁচশ টাকা চাইলো। মা বললেন, ‘কদিন আগেই না নোটবই কেনার জন্য পাঁচশ, টাকা নিলি। এখন আবার কেন?’
‘ও টাকাতো খরচ হয়ে গেছে। আর আমার হাত খরচ লাগে না বুঝি?’ একটু জোরে বললো শাহেদ। এভাবে সে কথা বলেনা কখনো।
এবার রেগে গেলেন সালমা। বললেন, ‘এভাবে বাপের টাকা খরচ করলে ওনাকে আর ফ্ল্যাট কিনতে হবে না। ভাড়া বাড়িতেই থাকতে হবে সারাজীবন। তোর মতো বয়সে তোর বড় ভাই চাকরিতে ঢুকেছে। টাকা রোজগার করেছে। তুই টাকা রোজগার দূরে থাকুক, শুধু বাপের টাকা উড়াচ্ছিস।’
শাহেদ কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো। তারপর গম্ভীর গলায় মাকে বললো, ‘তুমি আমাকে টাকা রোজগারের কথা বললে। ঠিক আছে, আমিও রোজগার করে দেখাবো।’
‘তুই কী ভাবে রোজগার করবি? পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে চাকরি করবি, না তোর বাবার ব্যবসা আছে?’
‘সে আমি বুঝবো কী ভাবে রোজগার করতে হয়। তোমার কাছে আর টাকা চাইবো না। বরং চেষ্টা করবো তোমার হাতে কিছু টাকা দিতে।’ শাহেদ কথাটা বলেই ঘর থেকে বের হয়ে গেলো।
এরপর শাহেদ আর মায়ের কাছে টাকা চায়নি। সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে। চা-নাস্তা খেয়ে বাইরে যায়, জিজ্ঞেস করলে বলে ইউনিভার্সিটি যাচ্ছে। বাসায় ফেরে রাত করে। কোনোদিন খায়, কোনোদিন খায় না। শুয়ে পড়ে।
তখন শীতকাল, ডিসেম্বর মাস। সন্ধ্যার দিকে আবুল হোসেন শালটা গায়ে জড়িয়ে নিলেন, মাফলার দিয়ে কান-নাক ডাকলেন। সালমাকে বললেন তিনি পাড়ার মোড়ের এটিএম বুথে যাচ্ছেন টাকা তুলতে। ঘরে তো টাকা নেই। হাজার দশেক টাকা তুলতে হবে।
এটিএম বুথ থেকে দশ হাজার টাকা তুলে মানিব্যাগে ভরলেন, পাঞ্জাবির ডান পকেটে রাখলেন। বুথ থেকে বেরিয়ে রাস্তায় যেখানে দাঁড়ালেন সেখানটা অন্ধকার। হঠাৎ দুটো ছেলে এসে সামনে দাঁড়ালো। একজনের হাতে ড্যাগার, চকচক করছে। অপরজন বললো, ‘আংকেল যা আছে দিয়ে দেন। আমরা দেরি করতে পারবো না।
আবুল হোসেন বুঝলেন তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন। উপায় নেই, সব দিতে হবে। তিনি তাই দিলেন। ডান পকেট থেকে মানিব্যাগটা বের করে ওদের হাতে তুলে দিলেন। ওরা ‘থ্যাঙ্ক ইউ আংকেল’ বলে চলে গেলো মানিব্যাগ নিয়ে।
আবুল হোসেন চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলেন। ছিনতাইকারীদের তিনি চিনতে পেরেছেন। তার নিজের মুখতো মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিলো।
বাসায় ফিরলেন আবুল হোসেন। স্ত্রীকে কিছু বললেন না। শাল মাফলার খুলে মুখ হাত ধুলেন। আবার শালটা গায়ে দিয়ে বসার ঘরে সোফায় এসে বসলেন। একটু আগে কী ঘটলো, কী অভিজ্ঞতা তার হলো তাই ভাবতে লাগলেন।
ঘন্টা দুয়েক পরে শাহেদ এসে ঘরে ঢুকলো। আবুল হোসেন বুঝলেন সে স্বাভাবিক অবস্থায় নেই, পা টলছে। মার হাতে শাহেদ একটি মানিব্যাগ তুলে দিলো। জড়ানো গলায় বললো, ‘মা এই নাও টাকা। এতে পুরো দশ হাজার আছে। তোমাকে বলেছিলাম না। টাকা রোজগার করবো, তোমাকে দেবো। তাই দিলাম।’
কথাটা বলেই শাহেদ নিজের ঘরে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়লো। ঘুমিয়ে গেলো।
সালমা অবাক হয়ে দেখলেন তার হাতে আবুল হোসেনের মানিব্যাগ। ব্যাগের ভেতর পুরো দশ হাজার টাকা। আবুল হোসেন নীরবে চেয়ে দেখলেন দৃশ্যটা। কিছুক্ষণ পর তিনি উঠে গেলেন শাহেদের বিছানার কাছে। ঘুমন্ত শাহেদের মাথায় পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দিলেন। স্ত্রীকে বললেন, ‘সালমা, আমি শাহেদের সমস্যাটা এবার পুরোপুরি বুঝতে পেরেছি। ওর জন্য কিছু করতে হবে, ওকে সাহায্য করতে হবে। চিন্তা কোরোনা, সব ঠিক হয়ে যাবে।’

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

বিষয়:
এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
অনুসরণ করুন:
সাময়িকীর অতিথি লেখক একাউন্ট। ইমেইল মাধ্যমে প্রাপ্ত লেখাসমূহ অতিথি লেখক একাউন্ট থেকে প্রকাশিত হয়।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!